মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যাংক ঋণে জর্জরিত সায়ন্তিকা

বিনোদন ডেস্ক ## বাঁকুড়া বিধানসভার এবারে তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। লাইট-সাউন্ড-ক্যামেরার পরিচিত গণ্ডি থেকে সরে এসে ভোটের ময়দানে নেমেছেন টলিউডের এই নায়িকা। নিজের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিয়েছেন তৃণমূলের এই প্রার্থী। তার সম্পত্তির পরিমাণ, গাড়ি, বাড়ি, পেশা, অতীতে কোনও অপরাধ করেছেন কি না- নির্বাচনী বিধি মেনে যাবতীয় কিছু হলফনামায় জানিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন সম্পত্তির পরিমাণও।

সায়ন্তিকা থাকেন সল্টলেকের লাবনী এস্টেট এ। ২০০৮ সালে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক পাশ করেন তিনি। অন্যান্য তারকা প্রার্থীরা প্রায় সকলেই যেখানে কোটিতে বিরাজমান, সায়ন্তিকা সে তুলনায় বেশ খানিকটা পিছিয়ে রয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী তার ব্যাংক, গাড়ি মিলিয়ে কোটির গণ্ডি পেরোতে পারেন নি। উল্টো সঞ্চয় এবং ব্যাংকের কাছে তার ঋণের পরিমাণ একে অপরকে সমানে টক্কর দিচ্ছে।

হলফনামা অনুযায়ী, তার হাতে নগদ টাকা আছে মাত্র ৪৩ হাজার ১২৭ টাকা। বন্ধন, অ্যাক্সিস, এইচডিএফসি এবং আইসিআইসিআই মিলিয়ে মোট ৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে তার। এর মধ্যে তিনটি যৌথ অ্যাকাউন্ট।

কিন্তু ব্যাংকে অ্যাকাউন্টের সংখ্যা অনেক হলেও তাতে জমা টাকার পরিমাণ নামমাত্র। বন্ধন ব্যাংকের একটি যৌথ অ্যাকাউন্ট ছাড়া আর প্রায় কোনও অ্যাকাউন্টেই উল্লেখযোগ্য পরিমাণ টাকা জমা নেই।

বন্ধন ব্যাংকের ওই যৌথ অ্যাকাউন্টেই একমাত্র ৩৪ হাজার ৭৯৬ টাকা রয়েছে তার নামে। আর আইসিআইসিআই ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্টে রয়েছে ১ হাজার ৩৮৯ টাকা। আর একটি অ্যাকাউন্টে রয়েছে ২৭৭ টাকা। একটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে রয়েছে ১ টাকা। বাকি ৪টি অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স শূন্য!

৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে তার মোট সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৬ হাজার ৪৬৩ টাকা। হলফনামার হিসাব অনুযায়ী, তার হাতে নগদ রয়েছে ৪৩ হাজার ১২৭ টাকা। সায়ন্তিকার হলফনামায় সঞ্চয়ের হিসাব কম থাকলেও গাড়ি এবং গয়নার প্রতি তার আলাদা ভালবাসা রয়েছে বোঝাই যায়।

তাই ব্যাংক ব্যালেন্স না থাকলেও ৪৩ লাখ ৫৬ হাজার ৪৩৬ টাকার একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ কিনেছেন তিনি। ২০১৮ সালে গাড়িটি কেনেন তিনি। এ ছাড়া ৩ দশমিক ৫২ গ্রাম ওজনের সোনার গয়না রয়েছে তার। সঙ্গে রয়েছে আরও অলঙ্কার, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১ লাখ ২৩ হাজার ৪৩৬ টাকা।

এইচডিএফসি ব্যাংকে তার ১৯ লাখ ৯১ হাজার ৮৯১ টাকার গাড়ি ঋণ রয়েছে। আইসিআইসি ব্যাংকের কাছে ১৪ লাখ ৯৭ হাজার ১৮ টাকার ব্যক্তিগত ঋণ রয়েছে। এ ছাড়া এইচডিএফসি ক্রেডিট কার্ডে ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৯৩৩ টাকা এবং অ্যাক্সিস ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯৭ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

অর্থাৎ তার মোট ঋণ ৪০ লাখ ৮৭ হাজার ২৪০ টাকা। এর বাইরে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকার জিএসটি এখনও জমা দেননি তিনি। ব্যাংক ব্যালেন্স, স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে তার সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র ৪৬ লাখ ৩৯ হাজার ৫২ টাকা।

সায়ন্তিকার নিজের নামে কোনও বাড়ি, ফ্ল্যাট কিংবা জমি নেই। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তিনি মোট ১১ লাখ ১৫ হাজার ৬০ টাকা উপার্জন করেছেন বলে হলফনামায় জানিয়েছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

ব্যাংক ঋণে জর্জরিত সায়ন্তিকা

প্রকাশের সময় : ১১:৫৮:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ ২০২১

বিনোদন ডেস্ক ## বাঁকুড়া বিধানসভার এবারে তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। লাইট-সাউন্ড-ক্যামেরার পরিচিত গণ্ডি থেকে সরে এসে ভোটের ময়দানে নেমেছেন টলিউডের এই নায়িকা। নিজের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিয়েছেন তৃণমূলের এই প্রার্থী। তার সম্পত্তির পরিমাণ, গাড়ি, বাড়ি, পেশা, অতীতে কোনও অপরাধ করেছেন কি না- নির্বাচনী বিধি মেনে যাবতীয় কিছু হলফনামায় জানিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন সম্পত্তির পরিমাণও।

সায়ন্তিকা থাকেন সল্টলেকের লাবনী এস্টেট এ। ২০০৮ সালে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক পাশ করেন তিনি। অন্যান্য তারকা প্রার্থীরা প্রায় সকলেই যেখানে কোটিতে বিরাজমান, সায়ন্তিকা সে তুলনায় বেশ খানিকটা পিছিয়ে রয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী তার ব্যাংক, গাড়ি মিলিয়ে কোটির গণ্ডি পেরোতে পারেন নি। উল্টো সঞ্চয় এবং ব্যাংকের কাছে তার ঋণের পরিমাণ একে অপরকে সমানে টক্কর দিচ্ছে।

হলফনামা অনুযায়ী, তার হাতে নগদ টাকা আছে মাত্র ৪৩ হাজার ১২৭ টাকা। বন্ধন, অ্যাক্সিস, এইচডিএফসি এবং আইসিআইসিআই মিলিয়ে মোট ৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে তার। এর মধ্যে তিনটি যৌথ অ্যাকাউন্ট।

কিন্তু ব্যাংকে অ্যাকাউন্টের সংখ্যা অনেক হলেও তাতে জমা টাকার পরিমাণ নামমাত্র। বন্ধন ব্যাংকের একটি যৌথ অ্যাকাউন্ট ছাড়া আর প্রায় কোনও অ্যাকাউন্টেই উল্লেখযোগ্য পরিমাণ টাকা জমা নেই।

বন্ধন ব্যাংকের ওই যৌথ অ্যাকাউন্টেই একমাত্র ৩৪ হাজার ৭৯৬ টাকা রয়েছে তার নামে। আর আইসিআইসিআই ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্টে রয়েছে ১ হাজার ৩৮৯ টাকা। আর একটি অ্যাকাউন্টে রয়েছে ২৭৭ টাকা। একটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে রয়েছে ১ টাকা। বাকি ৪টি অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স শূন্য!

৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে তার মোট সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৬ হাজার ৪৬৩ টাকা। হলফনামার হিসাব অনুযায়ী, তার হাতে নগদ রয়েছে ৪৩ হাজার ১২৭ টাকা। সায়ন্তিকার হলফনামায় সঞ্চয়ের হিসাব কম থাকলেও গাড়ি এবং গয়নার প্রতি তার আলাদা ভালবাসা রয়েছে বোঝাই যায়।

তাই ব্যাংক ব্যালেন্স না থাকলেও ৪৩ লাখ ৫৬ হাজার ৪৩৬ টাকার একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ কিনেছেন তিনি। ২০১৮ সালে গাড়িটি কেনেন তিনি। এ ছাড়া ৩ দশমিক ৫২ গ্রাম ওজনের সোনার গয়না রয়েছে তার। সঙ্গে রয়েছে আরও অলঙ্কার, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১ লাখ ২৩ হাজার ৪৩৬ টাকা।

এইচডিএফসি ব্যাংকে তার ১৯ লাখ ৯১ হাজার ৮৯১ টাকার গাড়ি ঋণ রয়েছে। আইসিআইসি ব্যাংকের কাছে ১৪ লাখ ৯৭ হাজার ১৮ টাকার ব্যক্তিগত ঋণ রয়েছে। এ ছাড়া এইচডিএফসি ক্রেডিট কার্ডে ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৯৩৩ টাকা এবং অ্যাক্সিস ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯৭ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

অর্থাৎ তার মোট ঋণ ৪০ লাখ ৮৭ হাজার ২৪০ টাকা। এর বাইরে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকার জিএসটি এখনও জমা দেননি তিনি। ব্যাংক ব্যালেন্স, স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে তার সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র ৪৬ লাখ ৩৯ হাজার ৫২ টাকা।

সায়ন্তিকার নিজের নামে কোনও বাড়ি, ফ্ল্যাট কিংবা জমি নেই। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তিনি মোট ১১ লাখ ১৫ হাজার ৬০ টাকা উপার্জন করেছেন বলে হলফনামায় জানিয়েছেন।