বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাতক্ষীরার ৩টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত

সাতক্ষীরা ব্যুরো ##  কপোতাক্ষ নদীর প্রবল জোয়ারে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পশ্চিম দূর্গাবাটি ও আশাশুনি এলাকাসহ মোট ৩টি পয়েন্টের বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত সাড়ে ৩শ’ কাঁচা-পাকা ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। প্লাবিত হয়েছে বেশকিছু ছোট-বড় পুকুর ও মাছের ঘের।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে হঠাৎ নদীর প্রবল জোয়ারে এক থেকে দেড় ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাঁধ ভেঙে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন এবং এলাকার জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আশাশুনি উপজেলা সদরের ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মুকুল বলেন, দুপুর ১২টার দিকে কপোতাক্ষ নদের প্রবল জোয়ারে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড এর ৪ নন্বর পোল্ডারের আশাশুনি সদরের দয়ারঘাট ও জেলেখালিসহ তিনটি পয়েন্ট ভেঙে যায়। এতে হু হু করে লোকালয়ে পানি ঢুকে দুটি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। সাড়ে ৩শ’ কাঁচা-পাকা ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ে। প্লাবিত হয় বেশকিছু ছোট-বড় পুকুর ও চিংড়ি ঘের।
সংবাদ পেয়ে দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসাইন, এসিল্যান্ড শাহিন সুলতানা ও আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম কবির এবং স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও রাবিব হাসান ভাঙ্গনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। জোয়ারের পানি নেমে গেলে জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধটি মেরামত করা হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী এলাকার মোস্তাফিজুর রহমান ও ইউপি সদস্য ভবতোষ কুমার মন্ডল জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পায়। শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পশ্চিম দূর্গাবাটি ও দাঁতনেখালি ঈদগাহের সামনে আজিজ ম্যানেজারের বাড়ির এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর প্রায় ২শ’ ফুট এলাকা ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে।
তারা জানান, তাৎক্ষনিক স্থানীয় বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও শাহনাজ পারভীন এবং এসডিইও রাশেদ খানসহ স্থানীয় গ্রামবাসীরা ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধে জিও ব্যাগ ফেলে পানি প্রবেশ বন্ধ করে।
এলাকাবাসী জানায়, কলবাড়ী থেকে নীলডুমুর এবং নোয়াবেকি পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। বর্ষা মৌসুমের আগে এই বাঁধ সংস্কার না হলে বাঁধ ভেঙে আরও বড় ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

সাতক্ষীরার ৩টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৪:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ ২০২১
সাতক্ষীরা ব্যুরো ##  কপোতাক্ষ নদীর প্রবল জোয়ারে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পশ্চিম দূর্গাবাটি ও আশাশুনি এলাকাসহ মোট ৩টি পয়েন্টের বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত সাড়ে ৩শ’ কাঁচা-পাকা ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। প্লাবিত হয়েছে বেশকিছু ছোট-বড় পুকুর ও মাছের ঘের।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে হঠাৎ নদীর প্রবল জোয়ারে এক থেকে দেড় ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাঁধ ভেঙে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন এবং এলাকার জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আশাশুনি উপজেলা সদরের ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মুকুল বলেন, দুপুর ১২টার দিকে কপোতাক্ষ নদের প্রবল জোয়ারে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড এর ৪ নন্বর পোল্ডারের আশাশুনি সদরের দয়ারঘাট ও জেলেখালিসহ তিনটি পয়েন্ট ভেঙে যায়। এতে হু হু করে লোকালয়ে পানি ঢুকে দুটি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। সাড়ে ৩শ’ কাঁচা-পাকা ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ে। প্লাবিত হয় বেশকিছু ছোট-বড় পুকুর ও চিংড়ি ঘের।
সংবাদ পেয়ে দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসাইন, এসিল্যান্ড শাহিন সুলতানা ও আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম কবির এবং স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও রাবিব হাসান ভাঙ্গনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। জোয়ারের পানি নেমে গেলে জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধটি মেরামত করা হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী এলাকার মোস্তাফিজুর রহমান ও ইউপি সদস্য ভবতোষ কুমার মন্ডল জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পায়। শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পশ্চিম দূর্গাবাটি ও দাঁতনেখালি ঈদগাহের সামনে আজিজ ম্যানেজারের বাড়ির এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর প্রায় ২শ’ ফুট এলাকা ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে।
তারা জানান, তাৎক্ষনিক স্থানীয় বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও শাহনাজ পারভীন এবং এসডিইও রাশেদ খানসহ স্থানীয় গ্রামবাসীরা ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধে জিও ব্যাগ ফেলে পানি প্রবেশ বন্ধ করে।
এলাকাবাসী জানায়, কলবাড়ী থেকে নীলডুমুর এবং নোয়াবেকি পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। বর্ষা মৌসুমের আগে এই বাঁধ সংস্কার না হলে বাঁধ ভেঙে আরও বড় ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।