বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাইজেরিয়ায় কারাগার থেকে পালিয়েছে ১৮শ বন্দী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ## নাইজেরিয়ার ইমো রাজ্যের একটি কারাগারে হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র দুর্বত্তরা কারারক্ষীদের সঙ্গে তাদের গুলিবিনিময় হয়। এরপর তারা বিস্ফোরক ব্যবহার করে জেলে ঢুকে যায়। এই ঘটনায় এক হাজার ৮০০-রও বেশি বন্দী জেল থেকে পালিয়েছে।

ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়েছে, নাইজেরিয়ায় অন্যতম বড় জেল-ভাঙার ঘটনা এটি। সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শুধু জেল নয়, শহরের অন্য সরকারি বাড়িতেও একই সঙ্গে আক্রমণ চালিয়েছে দুষ্কৃতীকারীরা।

নাইজেরিয়ার এই এলাকায় বেশ কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আছে। তবে কোনো গোষ্ঠীই এখনো পর্যন্ত আক্রমণের দায় স্বীকার করেনি। নাইজেরিয়ার ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ ইস্টার্ন সিকিউরিটি নেটওওয়ার্ক(ইএসএন)-কে এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন। ইএসএন দাবি করে, তারা স্থানীয় ইগবো জনগোষ্ঠীকে বিদেশি হানাদারের হাত থেকে বাঁচাবার জন্য লড়াই করছে।

প্রেসিডেন্ট বুহারি এক বিবৃতিতে বলেছেন, এটা সন্ত্রাসবাদী কাজ। তিনি পালিয়ে যাওয়া সব বন্দীকে পুনরায় জেলে রাখার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। সপ্তাহ দুয়েক আগে দক্ষিণপূর্ব নাইজেরিয়ায় থানা, সেনার চেকপয়েন্ট এবং জেল আক্রমণ করে সন্ত্রাসীরা। এতে অন্তত ১২ জন নিরপত্তারক্ষী মারা যান। নাইজেরিয়ার কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার অধিক বন্দী রাখার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া জেল স্বাস্থ্যসম্মত নয় অতীতে এমন ধরনেরও অভিযোগ উঠেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

নাইজেরিয়ায় কারাগার থেকে পালিয়েছে ১৮শ বন্দী

প্রকাশের সময় : ০৬:২২:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ## নাইজেরিয়ার ইমো রাজ্যের একটি কারাগারে হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র দুর্বত্তরা কারারক্ষীদের সঙ্গে তাদের গুলিবিনিময় হয়। এরপর তারা বিস্ফোরক ব্যবহার করে জেলে ঢুকে যায়। এই ঘটনায় এক হাজার ৮০০-রও বেশি বন্দী জেল থেকে পালিয়েছে।

ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়েছে, নাইজেরিয়ায় অন্যতম বড় জেল-ভাঙার ঘটনা এটি। সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শুধু জেল নয়, শহরের অন্য সরকারি বাড়িতেও একই সঙ্গে আক্রমণ চালিয়েছে দুষ্কৃতীকারীরা।

নাইজেরিয়ার এই এলাকায় বেশ কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আছে। তবে কোনো গোষ্ঠীই এখনো পর্যন্ত আক্রমণের দায় স্বীকার করেনি। নাইজেরিয়ার ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ ইস্টার্ন সিকিউরিটি নেটওওয়ার্ক(ইএসএন)-কে এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন। ইএসএন দাবি করে, তারা স্থানীয় ইগবো জনগোষ্ঠীকে বিদেশি হানাদারের হাত থেকে বাঁচাবার জন্য লড়াই করছে।

প্রেসিডেন্ট বুহারি এক বিবৃতিতে বলেছেন, এটা সন্ত্রাসবাদী কাজ। তিনি পালিয়ে যাওয়া সব বন্দীকে পুনরায় জেলে রাখার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। সপ্তাহ দুয়েক আগে দক্ষিণপূর্ব নাইজেরিয়ায় থানা, সেনার চেকপয়েন্ট এবং জেল আক্রমণ করে সন্ত্রাসীরা। এতে অন্তত ১২ জন নিরপত্তারক্ষী মারা যান। নাইজেরিয়ার কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার অধিক বন্দী রাখার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া জেল স্বাস্থ্যসম্মত নয় অতীতে এমন ধরনেরও অভিযোগ উঠেছে।