
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ## শনিবার (১০ এপ্রিল) সকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার চতুর্থ দফার নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। হামলা-সংঘর্ষের মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। নির্বাচনে হামলা-সহিংসতায় এ পর্যন্ত এক তরুণসহ মোট পাঁচ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ভারতের উত্তরবঙ্গে কাঠগড়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের গুলিতে চারজন নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সিআরপিএফের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া জোড়পাটকিতে গুলির ঘটনায় আরও চার জন আহত হয়েছেন।
এছাড়াও কোচবিহারের শীতলকুচিতে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। জীবনে প্রথমবার ভোট দেয়ার জন্য কেন্দ্রে গিয়েছিলেন। নিয়ম মেনে ভোট দিতে লাইনে দাঁড়াতে গিয়ে হামলা প্রাণ যায় আনন্দ বর্মণ নামের এক তরুণের। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের শীতলকুচিতে। শনিবার আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদন থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে এ বিষয়ে।
এদিকে প্রতিবেদনে তরুণের পরিবারের অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই হামলা তৃণমূলের সন্ত্রাসীরা চালিয়েছে। স্থানীয় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশ সদস্যরা।
নিহত তরুণ আনন্দ বর্মণ ও তার পরিবারের সদস্যরা বিজেপির সমর্থক বলে জানা গেছে। আনন্দ বর্মণের চাচাতো ভাই জানিয়েছেন, তারা পাঠানটুলি শালবাড়ির ২৮৫ নম্বর কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়েছিলেন। ভোটের লাইনে দাঁড়ানোর কিছুক্ষণ পরই হঠাৎ করে তৃণর্মূল-বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে ঝামেলা বাধে। এসময় দু’পক্ষই এলাপাতাড়ি গুলি ছুড়ে।
এ ঘটনায় সকল ভোটাররা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সকলেই প্রাণ বাঁচাতে ছুটতে শুরু করেন। এমন সময় আনন্দের পিঠে গুলি লাগে। আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতাালে পাঠানো হলে চিকিৎসরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত আনন্দের পরিবার থেকে তৃণমূল সমর্থিত সন্ত্রাসীদের দায়ি করছেন।