
রোববার (১৮ এপ্রিল) স্বাস্থ্যবিধি মেনে বনানীর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ সময় চলচ্চিত্র অঙ্গনের বিভিন্ন শিল্পী ও কলাকুশলীরা ও তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মিশা সওদাগর বলেন, একে একে এমন শিল্পরা চলে যাওয়ায় চলচ্চিত্র অঙ্গন চূড়ান্তভাবে শেষ হয়ে যাচ্ছে। তিনি আমাদের অভিভাবকের মতো ছিলেন। অনেক পরহেজগার মানুষ ছিলেন। আল্লাহ উনাকে যেন বেহেস্ত নসিব করেন সেই দোয়াই করি।
ওয়াসিমের ছেলে দেওয়ান এ টি ফারদুন, জীবিত থাকা অবস্থায় আমরা মানুষের মূল্যায়ন করি না। আমার বাবাও পাননি এতে উনি অনেক মর্মাহত হয়েছেন। তবে আমার বাবা যেখানেই গেছেন অনেক সন্মান পেয়েছেন। আমি গর্ববোধ করি আমার বাবা অনেক সন্মানী ব্যক্তি ছিলেন।
জায়েদ খান বলেন, আর একজন ওয়াসিম কখনো তৈরি হবে না। এটা চলচ্চিত্রের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। কবরী আপা, ওয়াসিম ভাই চলে যাওয়া মানে এ ক্ষতি আর কখনো পূরণ হবে না। পিলারগুলো ভেঙে ভেঙে পড়ে যাচ্ছে। আমরা প্রচণ্ড শোকের সাগরে পড়ে গেছি।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরে তিনি গুরুতর অসুস্থ থাকার পর শনিবার দিবাগত (১৮ এপ্রিল) রাত ১২ টা ৪০ মিনিটের দিকে মারা যান ওয়াসিম তিনি। ১৯৭২ সালে ঢাকার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ওয়াসিমের অভিষেক হয় সহকারী পরিচালক হিসেবে ‘ছন্দ হারিয়ে গেলো’র মাধ্যমে। আর নায়ক হিসেবে তার যাত্রা শুরু হয় মহসিন পরিচালিত ‘রাতের পর দিন’ ছবি মাধ্যমে। দিন যতই যেতে থাকে ওয়াসিমের জনপ্রিয়তা ততই আকাশচুম্বী হয়। এক সময় বাণিজ্যিক ঘরানার ছবির অপরিহার্য নায়ক হয়ে উঠেন তিনি। বাণিজ্যিক-অ্যাকশনের পাশাপাশি ফোক-ফ্যান্টাসি ছবির এক নম্বর আসনটি দখলে ছিল ওয়াসিমের।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘ছন্দ হারিয়ে গেলো’, ‘রাতের পর দিন’, ‘দোস্ত দুশমন’, ‘দি রেইন’, ‘রাজদুলারী’, ‘বাহাদুর, ‘মানসী’, ‘সওদাগর’, ‘নরম গরম’, ‘বেদ্বীন’, ‘ঈমান’, ‘লাল মেম সাহেব’ ইত্যাদি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মহসিন মিলন
সম্পাদকীয় পরিষদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: নুরুজ্জামান লিটন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: রোকনুজ্জামান রিপন, নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল লতিফ, যুগ্ন নির্বাহী সম্পাদক: আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান, সহকারী সম্পাদক: সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ, মামুন বাবু, বার্তা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় কার্যালয়
বার্তা ও বানিজ্যক কার্যালয়: গাজীপুর আবাসিক এলাকা, বেনাপোল, যশোর। ইমেইল: mohsin.milon@gmail.com, bartakontho@gmail.com ফোন: ৭৫২৮৯, ৭৫৬৯৫ মোবা: ০১৭১১৮২০৩৯৪
All Rights Reserved © Barta Kontho