বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মাগফেরাতের দিনগুলোয় যে দোয়া পড়বেন

নুরুজ্জামান লিটন ## রোজাদার মুমিন মুসলমানের হৃদয় এ মাসে যেমন আল্লাহ তায়ালার জান্নাতের প্রশান্তি পায় তেমনি তার হৃদয়ের আধ্যাত্মিক বাগান এ মাসে নানান ধরণের ফুল-ফলে সুশোভিত হয়ে ওঠে। আমরা যদি আমাদের পরিবারগুলোকে জান্নাতের অধিবাসী হিসেবে দেখতে চাই, তবে পবিত্র এ রমজানের অবশিষ্ট দিনগুলোকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে হবে।

প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য সে যেন কেবল নিজেই মুত্তাকি না হয় বরং সে নিজে এবং পরিবারের সবাইকে যেন নেককার-মুত্তাকি হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা করে। সব ধরণের পাপ ও খারাপ কাজ থেকে রক্ষা পেতে পুরো পরিবারকে সঠিক ইসলামী শিক্ষায় আলোকিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

মাগফেরাতের দশকে মুসলিম উম্মাহ আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা ও অনুগ্রহ পেতে রোনাজারি, কান্না-কাটি করবে। মাগফেরাতের দশকে ক্ষমা পাওয়ার জন্য বেশি বেশি দুইটি দোয়া পড়তে হবে-

 

> رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِيْنَ

উচ্চারণ : ‘রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আংতা খাইরুর রাহিমিন।’

অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! (আমাকে) ক্ষমা করুন এবং (আমার উপর) রহম করুন; আপনিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ রহমকারী।’ (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১১৮)

> رَبِّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ فَاغْفِرْ لِيْ

উচ্চারণ : ‘রাব্বি ইন্নি জ্বালামতু নাফসি ফাগফিরলি।’

অর্থ : ‘(হে আমার) প্রভু! নিশ্চয়ই আমি নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি, অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ১৬)

 

আল্লাহ তাআলার দরবারে আমাদের প্রার্থনা থাকবে, তিনি যেন আমাদের দোয়া গ্রহণ করে আমাদেরকে ক্ষমা করে দেন। যেহেতু রমজানের রোজা হলো গোনাহ মাফ, ক্ষমার মধ্য দিয়ে চিরশান্তি ও চিরমুক্তির একটি সুনিশ্চিত ব্যবস্থা; অতি নির্ভরযোগ্য সুযোগ। তাই এ সুযোগ গ্রহণ করা ঈমানের একান্তি দাবি। একান্তুই যদি কেউ এ সুযোগের সদ্ব্যবহার না করে তার ধ্বংস অনিবার্য, তার বিপদ অবশ্যম্ভাবী।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

মাগফেরাতের দিনগুলোয় যে দোয়া পড়বেন

প্রকাশের সময় : ০২:০৪:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১

নুরুজ্জামান লিটন ## রোজাদার মুমিন মুসলমানের হৃদয় এ মাসে যেমন আল্লাহ তায়ালার জান্নাতের প্রশান্তি পায় তেমনি তার হৃদয়ের আধ্যাত্মিক বাগান এ মাসে নানান ধরণের ফুল-ফলে সুশোভিত হয়ে ওঠে। আমরা যদি আমাদের পরিবারগুলোকে জান্নাতের অধিবাসী হিসেবে দেখতে চাই, তবে পবিত্র এ রমজানের অবশিষ্ট দিনগুলোকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে হবে।

প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য সে যেন কেবল নিজেই মুত্তাকি না হয় বরং সে নিজে এবং পরিবারের সবাইকে যেন নেককার-মুত্তাকি হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা করে। সব ধরণের পাপ ও খারাপ কাজ থেকে রক্ষা পেতে পুরো পরিবারকে সঠিক ইসলামী শিক্ষায় আলোকিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

মাগফেরাতের দশকে মুসলিম উম্মাহ আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা ও অনুগ্রহ পেতে রোনাজারি, কান্না-কাটি করবে। মাগফেরাতের দশকে ক্ষমা পাওয়ার জন্য বেশি বেশি দুইটি দোয়া পড়তে হবে-

 

> رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِيْنَ

উচ্চারণ : ‘রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আংতা খাইরুর রাহিমিন।’

অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! (আমাকে) ক্ষমা করুন এবং (আমার উপর) রহম করুন; আপনিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ রহমকারী।’ (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১১৮)

> رَبِّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ فَاغْفِرْ لِيْ

উচ্চারণ : ‘রাব্বি ইন্নি জ্বালামতু নাফসি ফাগফিরলি।’

অর্থ : ‘(হে আমার) প্রভু! নিশ্চয়ই আমি নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি, অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ১৬)

 

আল্লাহ তাআলার দরবারে আমাদের প্রার্থনা থাকবে, তিনি যেন আমাদের দোয়া গ্রহণ করে আমাদেরকে ক্ষমা করে দেন। যেহেতু রমজানের রোজা হলো গোনাহ মাফ, ক্ষমার মধ্য দিয়ে চিরশান্তি ও চিরমুক্তির একটি সুনিশ্চিত ব্যবস্থা; অতি নির্ভরযোগ্য সুযোগ। তাই এ সুযোগ গ্রহণ করা ঈমানের একান্তি দাবি। একান্তুই যদি কেউ এ সুযোগের সদ্ব্যবহার না করে তার ধ্বংস অনিবার্য, তার বিপদ অবশ্যম্ভাবী।