শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রমজান ও কোরআন মুমিন বান্দার সুপারিশকারী হবে

নাজমা খাতুন ## মাহে রমজানের প্রতিটি মূহুর্ত বরকতময় ও কল্যাণময়। আজ মাগফেরাতের দ্বিতীয় দশকের তৃতীয় দিন। খুব তাড়াতাড়ি রমজানের সময় চলে যাচ্ছে। বাকি সময়গুলোতে আল্লাহর ইবাদতে কাটাতে হবে। 

ফরজ ইবাদতের পর সবচেয়ে উত্তম নফল ইবাদত হচ্ছে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত। রমজানেই মানব জাতির কল্যাণ ও হেদায়েতের জন্য নাযিল হয়েছে পবিত্র কোরআন। যার অন্তরে কোরআন আছে, যে কোরআনের বিধিনিষেধ অনুযায়ী জীবন যাপন করবেন ও যিনি প্রতিদিন কোরআন তিলাওয়াত করবেন তার জন্য কোরআন কবরে ও হাশরে সুপারিশকারী হবে।

রমজানের যে কয়টিদিন এখন বাকি আছে প্রতিদিন বেশি বেশি করে কোরআন তিলাওয়াতের দিকে মনোযোগী হওয়া রোজাদারদের জন্য উত্তম নফল আমল। কোরআনের প্রতিটি বর্ণের নেকি রমজানে দশগুণ সওয়াব পাওয়া যায়।

গভীর মনোনিবেশ সহকারে পবিত্র কোরআন পাঠের মধ্য দিয়ে আল্লাহ’র নৈকট্য অর্জন করি তাহলে ইনশাআল্লাহ তিনি আমাদেরকে শেষ দশকে লাইলাতুল কদরের স্বাদ গ্রহণের সৌভাগ্য দান করবেন। রমজান ও পবিত্র কোরআন কারিমের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কোরআনে উল্লেখ রয়েছে- ‘রমজান সেই মাস যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন। যা মানবজাতির জন্য হেদায়াতস্বরূপ এবং হেদায়াত ও ফুরকান (অর্থাৎ হক ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্যকারী) বিষয়ক সুস্পষ্ট প্রমাণাদি। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে কেউ এই মাসকে পায়, সে যেন রোজা রাখে, কিন্তু যে কেউ রুগ্ন এবং সফরে থাকে তাহলে অন্য দিন গণনা পূর্ণ করতে হবে, আল্লাহ তোমার জন্য স্বাচ্ছন্দ্য চান এবং তোমাদের জন্য কাঠিন্য চান না আল্লাহর মহিমা কীর্তন কর, এই জন্য যে, তিনি তোমাদেরকে হেদায়াতে দিয়েছেন এবং যেন তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)।

রমজানেই মহানবী (সা.) আল্লাহপাকের পক্ষ থেকে প্রথম বাণী লাভ করেছিলেন। এ রমজান মাসেই হযরত জিবরাইল (আ.) বছরের পূর্বে অবতীর্ণ হওয়া সমস্ত বাণী মহানবীর (সা.) কাছে পুনরাবৃত্তি করতেন। এ ব্যবস্থা মহানবীর (সা.) জীবনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এছাড়া ‘মহানবী (সা.)-এর জীবনের শেষ বছরের রমজান মাসে হযরত জিবরাইল (আ.) পূর্ণ কোরআনকে মহানবীর (সা.) কাছে দু’বার পাঠ করে শুনান’ (বোখারি)।

মহানবী (সা.) বলেন, ‘রমজান ও কোরআন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, খোদা! আমি তাকে পানাহার ও কুপ্রবৃত্তি হতে নিবৃত্ত রেখেছি, তাই তুমি তার জন্য আমার সুপারিশ কবুল কর। আর কোরআন বলবে, আমি তাকে রাত্রে নিদ্রা হতে বিরত রেখেছি ও তাকে ঘুমাতে  দেইনি, এ কারণে তার জন্য আমার সুপারিশ কবুল কর। তাদের সুপারিশ কবুল করা হবে’ (বায়হাকি)।

যেহেতু আমরা রমজানের রোজাগুলো ঠিকভাবেই রাখছি, তেমনিভাবে যদি কোরআন পাঠের প্রতি এবং এর মর্মার্থ উপলব্ধি করার দিকে মনোযোগী হই তাহলে এ কোরআনই আমাদের সুপারিশের কারণ হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

রমজান ও কোরআন মুমিন বান্দার সুপারিশকারী হবে

প্রকাশের সময় : ০২:০৭:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১

নাজমা খাতুন ## মাহে রমজানের প্রতিটি মূহুর্ত বরকতময় ও কল্যাণময়। আজ মাগফেরাতের দ্বিতীয় দশকের তৃতীয় দিন। খুব তাড়াতাড়ি রমজানের সময় চলে যাচ্ছে। বাকি সময়গুলোতে আল্লাহর ইবাদতে কাটাতে হবে। 

ফরজ ইবাদতের পর সবচেয়ে উত্তম নফল ইবাদত হচ্ছে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত। রমজানেই মানব জাতির কল্যাণ ও হেদায়েতের জন্য নাযিল হয়েছে পবিত্র কোরআন। যার অন্তরে কোরআন আছে, যে কোরআনের বিধিনিষেধ অনুযায়ী জীবন যাপন করবেন ও যিনি প্রতিদিন কোরআন তিলাওয়াত করবেন তার জন্য কোরআন কবরে ও হাশরে সুপারিশকারী হবে।

রমজানের যে কয়টিদিন এখন বাকি আছে প্রতিদিন বেশি বেশি করে কোরআন তিলাওয়াতের দিকে মনোযোগী হওয়া রোজাদারদের জন্য উত্তম নফল আমল। কোরআনের প্রতিটি বর্ণের নেকি রমজানে দশগুণ সওয়াব পাওয়া যায়।

গভীর মনোনিবেশ সহকারে পবিত্র কোরআন পাঠের মধ্য দিয়ে আল্লাহ’র নৈকট্য অর্জন করি তাহলে ইনশাআল্লাহ তিনি আমাদেরকে শেষ দশকে লাইলাতুল কদরের স্বাদ গ্রহণের সৌভাগ্য দান করবেন। রমজান ও পবিত্র কোরআন কারিমের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কোরআনে উল্লেখ রয়েছে- ‘রমজান সেই মাস যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন। যা মানবজাতির জন্য হেদায়াতস্বরূপ এবং হেদায়াত ও ফুরকান (অর্থাৎ হক ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্যকারী) বিষয়ক সুস্পষ্ট প্রমাণাদি। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে কেউ এই মাসকে পায়, সে যেন রোজা রাখে, কিন্তু যে কেউ রুগ্ন এবং সফরে থাকে তাহলে অন্য দিন গণনা পূর্ণ করতে হবে, আল্লাহ তোমার জন্য স্বাচ্ছন্দ্য চান এবং তোমাদের জন্য কাঠিন্য চান না আল্লাহর মহিমা কীর্তন কর, এই জন্য যে, তিনি তোমাদেরকে হেদায়াতে দিয়েছেন এবং যেন তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)।

রমজানেই মহানবী (সা.) আল্লাহপাকের পক্ষ থেকে প্রথম বাণী লাভ করেছিলেন। এ রমজান মাসেই হযরত জিবরাইল (আ.) বছরের পূর্বে অবতীর্ণ হওয়া সমস্ত বাণী মহানবীর (সা.) কাছে পুনরাবৃত্তি করতেন। এ ব্যবস্থা মহানবীর (সা.) জীবনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এছাড়া ‘মহানবী (সা.)-এর জীবনের শেষ বছরের রমজান মাসে হযরত জিবরাইল (আ.) পূর্ণ কোরআনকে মহানবীর (সা.) কাছে দু’বার পাঠ করে শুনান’ (বোখারি)।

মহানবী (সা.) বলেন, ‘রমজান ও কোরআন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, খোদা! আমি তাকে পানাহার ও কুপ্রবৃত্তি হতে নিবৃত্ত রেখেছি, তাই তুমি তার জন্য আমার সুপারিশ কবুল কর। আর কোরআন বলবে, আমি তাকে রাত্রে নিদ্রা হতে বিরত রেখেছি ও তাকে ঘুমাতে  দেইনি, এ কারণে তার জন্য আমার সুপারিশ কবুল কর। তাদের সুপারিশ কবুল করা হবে’ (বায়হাকি)।

যেহেতু আমরা রমজানের রোজাগুলো ঠিকভাবেই রাখছি, তেমনিভাবে যদি কোরআন পাঠের প্রতি এবং এর মর্মার্থ উপলব্ধি করার দিকে মনোযোগী হই তাহলে এ কোরআনই আমাদের সুপারিশের কারণ হবে।