ঢাকা ব্যুরো ## ঢাকার আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে এক তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিৎকার শুনে টহল পুলিশ বাস থামিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। একই সঙ্গে তরুণীকে উদ্ধার ও বাসটি জব্দ করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ঢাকার তুরাগ থানার গুলবাগ ইন্দ্রপুর ভাসমান গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আরিয়ান (১৮), কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া এলাকার আতিয়ারের ছেলে সাজু (২০), বগুড়ার দুপচাচিয়া উপজেলার জিয়ানগর গ্রামের শামসুল মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০), একই জেলার ধুনট উপজেলার খাটিয়ামারি এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (২৪), একই এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সোহাগ (২৫) এবং নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার ধামঘর এলাকার জহুর উদ্দিনের ছেলে মনোয়ার (২৪)।
তারা সবাই তুরাগ থানার কামারপাড়ায় ভাড়া বাসায় থেকে আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল-নবীনগর মহাসড়কে চলাচলরত গাড়িতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।
২২ বছর বয়সী এই তরুণী শুক্রবার রাতেই তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।
পরিদর্শক জিয়াউল মামলার বরাতে বলেন, তরুণী মানিকগঞ্জের বোনের বাসা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বাসে ওঠেন। রাত আটটার দিকে আশুলিয়ার নবীনগর বাসস্ট্যান্ডে নেমে তিনি অন্য বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সে সময় পূর্বপরিচিত নাজমুল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার দেখা হয়। তারা দুইজন রাত নয়টার দিকে ‘নিউ গ্রামবাংলা’ নামে একটি মিনিবাসে ওঠেন। বাস গন্তব্যে যাওয়ার আগেই অন্য যাত্রীদের নামিয়ে দেন শ্রমিকরা। তারা তরুণীকে জোরপূর্বক বাসে করে নিয়ে আবার নবীনগরের দিকে ফেরেন এবং দলবেঁধে ধর্ষণ করেন বাসের চালক সুমন, সহকারী মনোয়ার ও সুপারভাইজার সাইফুল ইসলামসহ ছয়জন। তখন তরুণীর সঙ্গী নাজমূল চিৎকার করলে টহল পুলিশ বাস থামিয়ে তাকে উদ্ধার করে। গ্রেফতার করে ছয়জনকে। জব্দ করা হয় বাস।
তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুর রশিদ। গ্রেফতারকৃতদের চার দিনের রিমান্ডে চেয়ে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান। সূত্র : বিডিনিউজ