মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাখির ঠোঁটে আরবি ও বাংলা অক্ষরে লেখা কাগজের চিরকুট

নাটোর প্রতিনিধি ##

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের কৃষক সন্তেশ প্রামাণিকের বাড়িতে চিঠি নিয়ে আসা পাখি ‘কণ্ঠী ঘুঘু’ অবমুক্ত করা হয়েছে। এ পাখির ঠোঁটে আরবি ও বাংলা অক্ষরে লেখা কাগজের চিরকুট ছিল। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। যা দেখতে উৎসুক গ্রামবাসীর ভিড়ও জমে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন (বিবিসিএফ) কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ও স্থানীয় পরিবেশকর্মী ফজলে রাব্বী জানান, বাড়িতে গিয়ে পাখাটিকে খাঁচাবন্দি অবস্থায় পাওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম এটি লালরাজ ঘুঘু, তবে দুপুরে পাখিটি উদ্ধার করে অবমুক্তের সময় নিশ্চিত হই এটি কণ্ঠী ঘুঘু। বনবিভাগ, উপজেলা নির্বাহী অফিসাসের সঙ্গে কথা বলে পাখিটিকে প্রকৃতিতে মুক্ত করে দেওয়া হয়।

কৃষক সন্তোশ প্রামাণিক জানান, চিরকুটের নিচের অংশে বাংলা অক্ষরে দুটি মেয়ে ও দুটি ছেলের নাম লেখা ছিল। আর আরবি লেখা কেউ পড়তে পারেনি।

স্থানীয় জান্নাত ক্যাডেট মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু নওশাদ নোমানী বলেন, ‘আমি চিঠিটি পড়ার চেষ্টা করেছিলাম। আরবি লেখা অস্পষ্ট হওয়ায় পড়া যায়নি। সম্ভবত কেউ এটা জাদুটোনা কাজে ব্যবহার করার জন্য করে থাকতে পারে।’

উল্লেখ্য, গত সোমবার নলডাঙ্গা উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের কৃষক সন্তোশ প্রামাণিকের বাড়ির টিনের চালায় হঠাৎ এ পাখি এসে বসে। এ সময় কৃষক সন্তোশের স্ত্রী মানিকজান প্রথমে পাখিটিকে দেখতে পায় এবং খাবার দেওয়ার কথা বললে পাখিটি টিনের চালা থেকে মাটিতে নেমে আসে।

খাবার দিয়ে পাখিটিকে ধরে খাঁচাবন্দি করে বাড়ির লোকজন। খাঁচাবন্দি করার সময় তারা পাখির ঠোঁটে আরবি ও বাংলা অক্ষরের লেখা কাগজের চিরকুট দেখতে পায়।

জনপ্রিয়

পাখির ঠোঁটে আরবি ও বাংলা অক্ষরে লেখা কাগজের চিরকুট

প্রকাশের সময় : ০৬:০১:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুন ২০২১

নাটোর প্রতিনিধি ##

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের কৃষক সন্তেশ প্রামাণিকের বাড়িতে চিঠি নিয়ে আসা পাখি ‘কণ্ঠী ঘুঘু’ অবমুক্ত করা হয়েছে। এ পাখির ঠোঁটে আরবি ও বাংলা অক্ষরে লেখা কাগজের চিরকুট ছিল। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। যা দেখতে উৎসুক গ্রামবাসীর ভিড়ও জমে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন (বিবিসিএফ) কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ও স্থানীয় পরিবেশকর্মী ফজলে রাব্বী জানান, বাড়িতে গিয়ে পাখাটিকে খাঁচাবন্দি অবস্থায় পাওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম এটি লালরাজ ঘুঘু, তবে দুপুরে পাখিটি উদ্ধার করে অবমুক্তের সময় নিশ্চিত হই এটি কণ্ঠী ঘুঘু। বনবিভাগ, উপজেলা নির্বাহী অফিসাসের সঙ্গে কথা বলে পাখিটিকে প্রকৃতিতে মুক্ত করে দেওয়া হয়।

কৃষক সন্তোশ প্রামাণিক জানান, চিরকুটের নিচের অংশে বাংলা অক্ষরে দুটি মেয়ে ও দুটি ছেলের নাম লেখা ছিল। আর আরবি লেখা কেউ পড়তে পারেনি।

স্থানীয় জান্নাত ক্যাডেট মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু নওশাদ নোমানী বলেন, ‘আমি চিঠিটি পড়ার চেষ্টা করেছিলাম। আরবি লেখা অস্পষ্ট হওয়ায় পড়া যায়নি। সম্ভবত কেউ এটা জাদুটোনা কাজে ব্যবহার করার জন্য করে থাকতে পারে।’

উল্লেখ্য, গত সোমবার নলডাঙ্গা উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের কৃষক সন্তোশ প্রামাণিকের বাড়ির টিনের চালায় হঠাৎ এ পাখি এসে বসে। এ সময় কৃষক সন্তোশের স্ত্রী মানিকজান প্রথমে পাখিটিকে দেখতে পায় এবং খাবার দেওয়ার কথা বললে পাখিটি টিনের চালা থেকে মাটিতে নেমে আসে।

খাবার দিয়ে পাখিটিকে ধরে খাঁচাবন্দি করে বাড়ির লোকজন। খাঁচাবন্দি করার সময় তারা পাখির ঠোঁটে আরবি ও বাংলা অক্ষরের লেখা কাগজের চিরকুট দেখতে পায়।