শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিয়ে করতে গিয়ে ভুয়া সাংবাদিকসহ আটক ৩

বার্তাকণ্ঠ ডেস্ক ।।

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় প্রতারণা করে বিয়ে করতে এসে বর, ঘটক ও এক ভুয়া সাংবাদিক স্থানীয়দের হাতে আটক হয়েছে। গত সোমবার (১২ জুলাই) রাতে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের পূষণী গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

আটকরা হলেন- উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের নওধার গ্রামের জুনাব আলীর ছেলে বর ফারুক আলী (৩৯), একই গ্রামের শওকত আলীর ছেলে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী সামসুল ইসলাম (৪০), তিনি নিজেকে সিলেটের দৈনিক সবুজ সিলেট পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন এবং খাজাঞ্চী ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামের মৃত ইউনুছ আলীর ছেলে ঘটক কচির আলী (৩৮)।

পরে গতকাল মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন চন্দ্র দাশের কাছে মুচলেকা ও কনেপক্ষের ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়ে ছাড়া পান তারা।

কনের পিতা হানিফ আলী জানান, ‘বিয়ের আগ মূহুর্তে আমরা জানতে পারি বর ফারুক আলী বিবাহিত। তার সন্তানও রয়েছে। অথচ বিয়ের আলাপকালে বিষয়টি বর গোপন রাখেন। তার স্ত্রী-সন্তান আছে জেনে আমরা বুঝতে পারি তিনি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আমার মেয়েকে বিয়ে করতে এসেছে। তাদের সাথে থাকা সাংবাদিক পরিচয়দানকারী সামসুল আলমও সাংবাদিক নন। ভুয়া সাংবাদিক। পরে আমরা তাদেরকে আটকে রেখে স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজ উদ্দিনকে অবহিত করি।’

খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তালুকদার মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া, উভয়পক্ষের স্থানীয় ইউপি সদস্য ও সংবাদকর্মীসহ আমার উপস্থিতিতে ওই তিনজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাছে মুচলেকা ও কনে পক্ষের ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়ে তারা ছাড়া পেয়েছেন।

 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন চন্দ্র দাশ জানান, তারা ভবিষ্যতে এমন কাজ করবে না মর্মে মুচলেকা দিয়েছেন। -ইউএনবি

বিয়ে করতে গিয়ে ভুয়া সাংবাদিকসহ আটক ৩

প্রকাশের সময় : ১২:০৬:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১

বার্তাকণ্ঠ ডেস্ক ।।

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় প্রতারণা করে বিয়ে করতে এসে বর, ঘটক ও এক ভুয়া সাংবাদিক স্থানীয়দের হাতে আটক হয়েছে। গত সোমবার (১২ জুলাই) রাতে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের পূষণী গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

আটকরা হলেন- উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের নওধার গ্রামের জুনাব আলীর ছেলে বর ফারুক আলী (৩৯), একই গ্রামের শওকত আলীর ছেলে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী সামসুল ইসলাম (৪০), তিনি নিজেকে সিলেটের দৈনিক সবুজ সিলেট পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন এবং খাজাঞ্চী ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামের মৃত ইউনুছ আলীর ছেলে ঘটক কচির আলী (৩৮)।

পরে গতকাল মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন চন্দ্র দাশের কাছে মুচলেকা ও কনেপক্ষের ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়ে ছাড়া পান তারা।

কনের পিতা হানিফ আলী জানান, ‘বিয়ের আগ মূহুর্তে আমরা জানতে পারি বর ফারুক আলী বিবাহিত। তার সন্তানও রয়েছে। অথচ বিয়ের আলাপকালে বিষয়টি বর গোপন রাখেন। তার স্ত্রী-সন্তান আছে জেনে আমরা বুঝতে পারি তিনি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আমার মেয়েকে বিয়ে করতে এসেছে। তাদের সাথে থাকা সাংবাদিক পরিচয়দানকারী সামসুল আলমও সাংবাদিক নন। ভুয়া সাংবাদিক। পরে আমরা তাদেরকে আটকে রেখে স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজ উদ্দিনকে অবহিত করি।’

খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তালুকদার মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া, উভয়পক্ষের স্থানীয় ইউপি সদস্য ও সংবাদকর্মীসহ আমার উপস্থিতিতে ওই তিনজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাছে মুচলেকা ও কনে পক্ষের ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়ে তারা ছাড়া পেয়েছেন।

 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন চন্দ্র দাশ জানান, তারা ভবিষ্যতে এমন কাজ করবে না মর্মে মুচলেকা দিয়েছেন। -ইউএনবি