স্টাফ রিপোর্টার ।।
ঈদুল আজহার ছুটি শেষেই কঠোর বিধিনিষেধের বেড়াজালে আটকে পড়বে পুরো দেশ। এর আগের প্রজ্ঞাপনগুলোতে সীমিত আকারে সরকারি অফিস চললেও এবারের বিধিনিষেধে বন্ধ থাকবে সব সরকারি কার্যালয়ও। ঈদ-পরবর্তী দীর্ঘ এ ছুটির ফাঁদে এর মধ্যেই সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে জমা পড়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লম্বা ছুটির তালিকা। যারা কোভিড মোকাবিলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত নয়, এমন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গ্রামের বাড়িতেই থেকে যেতে চান কঠোর বিধিনিষেধের ১৪ দিন।
সম্প্রতি সরকারের তথ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো বিবরণীতে জানানো হয়েছে, করোনা প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাঠপর্যায়ের এ কমিটিগুলোতে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাইরেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান, যুব, কৃষি, আনসার ও ভিডিপির মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এ অবস্থায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এসেছে নতুন নির্দেশনা। বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের পাঠানো এ নির্দেশনায় কঠোরভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিধিনিষেধ আরোপকালীন সরকারি কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে। এ সময় বিভিন্ন বিভাগ, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সব দপ্তরের সরকারি কর্মচারীদের নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
ছুটি না কাটিয়ে মাঠপর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সক্রিয় থাকার বিষয়টিকে ইতিবাচক মনে করছেন সাবেক সচিব মোফাজ্জল করিম।
তিনি বলেন, কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভার্চুয়ালি সব কার্যক্রম চালাতে হবে।
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।