ঢাকা ব্যুরো।। ফাঁকা হচ্ছে রাজধানী ঢাকা। এ শহর ছাড়তে ভোর থেকেই ছুটছে মানুষ। ফলে ভিড় বাড়ছে সড়ক-মহাসড়কে, বাস-রেলস্টেশন এবং লঞ্চ টার্মিনালে।
গতবারের মতো এবারও করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতিতে ঈদুল আজহা উদযাপন হতে যাচ্ছে।
ঈদের আগের দিন মঙ্গলবার (২০ জুলাই) রাজধানীর গুলিস্তান ও সায়েদাবাদ বাসস্টেশনে দেখা গেছে নানা বয়সী বিপুল সংখ্যক মানুষকে। তারা ছুটছেন গ্রামের পথে। পরিবারের সঙ্গে ঈদের খুশি ভাগাভাগি করে নিতে তাদের এই যাত্রা। ফলে বাস, রেলস্টেশন ও লঞ্চ টার্মিনালে বাড়ছে ভিড়। পায়ে হেটে, রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে করে বিভিন্ন স্টেশনে যাচ্ছেন তারা। করোনার ঝুঁকির কথা জেনেও সবাই ছুটছেন।
এ ধরনের যাত্রার কারণে সংক্রমণ ও মৃত্যু আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা সংক্রমণ কমাতে শতভাগ মানুষকে মাস্ক পরিধানসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেখা যায়নি বেশিরভাগ মানুষকে।
এর আগে ১৫ জুলাই থেকে বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে সড়কে অসংখ্য মানুষের উপস্থিতি দেখা মেলে। তবে ঈদের আগের দিন মঙ্গলবার ঢাকার সড়কে লোকজন ও যানবাহনের উপস্থিতি কমতে শুরু করে।
করোনা সংক্রমণ রোধে দেশে ১ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত টানা দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর হয়। এরপর ঈদকে সামনে রেখে গত ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করে গণপরিবহন, মার্কেট ও শপিংমল, অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়। তবে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আবার বিধিনিষেধের আগাম ঘোষণা দিয়ে রেখেছে সরকার।