
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। ইরান, চীন, ভারত ও আফগানিস্তানের মতো প্রতিবেশি ও বিভিন্ন জটিল নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে বাস করছে পাকিস্তান। পারমাণবিক অস্ত্র বহন করা নয়টি দেশের মধ্যে তারা অন্যতম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রাগার ক্রমশ বিকশিত হওয়ার পাশাপাশি হুমকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশটি এখন নিজস্ব একটি পারমাণবিক ট্রায়াডও তৈরির চেষ্টা করছে।
মূলত পাকিস্তানের পারমাণবিক প্রোগ্রামের শুভ সূচনা হয় ১৯৫০ এর দশকে। ১৯৬৫ সালে দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেছিলেন, যদি ভারত বোমা তৈরি করে, তাহলে আমরা ঘাস খাবো কিংবা ক্ষুদার্ত থাকবো, তবুও আমরা আমাদের একটা (পারমাণবিক বোমা) পেতে চাই।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজয়ের পর তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি আরও গতিলাভ করে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভারতের সহায়তায় বাংলাদেশের স্বাধীন হওয়া পাকিস্তানের জন্য ব্যাপক ক্ষতির পাশাপাশি খুবই অপমানজনক ছিল।
১৯৭৪ সালে ‘স্মাইলিং বুদ্ধ’ নামে নিজেদের প্রথম বোমার পরীক্ষা চালায় ভারত। সে সময় পাকিস্তানও তাদের পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করে। যার অন্যতম কারিগর ছিলেন এ.কে খান। তিনি এ কাজের জন্য ১৯৭৫ সালে নিজ দেশে ফিরে আসেন।
পাকিস্তানের পারমাণবিক শক্তি কমিশনের এক সদস্য বলেছেন, ১৯৭৮ সালে পারমাণবিক বোমার ডিজাইন সম্পন্ন হয়ে যায়। পরবর্তীতে বেনজির ভুট্টো দাবি করেছিলেন, পাকিস্তানের বোমাগুলো ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে সংরক্ষণ করে রাখা হয়।
ঠিক ওই সময়ে তিন দিনের ব্যবধানে ছয়টি পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালায় ভারত। এর প্রায় তিন সপ্তাহ পর পাকিস্তানও একইভাবে একদিনেই পাঁচটি বোমার পরীক্ষা চালায় এবং তিন দিন পর ৬ষ্ঠ বোমার পরীক্ষা চালায়।