যশোর ব্যুরো ।।
যশোরে একদিন বয়সী ফুটফুটে নবজাতককে কলাবাগান এলাকায় একটি বাড়ির বাথরুমের পেছনের গলি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এক কিশোরী মা তাকে ফেলে যায়। শিশুটির কান্না শুনে আশপাশের লোকজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে পুলিশ নবজাতককে উদ্ধার করে।
যশোর উপশহর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য খায়রুল বাশার বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে খবর পাই কলাবাগান এলাকায় একটি বাড়ির বাথরুমের পেছনে একটি গলির ভেতরে মানব শিশুর কান্না শোনা যাচ্ছে। পরে সেখানে একটি শিশুকে পড়ে থাকতে দেখে ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হয়।’
খবর পেয়ে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সাইফুল মালেক ঘটনাস্থলে যান এবং শিশুটিকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এসআই সাইফুল মালেক বলেন, ‘উদ্ধারের সময় শিশুটির শরীরে ডেইয়োর (বিষাক্ত পিঁপড়াজাতীয় প্রাণী) কামড়ের চিহ্ন ছিল। রাতেই অভিযান চালিয়ে শিশুর মা ও বাবাকে শনাক্ত করে দুজনকেই আটক করি।’
শিশুটির মায়ের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, সে অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো। বেশ কয়েক বছর ধরে বাঘারপাড়া উপজেলার ছোটখুদড়া এলাকার এক যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে তা শারীরিক সম্পর্কে রূপ নেয়। ফলে সে সন্তানসম্ভবা হয় এবং গতরাতে প্রসব করে।
এদিকে, শিশুটিকে সুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বুধবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরেই তার মায়ের কাছে দিয়েছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আরিফ আহমেদ বলেন, ‘শিশু ও তার মায়ের আল্ট্রাসনো করা হয়েছে। এছাড়া ডিএনএ পরীক্ষার জন্য উভয়ের চুল, রক্ত, নখ ইত্যাদি সংগ্রহ করা হয়েছে। আদালত চাইলে আমরা রিপোর্ট পেশ করব।’
যশোর কোতোয়ালী থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, মেয়েটি সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর প্রেমিক তাকে গ্রহণ করতে চায়নি। বিয়ে করতেও অস্বীকার করে। এ ঘটনায় গেল রাতে তার (ছেলেটির) বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা হয়। বুধবার দুপুরে মেয়েটি ও তার প্রেমিককে আদালতে হাজির করা হয়।