বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পরকিয়ায় খুন গৃহবধূ, লাশ ফেলে পালালেন স্বামী-শ্বশুর

বাগআঁচড়া প্রতিনিধি।।যশোরের শার্শায় এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে। উপজেলার বাগআঁচড়া সাতমাইল গ্রামের হাজী পাড়ায় শুক্রবার (৩০ জুলাই) রাতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর নিহত গৃহবধূ লাবনীর স্বামী ইমামুল ইসলামসহ বাড়ির সবাই পলাতক।

স্থানীয়রা জানায়, পাঁচ বছর আগে যশোরের মনিরামপুরের সবুজ আলী গাজীর মেয়ে লাবনীর বিয়ে হয় শফিকুল ইসলামের ছেলে ইমামুল ইসলামের সঙ্গে। সম্প্রতি লাবনীর স্বামী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে প্রতিরাতে ইমামুল তার স্ত্রীকে মারধর করত। শুক্রবার রাতে মোবাইল ফোন দেখতে গিয়ে স্থানীয় একটি মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের একটি অডিও রেকর্ডিং শুনতে পান লাবনী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে লাবনীকে মারধর শুরু করে ইমামুল। এ সময় ইমামুলের বাবা শফিও তার সঙ্গে যোগ দেন বলে অভিযোগ।
এক পর্যায়ে লাবনী মারা যায়। পরে সেটি আত্মহত্যা বলে রটাতে লাবনীর মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে যায় তার স্বামী ও শ্বশুর। তারা এটা আত্মহত্যা বলে প্রচার করে। তবে, পুলিশ আসার আগে ইমামুল ও তার পরিবারের সকলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

নিহত লাবনীর ভাই সোহেল বলেন, যৌতুকের টাকার জন্য ইমামুল প্রায় আমার বোনকে মারধর করত। আমরা অনেকবার বোনের সুখের জন্য তাকে টাকা দিয়েছি। পরকীয়াসহ বিভিন্নভাবে সেই টাকা খরচ করে ফেলত। এর আগে কয়েকবার আমার বোনকে মারধর করে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিল।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদরুল আলম খান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বাড়ির লোকজন পলাতক থাকায় এটাকে হত্যা বলে মনে হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শষ্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট না এলে কিছু বলা যাচ্ছে না। নিহত লাবনীর পিতা বাদী হয়ে শার্শা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ১৭, তারিখঃ ৩১/০৭/২১।

পরকিয়ায় খুন গৃহবধূ, লাশ ফেলে পালালেন স্বামী-শ্বশুর

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৫:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১

বাগআঁচড়া প্রতিনিধি।।যশোরের শার্শায় এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে। উপজেলার বাগআঁচড়া সাতমাইল গ্রামের হাজী পাড়ায় শুক্রবার (৩০ জুলাই) রাতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর নিহত গৃহবধূ লাবনীর স্বামী ইমামুল ইসলামসহ বাড়ির সবাই পলাতক।

স্থানীয়রা জানায়, পাঁচ বছর আগে যশোরের মনিরামপুরের সবুজ আলী গাজীর মেয়ে লাবনীর বিয়ে হয় শফিকুল ইসলামের ছেলে ইমামুল ইসলামের সঙ্গে। সম্প্রতি লাবনীর স্বামী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে প্রতিরাতে ইমামুল তার স্ত্রীকে মারধর করত। শুক্রবার রাতে মোবাইল ফোন দেখতে গিয়ে স্থানীয় একটি মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের একটি অডিও রেকর্ডিং শুনতে পান লাবনী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে লাবনীকে মারধর শুরু করে ইমামুল। এ সময় ইমামুলের বাবা শফিও তার সঙ্গে যোগ দেন বলে অভিযোগ।
এক পর্যায়ে লাবনী মারা যায়। পরে সেটি আত্মহত্যা বলে রটাতে লাবনীর মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে যায় তার স্বামী ও শ্বশুর। তারা এটা আত্মহত্যা বলে প্রচার করে। তবে, পুলিশ আসার আগে ইমামুল ও তার পরিবারের সকলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

নিহত লাবনীর ভাই সোহেল বলেন, যৌতুকের টাকার জন্য ইমামুল প্রায় আমার বোনকে মারধর করত। আমরা অনেকবার বোনের সুখের জন্য তাকে টাকা দিয়েছি। পরকীয়াসহ বিভিন্নভাবে সেই টাকা খরচ করে ফেলত। এর আগে কয়েকবার আমার বোনকে মারধর করে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিল।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদরুল আলম খান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বাড়ির লোকজন পলাতক থাকায় এটাকে হত্যা বলে মনে হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শষ্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট না এলে কিছু বলা যাচ্ছে না। নিহত লাবনীর পিতা বাদী হয়ে শার্শা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ১৭, তারিখঃ ৩১/০৭/২১।