শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১০ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

গুরুত্বপূর্ণ ৩ শহর দখলে আফগান বাহিনীর সঙ্গে তালেবানের তীব্র লড়াই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ঘিরে এখন তীব্র লড়াই চলছে। আফগান সরকারি বাহিনীর কাছ থেকে এসব শহরের দখল নেয়ার জন্য তালেবান সেখানে তীব্র হামলা চালাচ্ছে। পশ্চিমের হেরাত শহরে বিদ্রোহীরা তাদের আক্রমণ জোরদার করেছে এবং খবর পাওয়া যাচ্ছে তালেবান যোদ্ধারা শহরের ভেতরে ঢুকে পড়ছে। লস্কর গাহ এবং কান্দাহারেও লড়াই চলছে।

তালেবান যোদ্ধারা হেরাত শহরের দক্ষিণে রণাঙ্গন এলাকা অতিক্রম করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে পড়েছে এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর আগে আফগান কর্মকর্তারা বলেছিলেন, আমেরিকান বিমান হামলার সহায়তায় তারা তালেবান বিদ্রোহীদের পিছু হঠতে বাধ্য করেছেন। কিন্তু শনিবার হেরাতে আবারও তুমুল লড়াই শুরু হয়েছে।

সরকার সমর্থক ৭০ বছর বয়সী গোষ্ঠী-নেতা ইসমাইল খান বলেন, হেরাত রক্ষা করতে তিনি মিলিশিয়াদের সাহায্য নিচ্ছেন। দক্ষিণেও তালেবান তাদের আক্রমণ তীব্র করেছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হেলমান্দ প্রদেশের লস্কর গাহ শহরের ওপর বিমান হামলায় একটি হাসপাতালের ক্ষতি হয়েছে এবং একজন নিহত হয়েছে।

হাসপাতালের ভেতর কতজন ছিলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। লস্কর গাহ তালেবানের দ্বিতীয় প্রাদেশিক রাজধানী। আফগান সরকারের কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন, তারা লস্কর গাহ শহরে তালেবানের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে সমর্থ হয়েছেন এবং আমেরিকার বিমান হামলায় অনেক তালেবান যোদ্ধা হতাহত হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, তালেবান গতকাল গর্ভনরের দফতরের কাছাকাছি পৌঁছেছিল, কিন্তু তাদের হঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে এক আফগান এমপি জানিয়েেছেন, লড়াইয়ে কান্দাহার শহরে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে এবং খাদ্য ও পানির চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

আফগানিস্তান বিষয়ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষ দূত টমাস নিকলাসন বলেছেন, আফগানিস্তানের যুদ্ধ আরও খারাপ দিকে মোড় নেবে বলে মনে করছেন তিনি।

বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তার আশংকা হচ্ছে তালেবান এখন আগের মতোই আবার একটি ইসলামিক আমিরাত পুনঃপ্রতিষ্ঠার কথা ভাবছে।

এদিকে ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল ডেভিড রিচার্ডস হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, আন্তর্জাতিক বাহিনী প্রত্যাহারের ফলে এখন আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর মনোবলে ধস নামতে পারে, যার পরিণামে তালেবান আবার আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে। সেখান থেকে আবার নতুন করে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের হুমকি তৈরি হতে পারে।

জনপ্রিয়

গুরুত্বপূর্ণ ৩ শহর দখলে আফগান বাহিনীর সঙ্গে তালেবানের তীব্র লড়াই

প্রকাশের সময় : ১২:২২:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অগাস্ট ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ঘিরে এখন তীব্র লড়াই চলছে। আফগান সরকারি বাহিনীর কাছ থেকে এসব শহরের দখল নেয়ার জন্য তালেবান সেখানে তীব্র হামলা চালাচ্ছে। পশ্চিমের হেরাত শহরে বিদ্রোহীরা তাদের আক্রমণ জোরদার করেছে এবং খবর পাওয়া যাচ্ছে তালেবান যোদ্ধারা শহরের ভেতরে ঢুকে পড়ছে। লস্কর গাহ এবং কান্দাহারেও লড়াই চলছে।

তালেবান যোদ্ধারা হেরাত শহরের দক্ষিণে রণাঙ্গন এলাকা অতিক্রম করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে পড়েছে এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর আগে আফগান কর্মকর্তারা বলেছিলেন, আমেরিকান বিমান হামলার সহায়তায় তারা তালেবান বিদ্রোহীদের পিছু হঠতে বাধ্য করেছেন। কিন্তু শনিবার হেরাতে আবারও তুমুল লড়াই শুরু হয়েছে।

সরকার সমর্থক ৭০ বছর বয়সী গোষ্ঠী-নেতা ইসমাইল খান বলেন, হেরাত রক্ষা করতে তিনি মিলিশিয়াদের সাহায্য নিচ্ছেন। দক্ষিণেও তালেবান তাদের আক্রমণ তীব্র করেছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হেলমান্দ প্রদেশের লস্কর গাহ শহরের ওপর বিমান হামলায় একটি হাসপাতালের ক্ষতি হয়েছে এবং একজন নিহত হয়েছে।

হাসপাতালের ভেতর কতজন ছিলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। লস্কর গাহ তালেবানের দ্বিতীয় প্রাদেশিক রাজধানী। আফগান সরকারের কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন, তারা লস্কর গাহ শহরে তালেবানের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে সমর্থ হয়েছেন এবং আমেরিকার বিমান হামলায় অনেক তালেবান যোদ্ধা হতাহত হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, তালেবান গতকাল গর্ভনরের দফতরের কাছাকাছি পৌঁছেছিল, কিন্তু তাদের হঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে এক আফগান এমপি জানিয়েেছেন, লড়াইয়ে কান্দাহার শহরে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে এবং খাদ্য ও পানির চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

আফগানিস্তান বিষয়ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষ দূত টমাস নিকলাসন বলেছেন, আফগানিস্তানের যুদ্ধ আরও খারাপ দিকে মোড় নেবে বলে মনে করছেন তিনি।

বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তার আশংকা হচ্ছে তালেবান এখন আগের মতোই আবার একটি ইসলামিক আমিরাত পুনঃপ্রতিষ্ঠার কথা ভাবছে।

এদিকে ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল ডেভিড রিচার্ডস হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, আন্তর্জাতিক বাহিনী প্রত্যাহারের ফলে এখন আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর মনোবলে ধস নামতে পারে, যার পরিণামে তালেবান আবার আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে। সেখান থেকে আবার নতুন করে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের হুমকি তৈরি হতে পারে।