আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
ওমান উপকূলে মাসিরা দ্বীপের কাছে ইসরায়েলের একটি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার ঘটনায় ইরানকে দুষছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এটি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করে পালটা জবাব দেওয়ার কথা বলেছে দেশ দুটি। সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইরানকে এ ধরনের হামলা বন্ধ করতে হবে এবং জাহাজগুলোকে অবাধে চলাচলের অনুমতি দিতে হবে।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, ‘ওয়াশিংটনও আত্মবিশ্বাসী যে, ইরান এই হামলা পরিচালনা করেছে এবং এর বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।’
ট্যাংকারে হামলার ঘটনাটি ইরান ও ইসরায়েলের অঘোষিত ‘ছায়াযুদ্ধের’ সর্বশেষ অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। মার্চের পর থেকে ইসরায়েল ও ইরান পরিচালিত জাহাজগুলোতে বেশ কয়েকটি হামলা হয়েছে, যাকে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা হিসেবে দেখা হয়।
এর আগে ইরান তাদের পারমাণবিক কেন্দ্র এবং বিজ্ঞানীদের লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ তুলেছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে।
ইসরায়েলের গণমাধ্যম জানিয়েছে, লন্ডনভিত্তিক জোডিয়াক ম্যারিটাইম কোম্পানি পরিচালিত ‘এমভি মারসার স্ট্রিট’ নামের ট্যাংকারটি গত বৃহস্পতিবার আরব সাগর হয়ে ওমানের উপকূলের দিকে যাচ্ছিল। তখনই ট্যাংকারে হামলার ঘটনা ঘটে। জোডিয়াক ম্যারিটাইম কোম্পানিটির মালিক ইসরায়েলের ধনকুবের আইয়াল অফার।
জোডিয়াক বলেছে, জাহাজটি তানজানিয়ার রাজধানী দারুসসালাম থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরা বন্দরে যাচ্ছিল। হামলার সময় জাহাজটি ভারত মহাসাগরের উত্তরাংশে ছিল।
তবে, মেরিন ট্রাফিক ডট কম-এর স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং ডাটা থেকে দেখা যায়, ব্রিটিশ কর্মকর্তারা যে স্থানের নাম বলেছেন, হামলার সময় জাহাজটি তার কাছেই ছিল।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াইর ল্যাপিড গত শুক্রবার ট্যাংকারে হামলার পেছনে ‘ইরানি সন্ত্রাসবাদ’-কে দায়ী করেন।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইরান কেবল ইসরায়েলের সমস্যা নয়…। বিশ্ব চুপ করে থাকলে হবে না।’
ব্রিটিশ সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ট্যাংকারে হামলার ঘটনায় যুক্তরাজ্য ‘অবিলম্বে সত্য সামনে আনার’ চেষ্টা করছে।