ঢাকা ব্যুরো ।।
অন্তঃসত্ত্বা ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের টিকাদান আগামী ৭ আগস্ট থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সোমবার (২ আগস্ট) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে চলমান টিকা কার্যক্রমে অন্তঃসত্ত্বাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার বিষয়ের আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত চেয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলকে পদক্ষেপ নিতে বলেন হাইকোর্ট।সোমবার (২ আগস্ট) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ মৌখিকভাবে এ আদেশ দেন।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে আজ আদালত মৌখিকভাবে এ আদেশ দিয়ে আবেদনটি মুলতবি রাখেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও বিপুল বাগমার।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশের কোনো জবাব না পাওয়ায় এ রিট করা হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন রিটকারীদের একজন আইনজীবী হুমায়ন কবির পল্লব।
রিটে স্বাস্থ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং আইইডিসিআরের পরিচালককে বিবাদী করা হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৩৫ লাখ নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়। অর্থাৎ ৩৫ লাখ অন্তঃসত্ত্বা আরও ৩৫ লাখ মানুষের অস্তিত্ব বহন করেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় সরকারের নির্ধারিত করোনার টিকা রেজিস্ট্রেশনের সুরক্ষা অ্যাপে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিবন্ধন করতে অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। অথচ তাদের চেয়েও কম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অন্তঃসত্ত্বাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এ অধিকার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান স্বীকৃত একটি মৌলিক অধিকার। তাদের অগ্রাধিকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করা একটি নিপীড়নমূলক, বৈষম্যমূলক এবং তাদের জীবনধারণের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।