শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপজেলা চেয়ারম্যান বিপুলের ১৮ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা

শহিদ জয়,যশোর ব্যুরো।। চলমান করোনাকালে টানা ১৮ দিনে ১৮ হাজার ৬০০ পরিবারের মাঝে নগদ টাকা, রান্না করা খাবার, সবজিসহ খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ উপহার পৌঁছে দিয়েছেন সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন বিপুল। গত ৩ জুলাই কঠোর লকডাউন শুরু হলে তিনি বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেয়ার কর্মসূচি হাতে নেন।
৩ জুলাই তিনি উদ্বোধন করেন বিনামূল্যে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ থাকা রোগীদের বিনামূল্যে টেলিমেডিস সেবা। একই সাথে বীরমুক্তিযোদ্ধা, এতিম, প্রতিবন্ধী ও করোনা আক্রান্ত বিধবা মায়েদের চিকিৎসার সব দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দেন।
আনোয়ার হোসেন বিপুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা মোকাবেলায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন। আমরা একটা যুদ্ধের মধ্যে আছি। আমাদের শত্রু অদৃশ্য করোনা ভাইরাস। এটাকে মোকাবেলা করতে গিয়ে অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। আমি আমার সাধ্য মতো তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের পক্ষে আমরা মাঠে আছি। যশোর সদর উপজেলায় করোনাকালে কর্মহীন কোন মানুষ না খেয়ে থাকবে না। এজন্য যা যা প্রয়োজন আমরা সবকিছুই করবো।’
আনোয়ার হোসেন বিপুলের ‘খাদ্য সামগ্রী বিতরণ সেল’ এর আহবায়ক আলীমুজ্জামান মিলন জানান, গত ৩ জুলাই থেকে যশোরে কঠোর লকডাউন শুরু হয়। পরদিন থেকে কর্মহীনদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ টাকা বিতরণ শুরু করেন যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন বিপুল। প্রথম দিন ইছালী ইউনিয়নে ২০০ জন চা দোকানাী, রিকসা চালককে দেয়া হয় নগদ ৫০০ টাকা করে। একই দিন শহরের বকচর এলাকায় ১২০ জনকে দেয়া হয় খাদ্য সামগ্রী। ৫ জুলাই থেকে যশোর শহরের কর্মহীনদের বাড়িতে সবজি পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নেন তিনি। প্রথম দিন যশোর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে এক হাজার ২০০ প্যাকেট সবজি বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয়। ধারাবাহিকভাবে এই কর্মসূচি চালানোর জন্য ৯টি ওয়ার্ডে একটি করে স্বেচ্ছাসেব টিম গঠন করা হয়। এই টিমের সদস্যরা টানা ১৭ জুলাই পর্যন্ত শহরের ৯ হাজার পরিবারে সবজি পৌঁছে দেন। এছাড়া ৫ জুলাই আরবপুর ইউনিয়নের দিনমজুর, চা বিক্রেতা ও কর্মহীন ১২০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী হিসেবে চাল, ডাল, আলু, লবণ ও তেল দেয়া হয়।
৬ জুলাই সকালে কচুয়া ইউনিয়নে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন বিপুল। এ দিন থেকে শুরু হয়ে শহরে রান্না করা খাবার বিতরণ। চা চলে ১৯ জুলাই পর্যন্ত। এই সময় শহরের ৯টি ওয়ার্ডে তিনি দুই সহস্রাধীক প্যাকেট রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ৭ জুলাই উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নে তিন শতাধিক পরিবাককে চাল, ডাল, আলু, লবণ ও তেল দেয়া হয়।
৮ জুলাই ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ২০০ মানুষকে রান্না করা খাবার, ৬০০ পরিবারে সবজি ও দেয়াড়া ইউনিয়নে ১২০ পরিবারে খাদ্য সামগ্রী দেন সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। ৯ জুলাই সকালে রামনগর ইউনিয়নের ১২০ জনকে খাদ্য সামগ্রী, শহরের ছয়টি ওয়ার্ডে ৬০০ পরিবারকে সবজি ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ২০০ প্যাকেট রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।
এভাবে ১০ জুলাই ৮৩০ পরিবারকে, ১১ জুলাই এক হাজার ৫০ পরিবারকে, ১২ জুলাই ৯৩০ পরিবারকে, ১৩ জুলাই এক হাজার ১০০ পরিবারকে, ১৪ জুলাই এক হাজার ৫৫০ পরিবারকে, ১৫ জুলাই এক হাজার ১৪৫ পরিবারকে, ১৬ জুলাই ৮৩০ পরিবারকে, ১৭ জুলাই এক হাজার ৫০ পরিবারকে, ১৮ জুলাই ৮০ জন সাংস্কৃতি কর্মীকে নগদ দুই হাজার টাকা করে এবং চাঁচড়া ইউনিয়নে ১০০ জনকে ঈদ উপহার দেয়া হয়। ১৯ জুলাই সম্মুখসারির করোনা যোদ্ধা ৮০ জন সাংবাদিককে, ৮০ জন খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠককে ঈদ উপহার হিসেবে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। এছাড়া এদিন ৬০ জন প্রতিবন্ধী ও এতিম শিশুকে উপহার হিসেবে দেয়া হয় ঈদের নতুন পোষাক।

উপজেলা চেয়ারম্যান বিপুলের ১৮ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা

প্রকাশের সময় : ১১:৫৪:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ অগাস্ট ২০২১

শহিদ জয়,যশোর ব্যুরো।। চলমান করোনাকালে টানা ১৮ দিনে ১৮ হাজার ৬০০ পরিবারের মাঝে নগদ টাকা, রান্না করা খাবার, সবজিসহ খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ উপহার পৌঁছে দিয়েছেন সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন বিপুল। গত ৩ জুলাই কঠোর লকডাউন শুরু হলে তিনি বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেয়ার কর্মসূচি হাতে নেন।
৩ জুলাই তিনি উদ্বোধন করেন বিনামূল্যে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ থাকা রোগীদের বিনামূল্যে টেলিমেডিস সেবা। একই সাথে বীরমুক্তিযোদ্ধা, এতিম, প্রতিবন্ধী ও করোনা আক্রান্ত বিধবা মায়েদের চিকিৎসার সব দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দেন।
আনোয়ার হোসেন বিপুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা মোকাবেলায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন। আমরা একটা যুদ্ধের মধ্যে আছি। আমাদের শত্রু অদৃশ্য করোনা ভাইরাস। এটাকে মোকাবেলা করতে গিয়ে অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। আমি আমার সাধ্য মতো তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের পক্ষে আমরা মাঠে আছি। যশোর সদর উপজেলায় করোনাকালে কর্মহীন কোন মানুষ না খেয়ে থাকবে না। এজন্য যা যা প্রয়োজন আমরা সবকিছুই করবো।’
আনোয়ার হোসেন বিপুলের ‘খাদ্য সামগ্রী বিতরণ সেল’ এর আহবায়ক আলীমুজ্জামান মিলন জানান, গত ৩ জুলাই থেকে যশোরে কঠোর লকডাউন শুরু হয়। পরদিন থেকে কর্মহীনদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ টাকা বিতরণ শুরু করেন যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন বিপুল। প্রথম দিন ইছালী ইউনিয়নে ২০০ জন চা দোকানাী, রিকসা চালককে দেয়া হয় নগদ ৫০০ টাকা করে। একই দিন শহরের বকচর এলাকায় ১২০ জনকে দেয়া হয় খাদ্য সামগ্রী। ৫ জুলাই থেকে যশোর শহরের কর্মহীনদের বাড়িতে সবজি পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নেন তিনি। প্রথম দিন যশোর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে এক হাজার ২০০ প্যাকেট সবজি বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয়। ধারাবাহিকভাবে এই কর্মসূচি চালানোর জন্য ৯টি ওয়ার্ডে একটি করে স্বেচ্ছাসেব টিম গঠন করা হয়। এই টিমের সদস্যরা টানা ১৭ জুলাই পর্যন্ত শহরের ৯ হাজার পরিবারে সবজি পৌঁছে দেন। এছাড়া ৫ জুলাই আরবপুর ইউনিয়নের দিনমজুর, চা বিক্রেতা ও কর্মহীন ১২০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী হিসেবে চাল, ডাল, আলু, লবণ ও তেল দেয়া হয়।
৬ জুলাই সকালে কচুয়া ইউনিয়নে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন বিপুল। এ দিন থেকে শুরু হয়ে শহরে রান্না করা খাবার বিতরণ। চা চলে ১৯ জুলাই পর্যন্ত। এই সময় শহরের ৯টি ওয়ার্ডে তিনি দুই সহস্রাধীক প্যাকেট রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ৭ জুলাই উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নে তিন শতাধিক পরিবাককে চাল, ডাল, আলু, লবণ ও তেল দেয়া হয়।
৮ জুলাই ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ২০০ মানুষকে রান্না করা খাবার, ৬০০ পরিবারে সবজি ও দেয়াড়া ইউনিয়নে ১২০ পরিবারে খাদ্য সামগ্রী দেন সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। ৯ জুলাই সকালে রামনগর ইউনিয়নের ১২০ জনকে খাদ্য সামগ্রী, শহরের ছয়টি ওয়ার্ডে ৬০০ পরিবারকে সবজি ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ২০০ প্যাকেট রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।
এভাবে ১০ জুলাই ৮৩০ পরিবারকে, ১১ জুলাই এক হাজার ৫০ পরিবারকে, ১২ জুলাই ৯৩০ পরিবারকে, ১৩ জুলাই এক হাজার ১০০ পরিবারকে, ১৪ জুলাই এক হাজার ৫৫০ পরিবারকে, ১৫ জুলাই এক হাজার ১৪৫ পরিবারকে, ১৬ জুলাই ৮৩০ পরিবারকে, ১৭ জুলাই এক হাজার ৫০ পরিবারকে, ১৮ জুলাই ৮০ জন সাংস্কৃতি কর্মীকে নগদ দুই হাজার টাকা করে এবং চাঁচড়া ইউনিয়নে ১০০ জনকে ঈদ উপহার দেয়া হয়। ১৯ জুলাই সম্মুখসারির করোনা যোদ্ধা ৮০ জন সাংবাদিককে, ৮০ জন খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠককে ঈদ উপহার হিসেবে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। এছাড়া এদিন ৬০ জন প্রতিবন্ধী ও এতিম শিশুকে উপহার হিসেবে দেয়া হয় ঈদের নতুন পোষাক।