বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সাতক্ষীরায় বীর মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলা

সাতক্ষীরা ব্যুরো।।: সাতক্ষীরায় বীরমুক্তিযোদ্ধা বি.এম আব্দুর রাজ্জাক ও তার পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের হলরুমে উক্ত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বীরমুক্তিযোদ্ধা বিএম আব্দুর রাজ্জাক তার লিখিত বক্তব্যে এ সময় বলেন, শহরের সুলতানপুরের আব্দুর রহিম বাবু একজন নব্য সন্ত্রাসী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বর্তমানে সুলতানপুর এলাকার অনেক সম্মানী মানুষ সন্ত্রাসী বাবুর কাছে সম্মানিত হয়েছেন। হয়েছেন নির্যাতিত এবং মারপিটের শিকার। কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় তার সন্ত্রাসী কার্যাকলাপের জন্য একটি লেবার বাহিনী রয়েছে।

তিনি বলেন, গত ৪ আগষ্ট দুপুর আড়াইটার দিকে শহরের বড়বাজারস্থ আমার গোডাউনে সদর উপজেলার ভালুকা চাঁদপুর এলাকার আনিছুর রহমানের সাথে পাওনা টাকা নিয়ে আব্দুর রহিম বাবুর বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে বাবু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে বেধড়ক পিটাতে করতে থাকে। এ সময় তিনি ও তার ছেলে সামিউল হাসান সজল এবং তার শ্যালক শেখ তহিদুজ্জামান চপল ও শ্যালকের ছেলে তামজিদুজ্জামান গোলযোগ ঠেকাতে সেখানে গেলে বাবু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের উপরও হামলা চালায়। এ সময় গুরুতর আহত হয় তার শ্যালকের ছেলে তামজিদুজ্জামান, ছেলে সামিউল হাসান সজল, শ্যালক চপল ও আমি নিজেই।

এ ঘটনার পরদিন (৫ আগষ্ট) তার শ্যালক শেখ তহিদুজ্জামান চপল সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তিন দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ সন্ত্রাসী বাবুসহ তার বাহিনীকে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়েছেন। বীরমুক্তিযোদ্ধা বিএম আব্দুর রাজ্জাক এ সময় তিনি ও তার পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় বাবুসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর গ্রেফতারের জোর দাবি জানান।

এদিকে, অবিলম্বে সন্ত্রাসী বাবু ও তার বাহিনীকে গ্রেফতার করা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট কমান্ড। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তি যোদ্ধা মশিউর রহমান মশু, সাবেক সদর উপজেলা কমান্ডার মাহবুবুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমান, রফিকুজ্জামান খোকন প্রমুখ।

তবে, হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত আব্দুর রহিম বাবু জানান, গত ৪ আগষ্ট চপলের বাড়ির সামনে আনিছকে পেয়ে আমি আমার পাওনা ১৫ হাজার টাকা চাই। এ সময় চপলসহ তার লোকজন আমার উপর আক্রমণ করলে আমার ভাইপো ইসরাফিল ঠেকাতে আসে। এক পর্যায়ে চপলের ছেলে তামজিদুজ্জামান আমার ভাইপো ইসরাফিলকে আহত করে। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় তিনিও একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান।

সাতক্ষীরায় বীর মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলা

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৪:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অগাস্ট ২০২১

সাতক্ষীরা ব্যুরো।।: সাতক্ষীরায় বীরমুক্তিযোদ্ধা বি.এম আব্দুর রাজ্জাক ও তার পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের হলরুমে উক্ত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বীরমুক্তিযোদ্ধা বিএম আব্দুর রাজ্জাক তার লিখিত বক্তব্যে এ সময় বলেন, শহরের সুলতানপুরের আব্দুর রহিম বাবু একজন নব্য সন্ত্রাসী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বর্তমানে সুলতানপুর এলাকার অনেক সম্মানী মানুষ সন্ত্রাসী বাবুর কাছে সম্মানিত হয়েছেন। হয়েছেন নির্যাতিত এবং মারপিটের শিকার। কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় তার সন্ত্রাসী কার্যাকলাপের জন্য একটি লেবার বাহিনী রয়েছে।

তিনি বলেন, গত ৪ আগষ্ট দুপুর আড়াইটার দিকে শহরের বড়বাজারস্থ আমার গোডাউনে সদর উপজেলার ভালুকা চাঁদপুর এলাকার আনিছুর রহমানের সাথে পাওনা টাকা নিয়ে আব্দুর রহিম বাবুর বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে বাবু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে বেধড়ক পিটাতে করতে থাকে। এ সময় তিনি ও তার ছেলে সামিউল হাসান সজল এবং তার শ্যালক শেখ তহিদুজ্জামান চপল ও শ্যালকের ছেলে তামজিদুজ্জামান গোলযোগ ঠেকাতে সেখানে গেলে বাবু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের উপরও হামলা চালায়। এ সময় গুরুতর আহত হয় তার শ্যালকের ছেলে তামজিদুজ্জামান, ছেলে সামিউল হাসান সজল, শ্যালক চপল ও আমি নিজেই।

এ ঘটনার পরদিন (৫ আগষ্ট) তার শ্যালক শেখ তহিদুজ্জামান চপল সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তিন দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ সন্ত্রাসী বাবুসহ তার বাহিনীকে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়েছেন। বীরমুক্তিযোদ্ধা বিএম আব্দুর রাজ্জাক এ সময় তিনি ও তার পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় বাবুসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর গ্রেফতারের জোর দাবি জানান।

এদিকে, অবিলম্বে সন্ত্রাসী বাবু ও তার বাহিনীকে গ্রেফতার করা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট কমান্ড। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তি যোদ্ধা মশিউর রহমান মশু, সাবেক সদর উপজেলা কমান্ডার মাহবুবুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমান, রফিকুজ্জামান খোকন প্রমুখ।

তবে, হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত আব্দুর রহিম বাবু জানান, গত ৪ আগষ্ট চপলের বাড়ির সামনে আনিছকে পেয়ে আমি আমার পাওনা ১৫ হাজার টাকা চাই। এ সময় চপলসহ তার লোকজন আমার উপর আক্রমণ করলে আমার ভাইপো ইসরাফিল ঠেকাতে আসে। এক পর্যায়ে চপলের ছেলে তামজিদুজ্জামান আমার ভাইপো ইসরাফিলকে আহত করে। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় তিনিও একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান।