স্পোর্টস ডেস্ক ।।
আইসিসির কাছ থেকে দুঃসংবাদ পেয়েছেন টাইগার পেসার শরিফুল ইসলাম। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-২০ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে মিচেল মার্শকে আউট করার পর নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনেন শরিফুল।
তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে বাংলাদেশ দলের বেধে দেয়া ১২৮ রানের লক্ষ্যে যখন অজিরা ব্যাটিং করছিলো তখন টাইগার বোলারদের একের পর এক আঘাতে দিশেহারা ছিল অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ। তবে ম্যাচের হাল ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলেন মিচেল মার্শ।
ইনিংসের ১৮তম ওভারে এসে শরিফুলের করা বলে মিচেল মার্শ আউট হয়ে গেলে আগ্রাসী উদযাপন করেন শরিফুল। ঘটনার শুরু অবশ্য হয়েছিল খানিক সময় আগে। শরিফুলের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ান মার্শ যা শেষ পর্যন্ত গড়িয়েছে নুরুল হাসান সোহান পর্যন্ত। এছাড়া দলের সিনিয়র ক্রিকেটার ও আম্পায়ারদের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত তা মীমাংসা হলেও মার্শকে আউট করে আবারও শরিফুল আগ্রাসী উদযাপন করেন।
শরিফুলের এমন উদযাপন অবশ্য সহজভাবে নেয়নি ম্যাচ অফিসিয়ালরা। শুক্রবার (৬ আগস্ট) সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ শেষে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত ও গাজী সোহেল, তৃতীয় আম্পায়ার মাসদুর রহমান মুকুল এবং চতুর্থ আম্পায়ার তানভীর আহমেদ রিপোর্ট করেন শরিফুলের নামে।
যেখানে অভিযোগ করা হয় আইসিসির কোড অব কন্ডাক্ট এর ২.৫ এর ধারা ভঙ্গ করেছেন শরিফুল। এই পেসারের অপরাধ অবশ্য রয়েছে লেভেল-১ এর পর্যায়ে। ফলে আইসিসির পক্ষ থেকে তাকে তিরস্কার করা হয়। সেই সাথে শরিফুলের নামের পাশে যুক্ত হয়েছে ১ ডিমেরিট পয়েন্ট।
জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর এই প্রথম কোনো ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেন শরিফুল। প্রাথমিকভাবে নিজের দোষ স্বীকার করে নেয়ায় পরবর্তীতে আর কোনো শুনানী হয়নি। তবে আগামী ২৪ মাসের মধ্যে যদি আবারও মাঠে বাজে আচরণের জন্য মোট ৩ ডিমেরিট পয়েন্ট পান শরিফুল তাহলে অন্তত এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে পারেন তিনি। অপরাধ বিবেচনায় শাস্তির মাত্রা আরো বাড়তে পারে।