গাইবান্ধা প্রতিনিধি ।।
নিখোঁজের পাঁচদিন পর গাইবান্ধায় গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দুই বন্ধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সকালে সদরের পিয়ারাপুর গ্রামের একটি ভিটে থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ব্যক্তিগত জেরে এই হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ স্বজনদের।
জানা গেছে, সকালে একটি গাছের উপর এক রশিতে দুই বন্ধুর মরদেহ ঝুলতে দেখেন স্থানীয়রা। এর পাশের দু’টি গাছে দেখা যায়, কাঁচি ও ছুরি দিয়ে খোদাই করে লেখা নাম নিতাই।
স্বজনদের অভিযোগ, গত ৭ আগস্ট মৃণালের বাড়িতে যায় খালাতো ভাই নিতাই। সেখানে মাদকাসক্ত অবস্থায় মৃণালের বিছানাপত্র ছিড়ে ফেলে ও স্বজনদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে নিতাই। এ নিয়ে মৃণাল ও নিতাইয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডাও হয়। পরদিন মৃণাল ও তার বন্ধু সুমন ঢাকায় যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। তাদের ডেকে নিয়ে নিতাই মারধর করে বলেও অভিযোগ করেন স্বজনরা।
গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ড কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত নিতাই।
পুলিশ জানায়, উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের পশ্চিম পেয়ারাপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার সকালে জমিতে কাজ করতে যাওয়ার পথে একই রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দুই যুবকের মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুটি গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
মৃতরা হলেন- সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের চুনিয়াকান্দি গ্রামের মৃণাল চন্দ্র দাস ও একই ইউনিয়নের পাঠানডাঙ্গা মাঝি পাড়া গ্রামের সুমন চন্দ্র দাস। তারা দুই বন্ধু এলাকায় মাছের ব্যবসা করতেন।