
প্রভাষক মামুনুর রশিদ ।।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি আছে। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি জোরালো হচ্ছে।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে সহসাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া ঘোষণা আসছে না। অন্যদিকে, দেশের করোনার অনুকূল পরিস্থিতির অপেক্ষায় রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের টিকার দুই ডোজ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হবে। আর করোনার সংক্রমণের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামলে স্কুল-কলেজ খোলা পরিকল্পনা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এরই অংশ হিসেবে শিগগির বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকাদান শেষ করতে চায়। বিশেষ করে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক শিক্ষার্থীদের দুই ডোজ টিকাদান শেষ হলেই সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়া হবে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
এদিকে, স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে অনুকূল পরিস্থিতির অপেক্ষায় রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে আগামী নভেম্বরে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে সীমিত পরিসরে খুলে দেয়ার। স্কুল-কলেজ খুলে নভেম্বরের মাঝামাঝিতে এসএসসি ও ডিসেম্বরের শুরুতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্কুল-কলেজ খুলে প্রথমে এসএসসি ও এইচএসসি শিক্ষার্থীদের ক্লাসে নেয়া হবে। এরপর বাকিদের পর্যায়ক্রমে ক্লাস চালু হবে। সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের।
এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা শিক্ষার্থী, শিক্ষকদের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। সব পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সার্বিক প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পুরোপুরি নির্ভর করছে করোনার অবস্থার ওপর। গত বছরের অভিজ্ঞতা বলে, নভেম্বর-ডিসেম্বরে সংক্রমণ কম ছিলো। যদি এ বছর একই রকম দেখা যায় তবে তখন এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা নিতে পারবো। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও খুলে দেয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ।
এ প্রসঙ্গে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, চলতি আগস্ট মাসের মধ্যে যদি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা কার্যক্রম শেষ হয়ে যায় তাহলে আগস্টে হল-ক্যাম্পাস খোলা যাবে। তবে এই সময়ের মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এই মুহূর্তে জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া টিকা দেয়া হচ্ছে না। এতে করে শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ এখনো টিকার নিবন্ধন করতে পারেনি। আমরা স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে বিকল্প উপায়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার অনুরোধ করলেও এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।