
হাফেজ মাওঃ মেহেদী হাসান।।
বাস্তবিক পক্ষে সন্তানকে কুরআন শরীফ এবং ইলম শিক্ষা দেয়া পিতামাতার জন্য সবচেয়ে বড় কামিয়াবী। এ ধরণের পিতা-মাতা অন্য পিতা-মাতার তুলনায় প্রকৃতপক্ষেই ভাগ্যবান। তারাই সবচেয়ে বেশী সৌভাগ্যশালী। দুনিয়ায় আসার পর প্রত্যেকের সামনে তিনটি জগত বিদ্যমান থাকে। যথাঃ আলমে দুনিয়া, আলমে বরযখ (কবরের যিন্দেগী) এবং আলমে আখিরাত। যে সমস্ত পিতা-মাতা তাদের সন্তানদেরকে কুরআনে কারীম এবং দীনী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত রেখে শুধুমাত্র অস্থায়ী জগতের রুটি-রুজীর জন্য পার্থিব বিষয়াদি শিক্ষা দেয়, তারা সন্তানের দ্বারা শুধুমাত্র দুনিয়াতে যৎকিঞ্চিত উপকৃত হতে পারে। সেটাও নিশ্চিত নয়। এ সস্পর্কিত বিস্তারিত বিবরণ পরবর্তীতে আসছে। কিন্তু ঐ সন্তানের দ্বারা তারা কবরের যিন্দেগীতে এবং আখিরাতের যিন্দেগীতে কোন উপকার পাওয়ার আশা করতে পারে না। বরং সন্তানকে ইলমে দীন শিক্ষা দেয়ার ফরজ দায়িত্ব তরক করার দরুন এবং ইলমে দীন বঞ্চিত সন্তানের সকল অন্যায়, অপরাধ, দুর্নীতির গুনাহে অংশীদার হওয়ার দরুন প্রত্যেক ঘাটিতে সেই পিতামাতা আটকা পড়বে এবং আযাব ও গযবের সম্মুখীন হবে। পক্ষান্তরে যারা সন্তানকে দীনী শিক্ষায় শিক্ষিত করবে, তারা দুনিয়াতে, কবরে ও আখিরাতে কামিয়াব হবে। সকল স্থানে সন্তানের উসীলায় সুখ-শান্তি ও আরাম ভোগ করবে। পবিত্র কুরআন-হাদীসের ভাণ্ডারে পিতা-মাতার সম্মান, কদর এবং তারা সন্তানের জন্য কত বড় নিয়ামত-এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা এসেছে, যা একত্র করলে কয়েক ভলিয়মের একটি রিরাট কিতাব প্রস্তুত হয়ে যাবে। এর বিস্তারিত আলোচনা পরবর্তিতে তুলে-ধরা হবে। এসব আলোচনা পার্থিব শিক্ষার লাইনে না থাকার দরুন ঐ সব লাইন পড়ার পর একটি সন্তান জানতেই পারে না যে, তার পিতামাতা কত বড় নিয়ামত আর তাদের হকই বা কি কি। তাই আমাদের উচিৎ সন্তানদের পার্থিব বিষয়াদি শিক্ষা দেয়ার সাথে সাথে কোরআনে শিক্ষার উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া। আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে দ্বীনের পথে চলার তৌফিক দান করুন। আমিন।