শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নাতির সঙ্গে ৫৫ বছরের দাদির বিয়ে

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি ।।

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে অনৈতিক কাজ ধরা পড়ার পর ২৫ বছরের প্রতিবেশী নাতির সঙ্গে ৫৫ বছর বয়সী দাদির বিয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে এই বিয়ের ঘটনা ঘটে।

দাদি-নাতির বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়হিত ইউনিয়নের বিয়ের রেজিস্ট্রি কাজে নিয়োজিত কাজী মোহাম্মদ নুরুল্লাহ। তিনি বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় নওপাড়া গ্রামে বিয়ের রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়েছে। বিয়েতে পাঁচ লাখ টাকার দেনমোহর ধার্য করা হয়েছিল। বিয়ে পড়াতে গিয়ে জানা যায় নতুন দম্পতি সম্পর্কে প্রতিবেশী দাদি-নাতি।

নওপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, প্রতিবেশী নাতির সঙ্গে দাদির বিয়ের পর এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ওই দাদির স্বামী ৫ বছর আগে মারা গেছেন। তিনি আলাদা ঘরে একাই বসবাস করছিলেন। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে তার প্রতিবেশী নাতির সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ধরা পড়েন দাদি। পরদিন শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মুরুব্বিরা সালিশে বসে নাতির  সঙ্গে দাদির বিয়ের সিদ্ধান্ত দেন। বিয়ের সিদ্ধান্ত হওয়ার পরেই নাতি পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা দাদিকে নাতির বাড়িতে তুলে দিয়ে আসেন।

একদিন পালিয়ে থাকার পর রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) নাতি বাড়ি ফিরেন। পরে ওইদিন আবারও স্থানীয়রা সালিশে বসে সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করেন। সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

বড়হিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ জালাল জানান, অসুস্থতার কারণে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। দাদি-নাতির বিয়ের বিষয়টি তার জানা নেই।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল কাদির মিয়া বলেন, অনৈতিক সম্পর্কের কারণে ধরা পড়ে দাদি নাতির বিয়ের বিষয়টি শুনেছি। তবে এ বিষয়ে থানায় কেউ এখন পর্যন্ত কোনও অভিযোগ করেননি।

নাতির সঙ্গে ৫৫ বছরের দাদির বিয়ে

প্রকাশের সময় : ০২:০৫:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি ।।

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে অনৈতিক কাজ ধরা পড়ার পর ২৫ বছরের প্রতিবেশী নাতির সঙ্গে ৫৫ বছর বয়সী দাদির বিয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে এই বিয়ের ঘটনা ঘটে।

দাদি-নাতির বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়হিত ইউনিয়নের বিয়ের রেজিস্ট্রি কাজে নিয়োজিত কাজী মোহাম্মদ নুরুল্লাহ। তিনি বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় নওপাড়া গ্রামে বিয়ের রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়েছে। বিয়েতে পাঁচ লাখ টাকার দেনমোহর ধার্য করা হয়েছিল। বিয়ে পড়াতে গিয়ে জানা যায় নতুন দম্পতি সম্পর্কে প্রতিবেশী দাদি-নাতি।

নওপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, প্রতিবেশী নাতির সঙ্গে দাদির বিয়ের পর এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ওই দাদির স্বামী ৫ বছর আগে মারা গেছেন। তিনি আলাদা ঘরে একাই বসবাস করছিলেন। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে তার প্রতিবেশী নাতির সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ধরা পড়েন দাদি। পরদিন শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মুরুব্বিরা সালিশে বসে নাতির  সঙ্গে দাদির বিয়ের সিদ্ধান্ত দেন। বিয়ের সিদ্ধান্ত হওয়ার পরেই নাতি পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা দাদিকে নাতির বাড়িতে তুলে দিয়ে আসেন।

একদিন পালিয়ে থাকার পর রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) নাতি বাড়ি ফিরেন। পরে ওইদিন আবারও স্থানীয়রা সালিশে বসে সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করেন। সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

বড়হিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ জালাল জানান, অসুস্থতার কারণে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। দাদি-নাতির বিয়ের বিষয়টি তার জানা নেই।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল কাদির মিয়া বলেন, অনৈতিক সম্পর্কের কারণে ধরা পড়ে দাদি নাতির বিয়ের বিষয়টি শুনেছি। তবে এ বিষয়ে থানায় কেউ এখন পর্যন্ত কোনও অভিযোগ করেননি।