সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে শহরাঞ্চলে প্রতি ৫ জনে একজন দরিদ্র : বিশ্বব্যাংক

ডেস্ক রিপোর্ট ।।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহর এলাকায় প্রতি পাঁচজনে একজন দরিদ্র, যাদের অনেকেই সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বাইরে রয়েছেন।

সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে গ্রামীণ অঞ্চলকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যদিও শহর এলাকায় প্রতি পাঁচজনে একজন দরিদ্র ও শহরবাসীর অর্ধেক দারিদ্রের ঝুঁকিতে রয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়। ‘বাংলাদেশ সোশ্যাল প্রটেকশন পাবলিক এক্সপেন্ডিচার রিভিউ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে সামাজিক সুরক্ষার প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত বিনিয়োগ এবং বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়।

এছাড়াও প্রকল্পের পরিকল্পনা, নকশা, প্রোগ্রামিং ও ডেলিভারিসহ বিদ্যমান কাঠামোতে কীভাবে উন্নতি করতে পারে তাও তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গ্রামীণ ও শহর এলাকার মধ্যে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির ভারসাম্য রাখা প্রয়োজন। শহর এলাকায় প্রায় ১১ শতাংশ মানুষ সামাজিক সুরক্ষায় আছেন যদিও ১৯ শতাংশ মানুষ দরিদ্র। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলে ২৬ শতাংশ মানুষ দরিদ্র যদিও ৩৬ শতাংশ মানুষ সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় রয়েছেন।

সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিগুলোতে আরো জোর দিলে বাংলাদেশের দারিদ্র উল্লেখযোগ্য হারে দূর করতে পারে বলে এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন কর্মকৌশলের কেন্দ্রে রয়েছে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি। এর মাধ্যমে দরিদ্র মানুষ উপকৃত হচ্ছে। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিগুলোতে আরো বেশি জোর দিলে বাংলাদেশ আরো উল্লেখযোগ্য হারে দারিদ্র দূর করতে পারবে।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের অপারেশনস ম্যানেজার দনদন চেন বলেন, গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির পরিধি অনেক বাড়িয়েছে। বর্তমানে দেশের প্রতি ১০ ঘরের ৩ ঘর এই পরিধির আওতায় রয়েছে। চলমান বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে আরো জোরালো কর্মসূচির প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, করোনা মহামারি আরো শক্তিশালী, দক্ষ ও অভিযোজিত সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তাকে জোরালো করেছে। সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া, ভালোভাবে লক্ষ্যযুক্ত ও কম খণ্ডিত সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি যা জনসংখ্যাতাত্ত্বিক পরিবর্তন, অপরিকল্পিত নগরায়ন, শ্রম বাজারের দুর্বলতা ও ঘন ঘন ধাক্কা দেশকে দারিদ্র্যতা হ্রাসের সাফল্যের সঙ্গে চালিয়ে যেতে সহায়তা করবে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২০ অর্থবছরে, জিডিপির প্রায় ২.৬ শতাংশ সামাজিক সুরক্ষায় ব্যয় করেছে বাংলাদেশ। যা একই ধরনের আয়ের স্তরের দেশগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। দেশে প্রতি আটজন দরিদ্র ব্যক্তির মধ্যে একজন ছোট শিশু। তবুও দরিদ্র ছোট শিশুরা সামাজিক সুরক্ষা ব্যয়ের মাত্র ১ দশমিক ৬ শতাংশ পায়। ব্যয়গুলো আরও কার্যকর হবে যদি বরাদ্দগুলো বিভিন্ন বিভাগে দরিদ্রদের ভাগের সঙ্গে এবং প্রোগ্রামগুলোর মাধ্যমে পরিচালিত বিভিন্ন কর্মসূচির সঙ্গে সংযুক্ত থাকে।

বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ও প্রতিবেদনের সহলেখক অ্যালাইন কৌদুয়েল বলেন, শৈশব থেকে বিনিয়োগ, একটি শিশুকে শুধু স্বাস্থ্যবানই করে না বরং প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে আরো স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করে।

জনপ্রিয়

ক্ষেতলালে কাফি হত্যার দ্রুত বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ 

বাংলাদেশে শহরাঞ্চলে প্রতি ৫ জনে একজন দরিদ্র : বিশ্বব্যাংক

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৬:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

ডেস্ক রিপোর্ট ।।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহর এলাকায় প্রতি পাঁচজনে একজন দরিদ্র, যাদের অনেকেই সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বাইরে রয়েছেন।

সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে গ্রামীণ অঞ্চলকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যদিও শহর এলাকায় প্রতি পাঁচজনে একজন দরিদ্র ও শহরবাসীর অর্ধেক দারিদ্রের ঝুঁকিতে রয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়। ‘বাংলাদেশ সোশ্যাল প্রটেকশন পাবলিক এক্সপেন্ডিচার রিভিউ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে সামাজিক সুরক্ষার প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত বিনিয়োগ এবং বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়।

এছাড়াও প্রকল্পের পরিকল্পনা, নকশা, প্রোগ্রামিং ও ডেলিভারিসহ বিদ্যমান কাঠামোতে কীভাবে উন্নতি করতে পারে তাও তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গ্রামীণ ও শহর এলাকার মধ্যে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির ভারসাম্য রাখা প্রয়োজন। শহর এলাকায় প্রায় ১১ শতাংশ মানুষ সামাজিক সুরক্ষায় আছেন যদিও ১৯ শতাংশ মানুষ দরিদ্র। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলে ২৬ শতাংশ মানুষ দরিদ্র যদিও ৩৬ শতাংশ মানুষ সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় রয়েছেন।

সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিগুলোতে আরো জোর দিলে বাংলাদেশের দারিদ্র উল্লেখযোগ্য হারে দূর করতে পারে বলে এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন কর্মকৌশলের কেন্দ্রে রয়েছে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি। এর মাধ্যমে দরিদ্র মানুষ উপকৃত হচ্ছে। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিগুলোতে আরো বেশি জোর দিলে বাংলাদেশ আরো উল্লেখযোগ্য হারে দারিদ্র দূর করতে পারবে।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের অপারেশনস ম্যানেজার দনদন চেন বলেন, গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির পরিধি অনেক বাড়িয়েছে। বর্তমানে দেশের প্রতি ১০ ঘরের ৩ ঘর এই পরিধির আওতায় রয়েছে। চলমান বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে আরো জোরালো কর্মসূচির প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, করোনা মহামারি আরো শক্তিশালী, দক্ষ ও অভিযোজিত সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তাকে জোরালো করেছে। সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া, ভালোভাবে লক্ষ্যযুক্ত ও কম খণ্ডিত সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি যা জনসংখ্যাতাত্ত্বিক পরিবর্তন, অপরিকল্পিত নগরায়ন, শ্রম বাজারের দুর্বলতা ও ঘন ঘন ধাক্কা দেশকে দারিদ্র্যতা হ্রাসের সাফল্যের সঙ্গে চালিয়ে যেতে সহায়তা করবে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২০ অর্থবছরে, জিডিপির প্রায় ২.৬ শতাংশ সামাজিক সুরক্ষায় ব্যয় করেছে বাংলাদেশ। যা একই ধরনের আয়ের স্তরের দেশগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। দেশে প্রতি আটজন দরিদ্র ব্যক্তির মধ্যে একজন ছোট শিশু। তবুও দরিদ্র ছোট শিশুরা সামাজিক সুরক্ষা ব্যয়ের মাত্র ১ দশমিক ৬ শতাংশ পায়। ব্যয়গুলো আরও কার্যকর হবে যদি বরাদ্দগুলো বিভিন্ন বিভাগে দরিদ্রদের ভাগের সঙ্গে এবং প্রোগ্রামগুলোর মাধ্যমে পরিচালিত বিভিন্ন কর্মসূচির সঙ্গে সংযুক্ত থাকে।

বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ও প্রতিবেদনের সহলেখক অ্যালাইন কৌদুয়েল বলেন, শৈশব থেকে বিনিয়োগ, একটি শিশুকে শুধু স্বাস্থ্যবানই করে না বরং প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে আরো স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করে।