ঢাকা ব্যুরো ।।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ই-কমার্সে প্রতারণার জন্য প্রাথমিকভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব নিতে হবে। তিনি বলেন, সরকারের কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠানের অনুমতি বা ছাড়পত্র নিয়েই ব্যবসা করেছে ইভ্যালি। তাই তাদের জালিয়াতির দায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে নিতে হবে। এছাড়া সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমানোর ফলে প্রান্তিক বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রতি ই-অরেঞ্জ, ইভ্যালি, ধামাকাসহ অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গ্রাহকের টাকা নিয়ে প্রণ্য না দিয়ে শত শত কোটি টাকা লোপাট ও পাচারের অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে, যা আদালতে বিচারাধীন। এসব প্রতিষ্ঠানের সবাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ব্যবসা করে আসছিল।
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু এসব প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র এই মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া হয় ফলে তাদের দায়িত্ব বেশি। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট অন্য প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বও আছে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারিত গ্রাহকরা যাতে তাদের অর্থ ফেরত পায় সে ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব নিতে হবে।
এক্ষেত্রে সরকারকেও দায়িত্ব নিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময় নানা ফর্মে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সাধারণ গ্রাহকরা প্রতারিত হয়। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে।’
এদিকে সরকার কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন দিতে ব্যবহৃত ১১ কোটির বেশি সিরিঞ্জ কিনতে যাচ্ছে। বাংলাদেশি কোম্পানি জেএমআই লিমিটেডের কাছ থেকে এই সিরিঞ্জ কেনা হচ্ছে। যা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কেনা হবে। বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন দেন মন্ত্রী।
এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে ১৩ কোটি ৮২ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে ১১ কোটি এবং ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় সংখ্যাক অটো ডিজেবল সিরিঞ্জ মেসার্স জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেস লিমিটেড থেকে কিনতে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।