শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদ্মার গর্ভে প্রাথমিক স্কুল, যাবে কোথায় শিক্ষার্থীরা

রাজবাড়ী প্রতিনিধি।। রাজবাড়ীতেপদ্মার পানি কমে যাওয়ার পর নয় দিনের ব্যবধানে একই স্থানে দুই বার ভাঙন দেখা দিয়েছে। এবার এই ভাঙনের ফলে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে চরসিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

শুক্রবার(২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে সদর উপজেলার চরসিলিমপুর গ্রামে ভাঙন শুরু হয়স্থানীয়রা বলছেন, দুপুর থেকে ভাঙনে ১০০ মিটার এলাকার সিসিব্লক গিলে খেয়েছে পদ্মাওই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সালাম বলেন, আমাদের স্কুল ভবন নদীতে চলে গেলো। এখন আমরা কোথায় পড়াশোনা করবো?

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমান আলী ফকির বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল খোলার পর ভালোভাবেই চলছিলো সব কার্যক্রম। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসছিলো। কিন্তু ভাঙনের পর থেকে অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছিলোএ কারণে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম ছিলো। কিন্তু আজ সকালে স্কুলের বাম পাশ থেকে ব্লক সরে যাওয়ায় সেটি দাবতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে গোটা ভবন পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়। এখন টিনশেট ভবনটাও ঝুঁকির মুখে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমি মো. সায়েফ জানান, ওই স্কুলটির পাশেই ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি আমরা পেয়েছি। জমির মালিক স্বেচ্ছায় স্কুলের নামে জমিটি দিতে চেয়েছেন। আপাতত সেখানে টিনশেট ঘর তুলে স্কুলের কাজ পরিচালনা করা হবে। পরে স্থায়ী ভবন তৈরি করা হবে।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর বলেন, পদ্মায় পানি কমার ফলে বেড ম্যাটিরিয়াল সরে যাওয়ায় ব্লক ধসে যায়।আমরা আগামীকাল থেকে ভাঙনের জায়গায় বালি ভর্তি জিওব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করবো।

জনপ্রিয়

ভূরুঙ্গামারীতে প্রা.বি.সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

পদ্মার গর্ভে প্রাথমিক স্কুল, যাবে কোথায় শিক্ষার্থীরা

প্রকাশের সময় : ০৮:২৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

রাজবাড়ী প্রতিনিধি।। রাজবাড়ীতেপদ্মার পানি কমে যাওয়ার পর নয় দিনের ব্যবধানে একই স্থানে দুই বার ভাঙন দেখা দিয়েছে। এবার এই ভাঙনের ফলে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে চরসিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

শুক্রবার(২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে সদর উপজেলার চরসিলিমপুর গ্রামে ভাঙন শুরু হয়স্থানীয়রা বলছেন, দুপুর থেকে ভাঙনে ১০০ মিটার এলাকার সিসিব্লক গিলে খেয়েছে পদ্মাওই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সালাম বলেন, আমাদের স্কুল ভবন নদীতে চলে গেলো। এখন আমরা কোথায় পড়াশোনা করবো?

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমান আলী ফকির বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল খোলার পর ভালোভাবেই চলছিলো সব কার্যক্রম। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসছিলো। কিন্তু ভাঙনের পর থেকে অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছিলোএ কারণে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম ছিলো। কিন্তু আজ সকালে স্কুলের বাম পাশ থেকে ব্লক সরে যাওয়ায় সেটি দাবতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে গোটা ভবন পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়। এখন টিনশেট ভবনটাও ঝুঁকির মুখে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমি মো. সায়েফ জানান, ওই স্কুলটির পাশেই ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি আমরা পেয়েছি। জমির মালিক স্বেচ্ছায় স্কুলের নামে জমিটি দিতে চেয়েছেন। আপাতত সেখানে টিনশেট ঘর তুলে স্কুলের কাজ পরিচালনা করা হবে। পরে স্থায়ী ভবন তৈরি করা হবে।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর বলেন, পদ্মায় পানি কমার ফলে বেড ম্যাটিরিয়াল সরে যাওয়ায় ব্লক ধসে যায়।আমরা আগামীকাল থেকে ভাঙনের জায়গায় বালি ভর্তি জিওব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করবো।