শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রাণিসম্পদ অফিসে বিনা চিকিৎসায় মারা গেল সখের ছাগল

মেহেদী হাসান রাজু, রাজবাড়ী।।
স্বামী ভ্যান চালিয়ে ও স্ত্রী মানুষের বাড়ীতে ঝিয়ের কাজ করে তিলে তিলে জমানো কষ্টার্জিত ৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি ছাগল কেনেন।
ছাগলটির পেটে গ্যাস হলে (পেট ফাঁপলে) রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে নিয়ে আসেন। জরুরী বিভাগে এসে বন্ধ পেয়ে ৩ ঘন্টা অপেক্ষা করে এমনকি মোবাইলে যোগাযোগ করেও কোনো চিকিৎসকের দেখা পাওয়া যায়নি। অবশেষে বিকাল ৩টার দিক ছাগলটি মারা যায়। মারা যাওয়ার পরে কান্না কাটি করলে দ্বিতীয়তলা থেকে একজন বলে কি হয়ছে। এ ভাবেই কান্না জড়িত কন্ঠে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গাবিদপুর গ্রামের বুধাই শেখের স্ত্রী রাজিয়া বেগম কথাগুলা ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, আমার বড় ছেলে ফরিদ শেখ ৩-৪ বছর আগে মারা যায়। মাঝে ছেলে রাকিব কিডনী রোগে আক্রান্ত ও ছোট ছেলে  রহমত প্রতিবন্ধী আর ২ মেয়ে বিয়ে দিয়েছি।
স্বামী ভ্যান চালিয়ে ও আমি মানুষের বাড়ী ঝিয়ের কাজ করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ছাগল কিনে ৩ ঘন্টা অপেক্ষা করেও চিকিৎসা না পেয়ে আমার ছাগলটি মারা গেছে।আমি বিচার দাবী করছি। আমার যে সর্বনাশ হলো, তার বিচার চাই।
প্রত্যক্ষদর্শী সোহেল খান বলেন, ওই মহিলা ছাগল নিয়ে প্রাণিসম্পদ দপ্তরে অপেক্ষা করছিলেন। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও না পেয়ে আমাকে ফোন দিয়ে বলেন। আমি আবু হেনাকে ফোন দিলে তিনি ফোন ধরেননি এবং তার ছেলে বলেন, বাবা বাসায় নই। তবে ছাগল মারা যাওয়ার পরে কিভাবে বাসার দ্বিতলা থেকে কথা বললেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শাহিনুর ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফজলুল হক সরদার বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির ২দিন আমাদের  ডিউটি বাধ্যতামুলক নয়। তবে ভুক্তভাগীরা যে কোন লোককে ডেকে কাজ করে নিবেন। আর যে নিতে পারবেন না সেটা তার ব্যর্থতা।

প্রাণিসম্পদ অফিসে বিনা চিকিৎসায় মারা গেল সখের ছাগল

প্রকাশের সময় : ০৫:৫৪:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
মেহেদী হাসান রাজু, রাজবাড়ী।।
স্বামী ভ্যান চালিয়ে ও স্ত্রী মানুষের বাড়ীতে ঝিয়ের কাজ করে তিলে তিলে জমানো কষ্টার্জিত ৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি ছাগল কেনেন।
ছাগলটির পেটে গ্যাস হলে (পেট ফাঁপলে) রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে নিয়ে আসেন। জরুরী বিভাগে এসে বন্ধ পেয়ে ৩ ঘন্টা অপেক্ষা করে এমনকি মোবাইলে যোগাযোগ করেও কোনো চিকিৎসকের দেখা পাওয়া যায়নি। অবশেষে বিকাল ৩টার দিক ছাগলটি মারা যায়। মারা যাওয়ার পরে কান্না কাটি করলে দ্বিতীয়তলা থেকে একজন বলে কি হয়ছে। এ ভাবেই কান্না জড়িত কন্ঠে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গাবিদপুর গ্রামের বুধাই শেখের স্ত্রী রাজিয়া বেগম কথাগুলা ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, আমার বড় ছেলে ফরিদ শেখ ৩-৪ বছর আগে মারা যায়। মাঝে ছেলে রাকিব কিডনী রোগে আক্রান্ত ও ছোট ছেলে  রহমত প্রতিবন্ধী আর ২ মেয়ে বিয়ে দিয়েছি।
স্বামী ভ্যান চালিয়ে ও আমি মানুষের বাড়ী ঝিয়ের কাজ করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ছাগল কিনে ৩ ঘন্টা অপেক্ষা করেও চিকিৎসা না পেয়ে আমার ছাগলটি মারা গেছে।আমি বিচার দাবী করছি। আমার যে সর্বনাশ হলো, তার বিচার চাই।
প্রত্যক্ষদর্শী সোহেল খান বলেন, ওই মহিলা ছাগল নিয়ে প্রাণিসম্পদ দপ্তরে অপেক্ষা করছিলেন। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও না পেয়ে আমাকে ফোন দিয়ে বলেন। আমি আবু হেনাকে ফোন দিলে তিনি ফোন ধরেননি এবং তার ছেলে বলেন, বাবা বাসায় নই। তবে ছাগল মারা যাওয়ার পরে কিভাবে বাসার দ্বিতলা থেকে কথা বললেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শাহিনুর ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফজলুল হক সরদার বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির ২দিন আমাদের  ডিউটি বাধ্যতামুলক নয়। তবে ভুক্তভাগীরা যে কোন লোককে ডেকে কাজ করে নিবেন। আর যে নিতে পারবেন না সেটা তার ব্যর্থতা।