আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
জম্মু-কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দুই অস্ত্রধারী নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি নিহত দুজন জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য।
জম্মু-কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার গুলিতে নিহত বিজেপি নেতার ‘হত্যাকারী’গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বান্দিপুরা এলাকায় অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সন্ত্রাসী।
নিরাপত্তা বাহিনীও পাল্টা গুলি চালালে শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ। একপর্যায়ে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে একজন পাকিস্তান থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গি সদস্য বলে দাবি নিরাপত্তা বাহিনীর। নিহত দুইজন স্থানীয় বিজেপি নেতার হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল বলে জানায় পুলিশ।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল সন্ধ্যায় বান্দিপোরার ওয়াটরিনা গ্রামে ওই অস্ত্রধারীদের উপস্থিতির খবর পায় বাহিনী। আজ সকালে গ্রামে লুকিয়ে থাকার তথ্য মেলে। আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া সত্ত্বেও তারা রাজি হননি। তারা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে সংঘর্ষ শুরু হয়।
পুলিশের দাবি, নিহত তাদের কাছ থেকে দুটি একে ৪৭ ও একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে বাহিনী। আজাদ ও আবিদ লস্কর ই তৈয়বা সদস্য ছিল বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। তারা দুজনেই বান্দিপোরার বাসিন্দা। গোয়েন্দাদের মতে, লস্কর কমান্ডার আবিদ ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে ওয়াগা সীমান্ত দিয়ে বৈধ পথেই পাকিস্তানে যায়। সেখানে ‘জঙ্গি’ কার্যকলাপে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০১৯ সালে অবৈধভাবে ভারতে ঢোকে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই সফলভাবে অভিযান শেষ করায় বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার।
অন্য দিকে জম্মু স্টেশনের কাছ থেকে শেখ সুনেন ইউসুফ ওরফে সুলতান নামে এক জঙ্গি আজ গ্রেপ্তার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আনন্দবাজার জানায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জম্মুর বিভিন্ন চেক পয়েন্টে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। জম্মু স্টেশনের কাছের চেক পয়েন্ট থেকে ৫০-৬০ মিটার দূরে ইউসুফকে নামিয়ে দিয়ে পালায় এক মোটরসাইকেল আরোহী। ইউসুফ একটি নীল ব্যাগ নিয়ে পাশের গলিতে ঢোকার চেষ্টা করে। গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাকে পাকড়াও করে পুলিশ। ব্যাগ থেকে একটি পিস্তল ও কিছু গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
তাকে উত্তর কাশ্মীরের যুবকদের দলে আনার ভার দিয়েছিল লস্কর। গত বছরের জুলাই মাসে কাশ্মীরে বিজেপি নেতা ওয়াসিম বারি, তার বাবা ও ভাইয়ের হত্যায় এই দুজন জড়িত ছিল বলে দাবি পুলিশের। ওই ঘটনায় জড়িত অন্য দুই পাকিস্তানি জঙ্গি উসমান ও সাজাদ আগেই এক সংঘর্ষে নিহত হয়েছে।