শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেরানীগঞ্জে প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার

দেলোয়ার হোসেন ,ঢাকা ব্যুরো ।।

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অজ্ঞাতনামা এক মহিলার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আসামী গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ । দ্রুত এই হত্যাকাণ্ডের আসামি গ্রেফতার কেন্দ্র করে সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় আয়োজন করা হয় সংবাদ সম্মেলন ‌। সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্কেল মোঃ শাহাবুদ্দিন কবির ।লিখিত বক্তব্যে বলেন , একটি অজ্ঞাত নামা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে অজ্ঞাত নামা নিহত মহিলার পরিচয় সহ আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে ।। দ্রুত এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা উন্মোচিত হওয়ায়  সাধারণ গ্রাম বাসীর মধ্যেও পুলিশের প্রতি আস্থা ফিরে এসেছে । অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেরানীগঞ্জ সার্কেল মোঃ শাহাবুদ্দিন কবির  বলেন , আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে নিহত সীমা আক্তারের স্বামী  সোহেলকে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার শিয়ালকোল হাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে নিয়ে আসা হয় ।

উল্লেখ্য যে গত ২৬ সেপ্টেম্বর  দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার আব্দুল্লাহপুর করের গাও গ্রামের জনৈক মানিক সওদাগর পিতা হাজী আব্দুল জলিল সওদাগর এর ভাড়াটিয়া বাড়ির পেছনের ডোবার মধ্যে ২৩/২৪ বছর বয়সী এক মহিলা লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মহিলার লাশ উদ্ধার করে , তার পরিচয় উদঘাটন করার জন্য চেষ্টা করে । লাশ পাওয়ার খবর পেয়ে নিহত সীমা আক্তারের মা লিপি বেগম থানায় ছুটে এসে লাশটি শনাক্ত করে তার মেয়ে বলে পরিচয় দেন । নিহতের পরিচয় জানা যায় নিহত সীমা বেগম এর বাবার নাম ছোট মিয়া মাতার নাম লিপি বেগম গ্রাম কমলাকান্তপুর শিকারিপারা আনা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ তার সাথে স্বামী সোহেল ভূইয়া পিতা মোঃ সাইফুল ইসলাম মাতা আনোয়ারা বেগম গ্রাম শামিল আনা ভুয়াপুর জেলা টাংগাইল এর বিবাহ হয় । মৃত লাশ মোসাম্মৎ সীমা বাবা বিত ছোট মাতা লিলি বেগম গ্রাম কমলাকান্তপুর শিকারিপারা থানা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর জেলা জাপা নেতার নাম স্বামীর নাম মোঃ সোহেল ভূইয়া ২৫ পিতা মোঃ সাইফুল ইসলাম মাতা মোসাম্মৎ আনোয়ারা বেগম শাহানারা পুর জেলা টাঙ্গাইল দুই সন্তান নিয়ে মানিক সরকারের বাড়িতে এক বছর যাবত ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করত । থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে লাশের সুরতহাল ও ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে । হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য তৎপর হয় । পুলিশ মৃত মহিলার মা লিপি আক্তার অজ্ঞাত নামা আসামির বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় ।  আর এই মামলা দায়ের করার সাথে সাথেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে  পুলিশ সুপার ঢঢাকা মহোদয় এর  দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেরানীগঞ্জ সার্কেল ঢাকা নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল ঘটনার রহস্য উদঘাটন হত্যাকারী মোঃ সোহেল ভূঁইয়াকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর থানার  শিয়ালকোল হাট এলাকা হইতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় ।

ঘটনার বিস্তারিত তদন্তে জানা যায় সিমার হত্যাকারী স্বামী সোহেলের সাথে পারিবারিক বিরোধ চলছিল । এ ধারাবাহিকতায় ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১  তারিখ রাত আনুমানিক দেড়টার সময় দুজনের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয় ।একপর্যায়ে সোহেল সীমা বেগমকে গলাটিপে হত্যা করে পরে বাড়ির পূর্ব পাশের জঙ্গলে লুকিয়ে রেখে পালিয়ে যায় । আসামি সোহেলের প্রতিবেশীদের জানায় যে, শীমাকে  খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । সবাই যখন সীমার জন্যে খোচাখুচি করছিল এমন সময় বাচ্চাদের রেখেই আত্মগোপনে চলে যায় স্বামী সোহেল । এ সময় তার ব্যবহৃত  মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেয় । মামলা হওয়ার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুলিশ  হত্যাকারী সোহেলকে গ্রেফতার করায়  এলাকায় পুলিশের প্রতি মানুষের  স্বস্তি ফিরে এসেছে । উল্লেখ , পুলিশ সুপার মোঃ শাহাবুদ্দিন কবির  এই হত্যা মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব নেন । উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ সহ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কর্মকর্তাবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে সংবাদ সংগ্রহ করতে কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এই আলোচিত হত্যাকাণ্ডের আসামী সোহেলকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে ।

জনপ্রিয়

কেরানীগঞ্জে প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার

প্রকাশের সময় : ০৬:৫০:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

দেলোয়ার হোসেন ,ঢাকা ব্যুরো ।।

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অজ্ঞাতনামা এক মহিলার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আসামী গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ । দ্রুত এই হত্যাকাণ্ডের আসামি গ্রেফতার কেন্দ্র করে সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় আয়োজন করা হয় সংবাদ সম্মেলন ‌। সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্কেল মোঃ শাহাবুদ্দিন কবির ।লিখিত বক্তব্যে বলেন , একটি অজ্ঞাত নামা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে অজ্ঞাত নামা নিহত মহিলার পরিচয় সহ আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে ।। দ্রুত এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা উন্মোচিত হওয়ায়  সাধারণ গ্রাম বাসীর মধ্যেও পুলিশের প্রতি আস্থা ফিরে এসেছে । অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেরানীগঞ্জ সার্কেল মোঃ শাহাবুদ্দিন কবির  বলেন , আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে নিহত সীমা আক্তারের স্বামী  সোহেলকে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার শিয়ালকোল হাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে নিয়ে আসা হয় ।

উল্লেখ্য যে গত ২৬ সেপ্টেম্বর  দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার আব্দুল্লাহপুর করের গাও গ্রামের জনৈক মানিক সওদাগর পিতা হাজী আব্দুল জলিল সওদাগর এর ভাড়াটিয়া বাড়ির পেছনের ডোবার মধ্যে ২৩/২৪ বছর বয়সী এক মহিলা লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মহিলার লাশ উদ্ধার করে , তার পরিচয় উদঘাটন করার জন্য চেষ্টা করে । লাশ পাওয়ার খবর পেয়ে নিহত সীমা আক্তারের মা লিপি বেগম থানায় ছুটে এসে লাশটি শনাক্ত করে তার মেয়ে বলে পরিচয় দেন । নিহতের পরিচয় জানা যায় নিহত সীমা বেগম এর বাবার নাম ছোট মিয়া মাতার নাম লিপি বেগম গ্রাম কমলাকান্তপুর শিকারিপারা আনা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ তার সাথে স্বামী সোহেল ভূইয়া পিতা মোঃ সাইফুল ইসলাম মাতা আনোয়ারা বেগম গ্রাম শামিল আনা ভুয়াপুর জেলা টাংগাইল এর বিবাহ হয় । মৃত লাশ মোসাম্মৎ সীমা বাবা বিত ছোট মাতা লিলি বেগম গ্রাম কমলাকান্তপুর শিকারিপারা থানা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর জেলা জাপা নেতার নাম স্বামীর নাম মোঃ সোহেল ভূইয়া ২৫ পিতা মোঃ সাইফুল ইসলাম মাতা মোসাম্মৎ আনোয়ারা বেগম শাহানারা পুর জেলা টাঙ্গাইল দুই সন্তান নিয়ে মানিক সরকারের বাড়িতে এক বছর যাবত ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করত । থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে লাশের সুরতহাল ও ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে । হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য তৎপর হয় । পুলিশ মৃত মহিলার মা লিপি আক্তার অজ্ঞাত নামা আসামির বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় ।  আর এই মামলা দায়ের করার সাথে সাথেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে  পুলিশ সুপার ঢঢাকা মহোদয় এর  দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেরানীগঞ্জ সার্কেল ঢাকা নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল ঘটনার রহস্য উদঘাটন হত্যাকারী মোঃ সোহেল ভূঁইয়াকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর থানার  শিয়ালকোল হাট এলাকা হইতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় ।

ঘটনার বিস্তারিত তদন্তে জানা যায় সিমার হত্যাকারী স্বামী সোহেলের সাথে পারিবারিক বিরোধ চলছিল । এ ধারাবাহিকতায় ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১  তারিখ রাত আনুমানিক দেড়টার সময় দুজনের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয় ।একপর্যায়ে সোহেল সীমা বেগমকে গলাটিপে হত্যা করে পরে বাড়ির পূর্ব পাশের জঙ্গলে লুকিয়ে রেখে পালিয়ে যায় । আসামি সোহেলের প্রতিবেশীদের জানায় যে, শীমাকে  খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । সবাই যখন সীমার জন্যে খোচাখুচি করছিল এমন সময় বাচ্চাদের রেখেই আত্মগোপনে চলে যায় স্বামী সোহেল । এ সময় তার ব্যবহৃত  মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেয় । মামলা হওয়ার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুলিশ  হত্যাকারী সোহেলকে গ্রেফতার করায়  এলাকায় পুলিশের প্রতি মানুষের  স্বস্তি ফিরে এসেছে । উল্লেখ , পুলিশ সুপার মোঃ শাহাবুদ্দিন কবির  এই হত্যা মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব নেন । উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ সহ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কর্মকর্তাবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে সংবাদ সংগ্রহ করতে কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এই আলোচিত হত্যাকাণ্ডের আসামী সোহেলকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে ।