শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দুনিয়ার হায়াত!

হাফেজ মাওঃ মেহেদী হাসান।।

দুনিয়ার হায়াত কিভাবে কাটাবো?

প্রত্যেকের জন্য নিম্নোক্ত কাজগুলো পরিপূর্ণরূপে পালন করা খুবই জরুরী। কেননা, উক্ত কাজগুলোই দীনের সারমর্ম।

(ক) নিজের ঈমান আক্বীদা সহীহ ও মজবুত করা। কুফরী-শিরকী বিশ্বাস থেকে অন্তরকে পাকা রাখা।
(খ) ইবাদত বন্দেগী আমলী মশকের মাধ্যমে পরিপূর্ণ সুন্নাত অনুযায়ী শিখে নেয়া।
(গ) রিযিককে হালাল রাখার ফিকির করা।
(ঘ) আরো কর্তব্য হচ্ছে- মা-বাপ, স্ত্রী-সন্তান তথা বান্দার হকের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা, যাতে করে কারোর হক যিম্মায় না থেকে যায়। কারণ এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। হাশরের ময়দানে পাওনাদারকে নেকী দিয়ে তার পাওনা পরিশোধ করতে হবে। যদি তাকে দেয়ার মত নেকী না থাকে বা পাওনা পরিশোধ করতে যেয়ে নেকী শেষ হয়ে যায়, তাহলে পাওনাদারের গুনাহের বোঝা নিজের কাঁধে নিতে হবে এবং শেষে নেকীশূন্য অবস্থায় গুনাহের পাহাড় কাঁধে নিয়ে দোযখে যেতে হবে। হাদীস শরীফে এ ধরনের লোকদেরকে আসল মিসকিন বলা হয়েছে। সুতরাং সারা জীবন এ সব ব্যাপারে তৎপর থাকতে হবে। কারোর নিকট ঋণী থাকলে, সাথে সাথে খাতা বা ডায়রিতে লিখে রাখতে হয় এবং পরিশোধের জন্য ব্যতিব্যস্ত থেকে যখনই ব্যবস্থা হয়, সেই মুহূর্তে পাওনাদারকে তার পাওনা পৌঁছে দেয়া জরুরী। যদি নির্ধারিত সময়ে ঋণ আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে লজ্জাবোধ করে দূরে না থেকে পাওনাদারের সাথে যোগাযোগ করে তার থেকে পাওনা পরিশোধের সময় বৃদ্ধি করে নেয়া কর্তব্য। মূর্খ লোকেরা অযথা লজ্জা করে তার থেকে দূরে দূরে থেকে অপরাধী ও হক নষ্টকারী প্রমাণিত হয়। (বুখারী শরীফ-মিশকাত শরীফ, ২/ ৪৩৫)

(ঙ) নিজের আত্মার রোগের চিকিৎসার জন্য এবং অন্তরের ভাল গুণসমূহ অর্জনের জন্য কোন হক্কানী বুযুর্গের সাথে সম্পর্ক রাখা।
(চ) গুনাহে কবীরা, হারাম, মাকরূহে তাহরীমী ও সন্দেহজনক মনে হয় এমন জিনিস থেকে কঠোরভাবে বিরত থাকা।
(ছ) নিজের পরিবারের লোকজন, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও মহল্লাবাসী লোকদেরকে সর্বদা দ্বীনের দাওয়াত দিতে থাকা এবং তাদেরকে দীনের তা‘লীম দিতে থাকা। সার কথা আল্লাহর দীনের জন্য প্রতিদিন কিছু সময় বের করা। (সূরা বাকারা, আয়াত ১৭৭/ বুখারী শরীফ, ২/ ৮৯৬)

মৃত্যুর আগেই আমাদের এই বিষয়গুলি পরিশুদ্ধ করতেই  হবে। যদি রোজ হাসরে আমরা মুক্তি পেতে চায়। আল্লাহ আমাদের এই বিষয়সমূহের উপর আমল করার তৌফিক দান করুন। (আমিন)

দুনিয়ার হায়াত!

প্রকাশের সময় : ০৭:০৬:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

হাফেজ মাওঃ মেহেদী হাসান।।

দুনিয়ার হায়াত কিভাবে কাটাবো?

প্রত্যেকের জন্য নিম্নোক্ত কাজগুলো পরিপূর্ণরূপে পালন করা খুবই জরুরী। কেননা, উক্ত কাজগুলোই দীনের সারমর্ম।

(ক) নিজের ঈমান আক্বীদা সহীহ ও মজবুত করা। কুফরী-শিরকী বিশ্বাস থেকে অন্তরকে পাকা রাখা।
(খ) ইবাদত বন্দেগী আমলী মশকের মাধ্যমে পরিপূর্ণ সুন্নাত অনুযায়ী শিখে নেয়া।
(গ) রিযিককে হালাল রাখার ফিকির করা।
(ঘ) আরো কর্তব্য হচ্ছে- মা-বাপ, স্ত্রী-সন্তান তথা বান্দার হকের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা, যাতে করে কারোর হক যিম্মায় না থেকে যায়। কারণ এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। হাশরের ময়দানে পাওনাদারকে নেকী দিয়ে তার পাওনা পরিশোধ করতে হবে। যদি তাকে দেয়ার মত নেকী না থাকে বা পাওনা পরিশোধ করতে যেয়ে নেকী শেষ হয়ে যায়, তাহলে পাওনাদারের গুনাহের বোঝা নিজের কাঁধে নিতে হবে এবং শেষে নেকীশূন্য অবস্থায় গুনাহের পাহাড় কাঁধে নিয়ে দোযখে যেতে হবে। হাদীস শরীফে এ ধরনের লোকদেরকে আসল মিসকিন বলা হয়েছে। সুতরাং সারা জীবন এ সব ব্যাপারে তৎপর থাকতে হবে। কারোর নিকট ঋণী থাকলে, সাথে সাথে খাতা বা ডায়রিতে লিখে রাখতে হয় এবং পরিশোধের জন্য ব্যতিব্যস্ত থেকে যখনই ব্যবস্থা হয়, সেই মুহূর্তে পাওনাদারকে তার পাওনা পৌঁছে দেয়া জরুরী। যদি নির্ধারিত সময়ে ঋণ আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে লজ্জাবোধ করে দূরে না থেকে পাওনাদারের সাথে যোগাযোগ করে তার থেকে পাওনা পরিশোধের সময় বৃদ্ধি করে নেয়া কর্তব্য। মূর্খ লোকেরা অযথা লজ্জা করে তার থেকে দূরে দূরে থেকে অপরাধী ও হক নষ্টকারী প্রমাণিত হয়। (বুখারী শরীফ-মিশকাত শরীফ, ২/ ৪৩৫)

(ঙ) নিজের আত্মার রোগের চিকিৎসার জন্য এবং অন্তরের ভাল গুণসমূহ অর্জনের জন্য কোন হক্কানী বুযুর্গের সাথে সম্পর্ক রাখা।
(চ) গুনাহে কবীরা, হারাম, মাকরূহে তাহরীমী ও সন্দেহজনক মনে হয় এমন জিনিস থেকে কঠোরভাবে বিরত থাকা।
(ছ) নিজের পরিবারের লোকজন, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও মহল্লাবাসী লোকদেরকে সর্বদা দ্বীনের দাওয়াত দিতে থাকা এবং তাদেরকে দীনের তা‘লীম দিতে থাকা। সার কথা আল্লাহর দীনের জন্য প্রতিদিন কিছু সময় বের করা। (সূরা বাকারা, আয়াত ১৭৭/ বুখারী শরীফ, ২/ ৮৯৬)

মৃত্যুর আগেই আমাদের এই বিষয়গুলি পরিশুদ্ধ করতেই  হবে। যদি রোজ হাসরে আমরা মুক্তি পেতে চায়। আল্লাহ আমাদের এই বিষয়সমূহের উপর আমল করার তৌফিক দান করুন। (আমিন)