প্রতিপক্ষকে ফাসানোর জন্য নিজেরা অস্ত্র সংগ্রহ করে প্রতিপক্ষের বাড়ীতে রেখে পুলিশকে সংবাদ দেয় এবং পুলিশের সাথে গিয়ে তাদের দেখানো স্থান থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনা পুলিশের তথ্যদাতাদের প্রতি সন্দেহ হয় অভিযানে থানা পুলিশ সদস্যদের। পরে পুলিশের জেরার মুখে তারা নিজেরাই অস্ত্র রেখে প্রতিপক্ষকে ফাসাতে এমন কাজ করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।

পাংশা মডেল থানা পুলিশ এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানান,

মাদক,সন্ত্রাস জঙ্গিবাদমুক্ত করাসহ অবৈধ অস্ত্র-গুলি উদ্ধারের লক্ষ্যে পাংশা মডেল থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে (২৯ সেপ্টম্বর) বুধবার রাত ২ টার সময় সংবাদদাতা মোঃ ইসলাম মন্ডল (৩৫) মোঃ হামিদুর মিয়া (৪০) দ্বয়সহ পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের পুইজোর গ্রামস্থ বাবু মন্ডল (৪৮) পিতা-শাহাদাত মন্ডল এর বসত বাড়ীর পূর্বপার্শ্বে রান্না ঘরের পূর্বপাশের খড়ির চালার কাছে উপস্থিত হয়ে সাক্ষীদের সম্মূখে নিজ হাতে বাহির করে দেওয়া মতে ০১ (এক) টি দেশীয় তৈরী ওয়ান শুটার গান ও ০১ (এক) টি রামদা উদ্ধার পূর্বক উপস্থিত সাক্ষীদের সন্মুখে জব্দ করা হয় ।

সংবাদদাতাদের এরুপ তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধারের ঘটনায় সন্দেহ হওয়ায় সংবাদদাতাদের পৃথক পৃথক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদে তারা এলোমেলো কথাবার্তা বলে।এক পর্যায়ে সংবাদদাতা ইসলাম মন্ডল (৩৫) জানায় যে, তার পরিবারের সাথে চাচাতো চাচা বাবু মন্ডল এর পারিবারিক জমি জমা সংক্রান্ত র্দীঘদিন যাবৎ বিরোধ ও মামলা চলমান রয়েছে। সে জানান প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বাবু মন্ডল এর বসত বাড়ীর পূর্বপার্শ্বে রান্না ঘরের খড়ির চালার নিচে অবৈধ অস্ত্র ফাসানোর জন্য রাখে। সে আরো জানায় যে, বাবু মন্ডলকে ফাসানোর জন্য মোঃ হামিদুর মিয়া (৪০) এর নিকট হতে অস্ত্র সংগ্রহ করে দুইজনে মিলে ঘটনাস্থলে রেখে পুলিশকে সংবাদ প্রদান করে। তখন ইসলাম মন্ডল (৩৫) ও মোঃ হামিদুর মিয়া (৪০) কে গ্রেফতার করা হয়।

এ ব্যাপারে পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ মাসুদুর রহমান বলেন বুধবার পাংশা মডেল থানায় গ্রেফতারকৃতদের নামে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ (ধ) রুজু করা হয়। সেই সাথে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করে পাংশা মডেল থানা পুলিশ।