রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ১২ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

সিরাজদিখানে ইছামতি নদীতে ঘের দিয়ে অবৈধভাবে মাছ চাষ

শহিদ শেখ, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি ।।
মুন্সীগঞ্জের  সিরাজদিখানে ইছামতির শাখ নদীতে বাঁশের বেড়া ও জালের বাঁধ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করেছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। উপজেলার মালখানগর ও বয়রাগাদী ইউনিয়ন দিয়ে  বয়ে যাওয়া ইছামতীর শাখ নদীতে বাঁশের বেড়া ও জালের বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করেছে। এই শাখা নদীটি দিয়ে উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়নের ,হাজী বাড়ী ,গাজী,দেওয়ান বাড়ীর এলাকার কৃষকরা নৌযান দিয়ে কৃষিপণ্য, তালতলা বাজার সহ আশপাশের বাজারে আসা যাওয়া করে।এর ফলে নদীপথে মানুষজনের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

স্থানীয় জেলেরা এই শাখা নদী থেকে মাছ ধরে বিক্রি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করত। সেই নদীতে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী  মহল অবৈধ ভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় সব ধরনের কর্মকান্ড বন্ধ হয়ে গেছে। নদী পাড়ের মানুষজন প্রশাসনের নদীর মধ্যে বাধটি খুলে দেওয়া এবং নদীটিকে উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

গত শনিবার বেলা ১১ টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের ফুরশাইল গ্রাম দিয়ে বয়ে যাওয়া ইছামতি শাখা নদীতে বিরাট একটি অংশ বাঁশ ও জাল দিয়ে বাধ দিয়ে রাখা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়, এই শাখা নদীর পার ঘিরে উপজালার বয়রাগাদী ইউনিয়নের প্রায়ই ৩০০ পরিবারের কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। বছরের পর বছর এই শাখা নদীটি জনসাধারণের জন্য উন্মক্ত ছিল। এখন বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার কারণে কাউকে সেখানে নামতে দেওয়া হয় না। জেলেদের মাছ ধরারও কোনো সুযোগ নেই। বাঁধটি দিয়েছে মালখনগর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের হারুন মেম্বার, মালখনগর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, মুনসুর আহমেদ , বয়রাগাদী ইউপির বাচ্চু মেম্বার, বয়রাগাদী ইউপির সাবেক মেম্বার মনির হোসেন সহ একটি প্রভাবশালীর একটি মহল। তারা সমিতির নাম করে শাখা নদীতে বছরের পর বছর ধরে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে। এতে করে শাখা নদীটির আনুমানিক এক কিলোমিটা জলাকার এই বাধ দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। এই আটকের পড়া জলাশয়ে তারা মাছ ছেরে চাষ করছে। সেখানে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারাও নিয়মিত তদারকি করছে।

ফুরশাইল গ্রামের সাজেদুল ইসলাম বলেন, সংগঠনের নামে অনুমতি এনে নদীতে মাছ চাষের বিষয়ে এলাকাবাসীকে বুঝিয়েছে। সত্যিকার অর্থে তারা কোনো অনুমোদন নেয় নাই। তারা আসলে একটা মিথ্যা কথা বলে রটিয়েছেন।  তাই প্রশাসনের কাছে দৃষ্টিআকর্ষণ করে বলতে চাই যারা বাধ দিয়েছে তাদের প্রতি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি। আরেকজন তাসলিমা বেগম জানান, নদীতে বাঁধ দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা চলাচল করতে পারিনা। এই নদী দিয়ে আমরা ট্রলার যোগে যাতায়াত করি। কিন্তু সেটা এখন বন্ধ হয়ে গেছে। তাই বাঁধ খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

ফুরশাইল গ্রামের জেলে সুমন হাওলাদার জানান, এই নদীতে আগে আমার মাছ ধরতাম।  সরকারের পক্ষে থেকে জাল যার জল তার শ্লোগানে মৎস অধিদপ্তর থেকে আমার জেলে হিসাবে মাছ ধরার জন্যে স্মার্ট কার্ডও পেয়েছি।  কিন্তু নদীতে বাধ দিয়ে সমিতির নাম দিয়ে নদী বন্ধ করে দিছে। এটা মোটেও ঠিক হয়নি। যদি সমিতির নামে অনুমতি আনে তা হলে আমাদের জেলেদের বাদ দিয়ে কেমন সমিতি করে এইটা?? আমার কেনো এই নদীতে মাছ ধরতে পারবো না এটা প্রশ্ন উপজেলা প্রশাসনের কাছে।

ইছামতি নদীর পারের জেলেরা জানান, জাল যার-জল তার’ এটা সরকারের শ্লোগান। সেখানে জেলেদের বঞ্চিত করে নদী দখল করে তারা সমিতির নামে মাছ চাষ করছেন। আগে আমরা এই নদী থেকে মাছ ধরে আমাদের সংসার চালাইতাম। কিন্তু এখন বাধ দেওয়ায় তা আর সম্ভব হচ্ছে না। এবিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

অভিযুক্ত মৎস্য শিকারী মুনসুর আহমেদের কাছে সমিতির নাম জানতে চাইলে তিনি নাম বলতে পারেন নি। শাখা নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছের ঘের তৈরি করা এবং সংগঠনের কোনো অনুমোদন নেই বলে তিনি জানান।

মালখানগর ইউপি ওয়ার্ড সদস্য হারুন আর রশিদ বলেন, আমরা যখন সমিতিটা করেছি তখন বয়রাগাদী ইউনিয়ন ও মালখানগর ইউনিয়নের লোকজন নিয়ে কমিটি করার কথা। কিন্তু সেক্ষেত্রে বয়রাগাদী ইউনিয়নের লোকজন বেশি ছিল। তারপর আমরা উপজেলা চেয়ারম্যান এবং মৎস্য কর্মকর্তার সাথে আমরা আলাপ-আলোচনা করি মাছের ঘেরের বিষয়ে। তখন মৎস্য কর্মকর্তা বলে ভালো ভাবে এ খানে যদি আপনারা মাছ চাষ করেন তবে লাভবান হবেন। সেক্ষেত্রে আমরাও আপনাদেরকে যথাযথ সহযোগিতা করবো। আমরা ওই স্থানে মাছের ঘের উপজেলা চেয়ারম্যান, বয়রাগাদী চেয়ারম্যান, মৎস্য কর্মকর্তা দিকে উদ্বোধন করি। এখন জানতে পারি এটার কোনো অনুমোদন নেই। তখন থেকে আমি এটার সাথে জড়িত না। তবে সেক্ষেত্রে আমরা বলব আইনিভাবে প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে এটাকে ভেঙে দেওয়া হোক।

মালখানগর ইউপির সচিব মো. আমিনুর রহমান জানান, অবৈধ ভাবে নদীর অংশ দখল করে বাশের বেড়ার মাধমে জাল দিয়ে ঘেরাও করে মাছ চাষ করা হলে নদীর নাব্যতা নষ্ট হয়, নৌচলাচলের ব্যাঘাত করেছে।  মাছের স্বাভাবিক চলচল ব্যাহত হচ্ছে। আমার এ-ই ব্যাপারে উপজেলা মৎস কর্মকর্তাকে উচ্ছেদ করার জন্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্যে ইতিমধ্যে জানিয়েছি ।

বয়রাগাদী ইউপির চেয়ারম্যান গাজী মো.আলাউদ্দিন বলেন, ইছামতি নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছের ঘের করেছে সেটা অনুমতির নিয়েছে কিনা সে বিষয়ে আমি জানিনা।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ( অতিরিক্ত দায়িত্ব ) যুধিষ্ঠির রঞ্জন পাল বলেন,প্রায় তিন বছর আগে থেকে ইছামতি নদীতে বাধ দিয়ে মাছ চাষ করছে মালখানগর এবং বয়রাগাদী ইউনিয়নের ইউপি সদস্যরা মিলে একটি কমিটি গঠন করে একটি সংগঠন তৈরি করে। তারা সংগঠনের নামে মাছ ছাড়ে। কিন্তু এটার অনুমোদন নেই।

এবিষয় জানতে চাইলে মুন্সীগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামসুল করিম জানান, নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার সুযোগ নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, যদি ইছামতি শাখা নদীতে এরকম কোন ঘটনা ঘটে থাকে তবে আমরা যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

জনপ্রিয়

সিরাজদিখানে ইছামতি নদীতে ঘের দিয়ে অবৈধভাবে মাছ চাষ

প্রকাশের সময় : ১২:০৭:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অক্টোবর ২০২১
শহিদ শেখ, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি ।।
মুন্সীগঞ্জের  সিরাজদিখানে ইছামতির শাখ নদীতে বাঁশের বেড়া ও জালের বাঁধ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করেছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। উপজেলার মালখানগর ও বয়রাগাদী ইউনিয়ন দিয়ে  বয়ে যাওয়া ইছামতীর শাখ নদীতে বাঁশের বেড়া ও জালের বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করেছে। এই শাখা নদীটি দিয়ে উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়নের ,হাজী বাড়ী ,গাজী,দেওয়ান বাড়ীর এলাকার কৃষকরা নৌযান দিয়ে কৃষিপণ্য, তালতলা বাজার সহ আশপাশের বাজারে আসা যাওয়া করে।এর ফলে নদীপথে মানুষজনের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

স্থানীয় জেলেরা এই শাখা নদী থেকে মাছ ধরে বিক্রি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করত। সেই নদীতে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী  মহল অবৈধ ভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় সব ধরনের কর্মকান্ড বন্ধ হয়ে গেছে। নদী পাড়ের মানুষজন প্রশাসনের নদীর মধ্যে বাধটি খুলে দেওয়া এবং নদীটিকে উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

গত শনিবার বেলা ১১ টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের ফুরশাইল গ্রাম দিয়ে বয়ে যাওয়া ইছামতি শাখা নদীতে বিরাট একটি অংশ বাঁশ ও জাল দিয়ে বাধ দিয়ে রাখা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়, এই শাখা নদীর পার ঘিরে উপজালার বয়রাগাদী ইউনিয়নের প্রায়ই ৩০০ পরিবারের কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। বছরের পর বছর এই শাখা নদীটি জনসাধারণের জন্য উন্মক্ত ছিল। এখন বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার কারণে কাউকে সেখানে নামতে দেওয়া হয় না। জেলেদের মাছ ধরারও কোনো সুযোগ নেই। বাঁধটি দিয়েছে মালখনগর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের হারুন মেম্বার, মালখনগর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, মুনসুর আহমেদ , বয়রাগাদী ইউপির বাচ্চু মেম্বার, বয়রাগাদী ইউপির সাবেক মেম্বার মনির হোসেন সহ একটি প্রভাবশালীর একটি মহল। তারা সমিতির নাম করে শাখা নদীতে বছরের পর বছর ধরে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে। এতে করে শাখা নদীটির আনুমানিক এক কিলোমিটা জলাকার এই বাধ দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। এই আটকের পড়া জলাশয়ে তারা মাছ ছেরে চাষ করছে। সেখানে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারাও নিয়মিত তদারকি করছে।

ফুরশাইল গ্রামের সাজেদুল ইসলাম বলেন, সংগঠনের নামে অনুমতি এনে নদীতে মাছ চাষের বিষয়ে এলাকাবাসীকে বুঝিয়েছে। সত্যিকার অর্থে তারা কোনো অনুমোদন নেয় নাই। তারা আসলে একটা মিথ্যা কথা বলে রটিয়েছেন।  তাই প্রশাসনের কাছে দৃষ্টিআকর্ষণ করে বলতে চাই যারা বাধ দিয়েছে তাদের প্রতি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি। আরেকজন তাসলিমা বেগম জানান, নদীতে বাঁধ দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা চলাচল করতে পারিনা। এই নদী দিয়ে আমরা ট্রলার যোগে যাতায়াত করি। কিন্তু সেটা এখন বন্ধ হয়ে গেছে। তাই বাঁধ খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

ফুরশাইল গ্রামের জেলে সুমন হাওলাদার জানান, এই নদীতে আগে আমার মাছ ধরতাম।  সরকারের পক্ষে থেকে জাল যার জল তার শ্লোগানে মৎস অধিদপ্তর থেকে আমার জেলে হিসাবে মাছ ধরার জন্যে স্মার্ট কার্ডও পেয়েছি।  কিন্তু নদীতে বাধ দিয়ে সমিতির নাম দিয়ে নদী বন্ধ করে দিছে। এটা মোটেও ঠিক হয়নি। যদি সমিতির নামে অনুমতি আনে তা হলে আমাদের জেলেদের বাদ দিয়ে কেমন সমিতি করে এইটা?? আমার কেনো এই নদীতে মাছ ধরতে পারবো না এটা প্রশ্ন উপজেলা প্রশাসনের কাছে।

ইছামতি নদীর পারের জেলেরা জানান, জাল যার-জল তার’ এটা সরকারের শ্লোগান। সেখানে জেলেদের বঞ্চিত করে নদী দখল করে তারা সমিতির নামে মাছ চাষ করছেন। আগে আমরা এই নদী থেকে মাছ ধরে আমাদের সংসার চালাইতাম। কিন্তু এখন বাধ দেওয়ায় তা আর সম্ভব হচ্ছে না। এবিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

অভিযুক্ত মৎস্য শিকারী মুনসুর আহমেদের কাছে সমিতির নাম জানতে চাইলে তিনি নাম বলতে পারেন নি। শাখা নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছের ঘের তৈরি করা এবং সংগঠনের কোনো অনুমোদন নেই বলে তিনি জানান।

মালখানগর ইউপি ওয়ার্ড সদস্য হারুন আর রশিদ বলেন, আমরা যখন সমিতিটা করেছি তখন বয়রাগাদী ইউনিয়ন ও মালখানগর ইউনিয়নের লোকজন নিয়ে কমিটি করার কথা। কিন্তু সেক্ষেত্রে বয়রাগাদী ইউনিয়নের লোকজন বেশি ছিল। তারপর আমরা উপজেলা চেয়ারম্যান এবং মৎস্য কর্মকর্তার সাথে আমরা আলাপ-আলোচনা করি মাছের ঘেরের বিষয়ে। তখন মৎস্য কর্মকর্তা বলে ভালো ভাবে এ খানে যদি আপনারা মাছ চাষ করেন তবে লাভবান হবেন। সেক্ষেত্রে আমরাও আপনাদেরকে যথাযথ সহযোগিতা করবো। আমরা ওই স্থানে মাছের ঘের উপজেলা চেয়ারম্যান, বয়রাগাদী চেয়ারম্যান, মৎস্য কর্মকর্তা দিকে উদ্বোধন করি। এখন জানতে পারি এটার কোনো অনুমোদন নেই। তখন থেকে আমি এটার সাথে জড়িত না। তবে সেক্ষেত্রে আমরা বলব আইনিভাবে প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে এটাকে ভেঙে দেওয়া হোক।

মালখানগর ইউপির সচিব মো. আমিনুর রহমান জানান, অবৈধ ভাবে নদীর অংশ দখল করে বাশের বেড়ার মাধমে জাল দিয়ে ঘেরাও করে মাছ চাষ করা হলে নদীর নাব্যতা নষ্ট হয়, নৌচলাচলের ব্যাঘাত করেছে।  মাছের স্বাভাবিক চলচল ব্যাহত হচ্ছে। আমার এ-ই ব্যাপারে উপজেলা মৎস কর্মকর্তাকে উচ্ছেদ করার জন্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্যে ইতিমধ্যে জানিয়েছি ।

বয়রাগাদী ইউপির চেয়ারম্যান গাজী মো.আলাউদ্দিন বলেন, ইছামতি নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছের ঘের করেছে সেটা অনুমতির নিয়েছে কিনা সে বিষয়ে আমি জানিনা।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ( অতিরিক্ত দায়িত্ব ) যুধিষ্ঠির রঞ্জন পাল বলেন,প্রায় তিন বছর আগে থেকে ইছামতি নদীতে বাধ দিয়ে মাছ চাষ করছে মালখানগর এবং বয়রাগাদী ইউনিয়নের ইউপি সদস্যরা মিলে একটি কমিটি গঠন করে একটি সংগঠন তৈরি করে। তারা সংগঠনের নামে মাছ ছাড়ে। কিন্তু এটার অনুমোদন নেই।

এবিষয় জানতে চাইলে মুন্সীগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামসুল করিম জানান, নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার সুযোগ নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, যদি ইছামতি শাখা নদীতে এরকম কোন ঘটনা ঘটে থাকে তবে আমরা যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।