মসিয়ার রহমান কাজল।।
গ্রীষ্মকালীন শিম ও টমেটো চাষে সাফল্যের মুখ দেখছেন যশোরের শার্শার চাষিরা। অল্প জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে অধিক মুনাফা লাভের আশায় তাদের মুখে আনন্দের হাসি।
কৃষিবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শীতকালীন টমেটো চাষের জন্য কার্তিকের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে তৃতীয় সপ্তাহ (অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ) পর্যন্ত বীজতলায় চারা তৈরি করেন কৃষকরা।
নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ চারা লাগানোর উপযুক্ত সময়। তবে অগ্রহায়ণের মাঝামাঝি পর্যন্ত ২০-২৫ দিনের চারা লাগানো যায়। জমি চাষ সম্পন্ন হলে ভূমি থেকে ১০-১৫ সেন্টিমিটার উঁচুতে মাচা তৈরি করে চারপাশে ড্রেনের ব্যবস্থা রাখতে হয়।চারা লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে পানি দিতে হবে।সারির দূরত্ব হবে ৫০ সেন্টিমিটিার এবং চারার দূরত্ব ৫০ সেন্টিমিটার।
জাতভেদ চারা লাগানোর ৬০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে পাকা টমেটা সংগ্রহ করা যায়।প্রতি গাছ থেকে সাত থেকে আটবারও টমেটা পাচ্ছেন কৃষকরা। টমেটার ফলন প্রতি শতাংশে ৮০থেকে ১০০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে।
শার্শা উপজেলায় পলি শেড আরনিচে বেড করে টমেটার চাষ হচ্ছে।বাঁশের মাচায় ঝুলছে শিমের থোকা থোকা ফুল। ভালো ফলন এবং বাজারে পর্যাপ্ত চাহিদা থাকায় দামও ভালো পাবেন বলে মনে করছেন কৃষকরা।
উপজেলার শ্যামলাগাছি, নারায়ণপুর, কাশিপুর গ্রামের মাঠে গ্রীষ্মকালীন শীম ও টমেটা দেখা যাচ্ছে এখন। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অসময়ের এ সবজিতে সফলতার মুখ দেখছেন চাষিরা।
বেনাপোল ও নাভারনের কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি শিম ৯০-১০০ টাকা এবং টমেটা ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
গ্রীষ্মকালীন টমেটার চাষশার্শার ডিহি ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের চাষি রহমান মিয়া জানান, প্রতি বিঘা শিম চাষে খরচ প্রায় লাখ টাকা, টমেটার বিঘা প্রতি খরচ একটু বেশি হলেও বাজার ভালো থাকলে খরচের দ্বিগুণ লাভ হয়।
শার্শার কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল বলেন, ‘যশোরের চাষিদের মধ্যে গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের আগ্রহ বাড়ছে।এতে একদিকে চাষিরা যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনি অসময়ে বাজারে নতুন সবজি পাচ্ছেন ক্রেতারা। এ বছর শার্শার ২৭ একর জমিতে শীম ও ৩১ একর জমিতে টমেটার চাষ হয়েছে।আশা করছি আগামী বছর আরও বেশি জমিতে গ্রীষ্মকালীন সবজি হবে।