শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাতীবান্ধায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ভাতিজার হাতে চাচা খুন

মোস্তাফিজুর রহমান, লালমনিরহাট প্রতিনিধি।। 

জেলা  পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানার দিক নিদর্শনায় মাত্র ১১ দিনের মাথায় হত্যা মামলার যাবতীয় ক্লু সহ জড়িত মুল আসামিকে আটক করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু বক্কর সিদ্দিক। এঘটনায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার আব্দুল মালেক (৪৫) নামে এক কৃষক হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি নিহতের আপন ভাতিজা সোহেল রানাকে (১৯) কে ১১ দিন পর গ্রেফতার করে।শুক্রবার (৮ অক্টোবর) রাতে নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় । হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।নিহত আব্দুল মালেক দোয়ানী গ্রামের বারেক আলীর ছেলে। আব্দুল মালেক একজন কৃষক। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক।গ্রেফতারকৃত, নিহত আব্দুল মালেকের আপন ছোট ভাই আব্দুল খালেকের ছেলে সোহেল রানা। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ভাতিজার হাতে  খুন হয় মালেক।এর আগে,ঘটনার পরে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিহত আব্দুল মালেকের বাবা বারেক আলীর,প্রতিবেশী  (১) বাবুল হোসেন ৩০ (২) সাজু ৩৮( ৩)  বাবু ৩৫( ৪) সফিকুল ইসলাম সফি ৪৫ (৫)  মিন্টু ৫৫ সকলের পিতা মৃত নজির হোসেন ও (৬)  মইনুল ৪০ পিতা মৃত নুনু মিয়া সহ নামে হাতীবান্ধা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের ২নং দোয়ানী গ্রামে গত (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজ বাড়ীর সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন একই এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে আব্দুল মালেক (৪৫)। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে নিহতের পরিবার অভিযোগ ছিল, পার্শ্ববর্তী একটি পরিবারের সাথে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে এবং তারাই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।কিন্তু ঘটনার ১১ দিন পর শুক্রবার রাতে মামলার বাদীর নাতি সোহেল রানাকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে চাচাকে হত্যার কথা স্বীকার করে।এর আগে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানীয় গ্রামে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন। পরে  মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাতীবান্ধা থানার উপ-পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিককে ঘটনার মুল আসামীদের গ্রেফতার নির্দেশ দেন।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাতীবান্ধা থানার উপ পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, সোহেলের শারীরিক একটি সমস্যা নিয়ে তার জ্যাঠা আব্দুল মালেক প্রায় সময় মনোমালিন্য হত এ নিয়ে পারিবারিক ভাবে কলহের সৃষ্টি হত । সেই ক্ষোভ থেকে তার চাচকে হত্যার পরিকল্পনা করে সোহেল। পরে বাজার থেকে একটি হাতুড়ি ক্রয় করে বাড়ির সামনে বসে থাকা চাচার মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে। পরে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুরীটি পাশে একটি ডোবায় ফেলে দেয়। ওই ডোবা থেকে হাতুড়ীটি উদ্ধার করা হয়।মামলার তদন্তকারীকর্মকর্তা  প্রতিনিধিকে জানান, এর সাথে আরো কেউ জড়িত কি না সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, আটকের পর হত্যাকাণ্ডে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন সোহেল রানা। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়িও উদ্ধার করেছে পুলিশ।  আজ শনিবার তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ছবিতে আসামি সোহেল রানা

হাতীবান্ধায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ভাতিজার হাতে চাচা খুন

প্রকাশের সময় : ০১:১৬:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অক্টোবর ২০২১

মোস্তাফিজুর রহমান, লালমনিরহাট প্রতিনিধি।। 

জেলা  পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানার দিক নিদর্শনায় মাত্র ১১ দিনের মাথায় হত্যা মামলার যাবতীয় ক্লু সহ জড়িত মুল আসামিকে আটক করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু বক্কর সিদ্দিক। এঘটনায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার আব্দুল মালেক (৪৫) নামে এক কৃষক হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি নিহতের আপন ভাতিজা সোহেল রানাকে (১৯) কে ১১ দিন পর গ্রেফতার করে।শুক্রবার (৮ অক্টোবর) রাতে নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় । হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।নিহত আব্দুল মালেক দোয়ানী গ্রামের বারেক আলীর ছেলে। আব্দুল মালেক একজন কৃষক। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক।গ্রেফতারকৃত, নিহত আব্দুল মালেকের আপন ছোট ভাই আব্দুল খালেকের ছেলে সোহেল রানা। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ভাতিজার হাতে  খুন হয় মালেক।এর আগে,ঘটনার পরে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিহত আব্দুল মালেকের বাবা বারেক আলীর,প্রতিবেশী  (১) বাবুল হোসেন ৩০ (২) সাজু ৩৮( ৩)  বাবু ৩৫( ৪) সফিকুল ইসলাম সফি ৪৫ (৫)  মিন্টু ৫৫ সকলের পিতা মৃত নজির হোসেন ও (৬)  মইনুল ৪০ পিতা মৃত নুনু মিয়া সহ নামে হাতীবান্ধা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের ২নং দোয়ানী গ্রামে গত (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজ বাড়ীর সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন একই এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে আব্দুল মালেক (৪৫)। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে নিহতের পরিবার অভিযোগ ছিল, পার্শ্ববর্তী একটি পরিবারের সাথে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে এবং তারাই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।কিন্তু ঘটনার ১১ দিন পর শুক্রবার রাতে মামলার বাদীর নাতি সোহেল রানাকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে চাচাকে হত্যার কথা স্বীকার করে।এর আগে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানীয় গ্রামে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন। পরে  মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাতীবান্ধা থানার উপ-পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিককে ঘটনার মুল আসামীদের গ্রেফতার নির্দেশ দেন।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাতীবান্ধা থানার উপ পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, সোহেলের শারীরিক একটি সমস্যা নিয়ে তার জ্যাঠা আব্দুল মালেক প্রায় সময় মনোমালিন্য হত এ নিয়ে পারিবারিক ভাবে কলহের সৃষ্টি হত । সেই ক্ষোভ থেকে তার চাচকে হত্যার পরিকল্পনা করে সোহেল। পরে বাজার থেকে একটি হাতুড়ি ক্রয় করে বাড়ির সামনে বসে থাকা চাচার মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে। পরে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুরীটি পাশে একটি ডোবায় ফেলে দেয়। ওই ডোবা থেকে হাতুড়ীটি উদ্ধার করা হয়।মামলার তদন্তকারীকর্মকর্তা  প্রতিনিধিকে জানান, এর সাথে আরো কেউ জড়িত কি না সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, আটকের পর হত্যাকাণ্ডে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন সোহেল রানা। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়িও উদ্ধার করেছে পুলিশ।  আজ শনিবার তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ছবিতে আসামি সোহেল রানা