বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাচ্ছেন

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম। ফাইল ছবি

ঢাকা ব্যুরো ।।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলামের চাকরির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৯ অক্টোবর। চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি আরো এক বছরের চুক্তিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। শফিকুল ইসলাম সততা নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং আরো একবছর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হিসেবে থাকলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং জনস্বার্থের জন্য হিতকর হবে। এই বিবেচনায় তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রস্তাব এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে, যেকোনো সময়ই তাকে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, শফিকুল ইসলাম ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে ঢাকার পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। এই সময় তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। সরকারের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সবচেয়ে বেশি সরকারের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন তার সততা এবং নিষ্ঠার নিয়ে। সততার দিক দিয়ে থেকে তিনি একজন অনুকরণীয় সরকারি কর্মকর্তা বলে সরকারের একাধিক নীতিনির্ধারক বলেছেন। অবশ্য সরকারের আরেকটি সূত্র বলছে যে এই সময়ে ঢাকার পুলিশ কমিশনার হওয়া নিয়ে দৌড়ে বেশ কয়েকজন নাম এসেছে এবং এ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত দিয়েছেন। এই নানারকম মত থাকার কারণে এ নিয়ে যেন জটিলতা তৈরি না হয় সেজন্যই শফিকুল ইসলামকে আরো এক বছরের জন্য নিয়োগ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্য একটি সূত্র দাবি করছে যে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে নানামুখী তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে নতুন করে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি গোষ্ঠীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তাছাড়া বিএনপি-জামাত নতুন করে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে। এরকম একটি পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে দ্রুত পুলিশ কমিশনারের বদলটি তেমন যৌক্তিক নয় বলেই সরকারের একাধিক নীতিনির্ধারক জানিয়েছে।

সরকারের একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা বলেছেন, ঢাকার পুলিশ কমিশনার হিসেবে শফিকুল ইসলাম একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। দুই বছরে তিনি দায়িত্বশীলতা এবং সততার পরিচয় দিয়েছেন আর এই কারণেই সরকার মনে করছে যে তার সেবাটা আরো একবছর নেয়া দরকার। এই সংক্রান্ত প্রস্তাবনাটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন দিলেই শফিকুল ইসলামের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। এর ফলে ঢাকার নুতন পুলিশ কমিশনার নিয়ে যে জল্পনা-কল্পনা চলছিলো তার অবসান হবে।

ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাচ্ছেন

প্রকাশের সময় : ০৩:০৬:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১

ঢাকা ব্যুরো ।।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলামের চাকরির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৯ অক্টোবর। চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি আরো এক বছরের চুক্তিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। শফিকুল ইসলাম সততা নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং আরো একবছর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হিসেবে থাকলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং জনস্বার্থের জন্য হিতকর হবে। এই বিবেচনায় তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রস্তাব এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে, যেকোনো সময়ই তাকে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, শফিকুল ইসলাম ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে ঢাকার পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। এই সময় তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। সরকারের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সবচেয়ে বেশি সরকারের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন তার সততা এবং নিষ্ঠার নিয়ে। সততার দিক দিয়ে থেকে তিনি একজন অনুকরণীয় সরকারি কর্মকর্তা বলে সরকারের একাধিক নীতিনির্ধারক বলেছেন। অবশ্য সরকারের আরেকটি সূত্র বলছে যে এই সময়ে ঢাকার পুলিশ কমিশনার হওয়া নিয়ে দৌড়ে বেশ কয়েকজন নাম এসেছে এবং এ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত দিয়েছেন। এই নানারকম মত থাকার কারণে এ নিয়ে যেন জটিলতা তৈরি না হয় সেজন্যই শফিকুল ইসলামকে আরো এক বছরের জন্য নিয়োগ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্য একটি সূত্র দাবি করছে যে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে নানামুখী তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে নতুন করে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি গোষ্ঠীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তাছাড়া বিএনপি-জামাত নতুন করে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে। এরকম একটি পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে দ্রুত পুলিশ কমিশনারের বদলটি তেমন যৌক্তিক নয় বলেই সরকারের একাধিক নীতিনির্ধারক জানিয়েছে।

সরকারের একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা বলেছেন, ঢাকার পুলিশ কমিশনার হিসেবে শফিকুল ইসলাম একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। দুই বছরে তিনি দায়িত্বশীলতা এবং সততার পরিচয় দিয়েছেন আর এই কারণেই সরকার মনে করছে যে তার সেবাটা আরো একবছর নেয়া দরকার। এই সংক্রান্ত প্রস্তাবনাটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন দিলেই শফিকুল ইসলামের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। এর ফলে ঢাকার নুতন পুলিশ কমিশনার নিয়ে যে জল্পনা-কল্পনা চলছিলো তার অবসান হবে।