ঢাকা ব্যুরো ।।
শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে প্রথমবারের মতো দেশের ২০টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ রোববার (১৭ অক্টোবর) থেকে। তিন দিনে তিনটি গ্রুপের পরীক্ষা হবে।
প্রথম দিনে অনুষ্ঠিত হবে ‘এ’ ইউনিট অর্থাৎ বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, ১৭ অক্টোবর ‘এ’ ইউনিটের, ২৪ অক্টোবর ‘বি’ ইউনিটের এবং ১ নভেম্বর ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষা চলবে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত। তবে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা-সংক্রান্ত অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও দুটি গুচ্ছে মোট ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে আগামী মাসে। এ ছাড়া দ্বিতীয়বারের মতো গুচ্ছভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে কৃষি ও কৃষিশিক্ষা প্রধান সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়। আরেকটি গুচ্ছে আছে তিনটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এই ২৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আবেদনকারী ৩ লাখ ৩৪ হাজারের বেশি।
এদিকে একসময় ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে আমেজের কমতি ছিল না, প্রতিটি ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করত এবং বিভিন্ন জেলা থেকে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে আসত। কিন্তু এবার এসবের কিছুই যেন হচ্ছে না। বর্তমানে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশের বিপরীত অবস্থা বিরাজমান।
গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, ‘এ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয় স্বতন্ত্রতা হারিয়েছে এবং ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে যে আমেজ তৈরি হতো তা নষ্ট হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, ‘গুচ্ছ পদ্ধতিতে সবকিছু কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হওয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃত্ব কমেছে৷ এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের খুব বেশি কিছু করার নেই। অন্যবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি কুমিল্লা নগরীর প্রায় ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেন্দ্র থাকলেও এবার শুধু বিশ্ববিদ্যালয়েই পরীক্ষা হবে।’
ভর্তি পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে বিভিন্ন জেলার আঞ্চলিক সংগঠনগুলো। কিন্তু এবার পরীক্ষার্থী কম থাকায় এবং দূরবর্তী অঞ্চলগুলোর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম হওয়ায় তাদের কার্যক্রমেও ধীরগতি দেখা দিয়েছে।
গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শামীমুল ইসলাম বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রেক্ষাপটে এবং ভর্তিচ্ছুদের দুর্ভোগ লাগবে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতির প্রত্যক্ষ নির্দেশনা ছিল। এ নিয়ে আমাদেরও নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আছে। তারপরও এখন পর্যন্ত প্রক্রিয়া যেভাবে এগিয়েছে ঠিক আছে বলে মনে হচ্ছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, ‘এটা আমাদের একার সিদ্ধান্ত না বরং সরকারি সিদ্ধান্ত। মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, ইউজিসির সিদ্ধান্তে এটা করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে।’
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলসহ অন্যান্য সব তথ্য https://gstadmission.ac.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
বার্তাকণ্ঠ/এন