মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুদকের মামলায় ফাঁসছেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান- সচিবসহ ৫ জন

যশোর প্রতিনিধি।। 

য়কর ও ভ্যাট কর্তনের নামে মিথ্যা বর্ণনায় সরকারি আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতে অভিযোগে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সচিবসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। (১৮ অক্টোবর) দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটি সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।।দুদক সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলায় আসামিরা হচ্ছেন – যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোল্লা আমীর হোসেন, সচিব অধ্যাপক এ এম এইচ আলী আর রেজা, হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম এবং ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং মালিক শেখ শরিফুল ইসলাম বাবু ও শাহী লাল স্টোরের মালিক আশরাফুল আলম। সূত্রে জানা যায়, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ২০২০-২১ অর্থবছরের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট থেকে দেখা যায়, বোর্ডের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এসটিডি হিসাব খাতে নয়টি চেক পরিশোধিত হয়। যা বোর্ডে সংরক্ষিত মুড়ি বইয়ের চেকে উল্লেখিত টাকার পরিমাণের সঙ্গে ব্যাংক কর্তৃক পরিশোধিত টাকার মিল নেই। সংরক্ষিত মুড়ি বইয়ের ওই ৯টি চেকের তারিখ অনুযায়ী হিসাব শাখার রেজিস্ট্রারের বিবরণীতে ভ্যাট ও আয়কর বাবদ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য চেকগুলো ইস্যু করা হয় । ইস্যুকরা চেকগুলোর বিপরীতে ভ্যাট ও আয়কর বাবদ সরকারি কোষাগারে অর্থ পরিশোধিত হয়নি। অথচ ওই চেকের মুড়ির বিপরীতে চেক জালিয়াতি করে দুটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংক থেকে ২ কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। রেজিস্ট্রার নিরীক্ষা করে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠান দুটি ওই টাকার বিপরীতে বোর্ড স্টোরে কোনো মালমাল সরবরাহ করেননি। বিল ভাউচারও দখল করে নিয়মানুযায়ী কোনো প্রতিষ্ঠান বোর্ডে মালামাল ও সেবা সরবরাহের লক্ষ্যে বোর্ডের সচিব সই করা কার্যাদেশ পাওয়ার পর উল্লেখিত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্টোরে মালামাল সরবরাহ পূর্বক বোর্ডের সচিবের কাছে মালামালের চালান ও বিল ভাউচার দাখিল করে। এরপর বোর্ডের সচিব মালামাল বুঝে নেওয়ার জন্য চালান ও বিলের ওপর স্টোর কিপারকে মার্ক করে স্টোরে পাঠায়। আরও জানায়, স্টোরবোর্ডের রেজিস্ট্রার নিরীক্ষা করে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠান দুটি ওই টাকার বিপরীতে বোর্ড স্টোরে কোনো মালমাল সরবরাহ করেননি। বিল ভাউচারও দখল করে নিয়মানুযায়ী কোনো প্রতিষ্ঠান বোর্ডে মালামাল ও সেবা সরবরাহের লক্ষ্যে বোর্ডের সচিব সই করা কার্যাদেশ পাওয়ার পর উল্লেখিত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্টোরে মালামাল সরবরাহ পূর্বক বোর্ডের সচিবের কাছে মালামালের চালান ও বিল ভাউচার দাখিল করে। এরপর বোর্ডের সচিব মালামাল বুঝে নেওয়ার জন্য চালান ও বিলের ওপর স্টোর কিপারকে মার্ক করে স্টোরে পাঠায়। কিপার ওই চালান এবং বিল ভাউচার সচিব কর্তৃক স্বাক্ষরিত স্মারকের কার্যাদেশ অনুযায়ী মালামাল বুঝে নিয়ে বিল দেওয়ার লক্ষ্যে রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে বিল ভাউচার হিসাব প্রদান শাখায় প্রেরণ করেন । কিন্তু এক্ষেত্রে হিসাব প্রধান শাখার কার্যাদেশের মাধ্যমে বিল প্রদান নথি পরীক্ষা করে দেখা যায়, পরিশোধিত অর্থের বিপরীতে কোনো বিল ভাউচার নথিতে উপস্থাপন করা হয়নি। অথচ জালিয়াতি চক্র ও প্রতিষ্ঠান দুটি সুকৌশলে অন্য বিল হতে ভ্যাট ও আয়কর সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার লক্ষ্যে ইস্যুকরা চেকগুলোর মুড়ির নম্বর এবং তারিখের সঙ্গে মিল রেখে চেক জালিয়াতি করে বোর্ড তহবিল হতে অর্থ উত্তোলন করে নিয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯/৪৭৭ (ক) তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অপরাধ করেছেন।
 
 বার্তাকণ্ঠ /এন
জনপ্রিয়

দুদকের মামলায় ফাঁসছেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান- সচিবসহ ৫ জন

প্রকাশের সময় : ০৭:২৩:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১

যশোর প্রতিনিধি।। 

য়কর ও ভ্যাট কর্তনের নামে মিথ্যা বর্ণনায় সরকারি আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতে অভিযোগে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সচিবসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। (১৮ অক্টোবর) দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটি সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।।দুদক সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলায় আসামিরা হচ্ছেন – যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোল্লা আমীর হোসেন, সচিব অধ্যাপক এ এম এইচ আলী আর রেজা, হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম এবং ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং মালিক শেখ শরিফুল ইসলাম বাবু ও শাহী লাল স্টোরের মালিক আশরাফুল আলম। সূত্রে জানা যায়, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ২০২০-২১ অর্থবছরের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট থেকে দেখা যায়, বোর্ডের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এসটিডি হিসাব খাতে নয়টি চেক পরিশোধিত হয়। যা বোর্ডে সংরক্ষিত মুড়ি বইয়ের চেকে উল্লেখিত টাকার পরিমাণের সঙ্গে ব্যাংক কর্তৃক পরিশোধিত টাকার মিল নেই। সংরক্ষিত মুড়ি বইয়ের ওই ৯টি চেকের তারিখ অনুযায়ী হিসাব শাখার রেজিস্ট্রারের বিবরণীতে ভ্যাট ও আয়কর বাবদ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য চেকগুলো ইস্যু করা হয় । ইস্যুকরা চেকগুলোর বিপরীতে ভ্যাট ও আয়কর বাবদ সরকারি কোষাগারে অর্থ পরিশোধিত হয়নি। অথচ ওই চেকের মুড়ির বিপরীতে চেক জালিয়াতি করে দুটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংক থেকে ২ কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। রেজিস্ট্রার নিরীক্ষা করে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠান দুটি ওই টাকার বিপরীতে বোর্ড স্টোরে কোনো মালমাল সরবরাহ করেননি। বিল ভাউচারও দখল করে নিয়মানুযায়ী কোনো প্রতিষ্ঠান বোর্ডে মালামাল ও সেবা সরবরাহের লক্ষ্যে বোর্ডের সচিব সই করা কার্যাদেশ পাওয়ার পর উল্লেখিত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্টোরে মালামাল সরবরাহ পূর্বক বোর্ডের সচিবের কাছে মালামালের চালান ও বিল ভাউচার দাখিল করে। এরপর বোর্ডের সচিব মালামাল বুঝে নেওয়ার জন্য চালান ও বিলের ওপর স্টোর কিপারকে মার্ক করে স্টোরে পাঠায়। আরও জানায়, স্টোরবোর্ডের রেজিস্ট্রার নিরীক্ষা করে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠান দুটি ওই টাকার বিপরীতে বোর্ড স্টোরে কোনো মালমাল সরবরাহ করেননি। বিল ভাউচারও দখল করে নিয়মানুযায়ী কোনো প্রতিষ্ঠান বোর্ডে মালামাল ও সেবা সরবরাহের লক্ষ্যে বোর্ডের সচিব সই করা কার্যাদেশ পাওয়ার পর উল্লেখিত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্টোরে মালামাল সরবরাহ পূর্বক বোর্ডের সচিবের কাছে মালামালের চালান ও বিল ভাউচার দাখিল করে। এরপর বোর্ডের সচিব মালামাল বুঝে নেওয়ার জন্য চালান ও বিলের ওপর স্টোর কিপারকে মার্ক করে স্টোরে পাঠায়। কিপার ওই চালান এবং বিল ভাউচার সচিব কর্তৃক স্বাক্ষরিত স্মারকের কার্যাদেশ অনুযায়ী মালামাল বুঝে নিয়ে বিল দেওয়ার লক্ষ্যে রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে বিল ভাউচার হিসাব প্রদান শাখায় প্রেরণ করেন । কিন্তু এক্ষেত্রে হিসাব প্রধান শাখার কার্যাদেশের মাধ্যমে বিল প্রদান নথি পরীক্ষা করে দেখা যায়, পরিশোধিত অর্থের বিপরীতে কোনো বিল ভাউচার নথিতে উপস্থাপন করা হয়নি। অথচ জালিয়াতি চক্র ও প্রতিষ্ঠান দুটি সুকৌশলে অন্য বিল হতে ভ্যাট ও আয়কর সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার লক্ষ্যে ইস্যুকরা চেকগুলোর মুড়ির নম্বর এবং তারিখের সঙ্গে মিল রেখে চেক জালিয়াতি করে বোর্ড তহবিল হতে অর্থ উত্তোলন করে নিয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯/৪৭৭ (ক) তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অপরাধ করেছেন।
 
 বার্তাকণ্ঠ /এন