বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জের ২২ ইউপিতে আওয়ামী লীগ ৯, স্বতন্ত্র ১৩

সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়, কিশোরগঞ্জ।। 
বিচ্ছিন্ন সহিংসতা, জাল ভোট, ব্যালট পেপার ছিনতাইসহ বিভিন্ন অঘটনের মধ্য দিয়ে চতুর্থ ধাপে কিশোরগঞ্জের তিন উপজেলার ২২ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে হোসেনপুরে ৬টি, কটিয়াদীতে ৯টি এবং ভৈরব উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। তিন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে, বিশেষ করে নারী ভোটার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে প্রতিটি কেন্দ্রেই বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত ছিল।
এদিকে রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে ২২ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত ৯ জন ও স্বতন্ত্র ১৩ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। তিন উপজেলার মধ্যে হোসেনপুরের ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত ৩ জন এবং স্বতন্ত্র ৩ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। কটিয়াদী উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত ২ জন এবং স্বতন্ত্র ৭ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। ভৈরব উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত ৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৩ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
কটিয়াদী উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, ১ নং বনগ্রাম ইউনিয়নে মোঃ জসিম উদ্দিন (আনারস, ৮,৮৪২ ভোট); ২নং সহশ্রাম ধুলদিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত আবুল কাশেম আকন্দ (নৌকা, ৫,৭১০ ভোট); ৩নং করগাঁও ইউনিয়নে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী নাদিম মোল্লা (চশমা ৬,২৪১ ভোট), ৪নং চান্দপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত মাহফুজুর রহমান (নৌকা, ৮,০৬৫ ভোট); ৫নং মুমুরদিয়া ইউনিয়নে আলা উদ্দিন সাবেরী (মোটরসাইকেল, ৭,২১৮ ভোট); ৬নং আচমিতা ইউনিয়নে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মতিউর রহমান (ঘোড়া, ৬,৫৩৮ ভোট); ৭ নং মসুয়া ইউনিয়নে আবু বাক্কার (আনারস, ১০,৮২৬ ভোট); ৮ নং লোহাজুরী ইউনিয়নে হায়দার মারুয়া (ঘোড়া, ৭৬৮৭ ভোট) এবং ৯ নং জালালপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল আলম চশমা প্রতীক নিয়ে ৫,৫৮৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
হোসেনপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, ১ নং জিনারী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আজহারুল ইসলাম (ঘোড়া, ৪,১০১ ভোট); ২ নং সিদলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত মোঃ কামরুজ্জামান কাঞ্চন (নৌকা, ১১,৬৫৪ ভোট); ৩ নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. সাইদুর রহমান (নৌকা, ১০,৪২৮ ভোট); ৪ নং আড়াইবাড়ীয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী খুশিদ উদ্দীন (আনারস, ৩,৫৪০ ভোট); ৫ নং শাহেদল ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজ উদ্দিন (আনারস, ৭,৫৯৫ ভোট) এবং ৬ নং পুমদী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত মোঃ আব্দুল কাইয়ুম নৌকা প্রতীকে ৫,০৯৩ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।
ভৈরব উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আগানগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত হুমায়ূন কবীর (নৌকা, ৪,৪৮০ ভোট); শিবপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত শফিকুল ইসলাম (নৌকা,১০,৯৭৩ ভোট); কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নে লিটন মিয়া (চশমা, ১১,২৪১ ভোট); গজারিয়া ইউনিয়নে শাহরিয়ার (চশমা, ৪,১১৩ ভোট); সাদেকপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সাফায়েত উল্লাহ (নৌকা, ৫,০৯৯ ভোট); শ্রীনগর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুনুর রশিদ ভূঁইয়া (আনারস, ৫,৫২৬ ভোট) এবং শিমুলকান্দি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত মিজানুর রহমান নৌকা প্রতীকে ৪,৪৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

কিশোরগঞ্জের ২২ ইউপিতে আওয়ামী লীগ ৯, স্বতন্ত্র ১৩

প্রকাশের সময় : ১১:৩৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১
সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়, কিশোরগঞ্জ।। 
বিচ্ছিন্ন সহিংসতা, জাল ভোট, ব্যালট পেপার ছিনতাইসহ বিভিন্ন অঘটনের মধ্য দিয়ে চতুর্থ ধাপে কিশোরগঞ্জের তিন উপজেলার ২২ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে হোসেনপুরে ৬টি, কটিয়াদীতে ৯টি এবং ভৈরব উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। তিন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে, বিশেষ করে নারী ভোটার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে প্রতিটি কেন্দ্রেই বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত ছিল।
এদিকে রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে ২২ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত ৯ জন ও স্বতন্ত্র ১৩ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। তিন উপজেলার মধ্যে হোসেনপুরের ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত ৩ জন এবং স্বতন্ত্র ৩ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। কটিয়াদী উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত ২ জন এবং স্বতন্ত্র ৭ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। ভৈরব উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত ৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৩ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
কটিয়াদী উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, ১ নং বনগ্রাম ইউনিয়নে মোঃ জসিম উদ্দিন (আনারস, ৮,৮৪২ ভোট); ২নং সহশ্রাম ধুলদিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত আবুল কাশেম আকন্দ (নৌকা, ৫,৭১০ ভোট); ৩নং করগাঁও ইউনিয়নে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী নাদিম মোল্লা (চশমা ৬,২৪১ ভোট), ৪নং চান্দপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত মাহফুজুর রহমান (নৌকা, ৮,০৬৫ ভোট); ৫নং মুমুরদিয়া ইউনিয়নে আলা উদ্দিন সাবেরী (মোটরসাইকেল, ৭,২১৮ ভোট); ৬নং আচমিতা ইউনিয়নে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মতিউর রহমান (ঘোড়া, ৬,৫৩৮ ভোট); ৭ নং মসুয়া ইউনিয়নে আবু বাক্কার (আনারস, ১০,৮২৬ ভোট); ৮ নং লোহাজুরী ইউনিয়নে হায়দার মারুয়া (ঘোড়া, ৭৬৮৭ ভোট) এবং ৯ নং জালালপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল আলম চশমা প্রতীক নিয়ে ৫,৫৮৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
হোসেনপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, ১ নং জিনারী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আজহারুল ইসলাম (ঘোড়া, ৪,১০১ ভোট); ২ নং সিদলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত মোঃ কামরুজ্জামান কাঞ্চন (নৌকা, ১১,৬৫৪ ভোট); ৩ নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. সাইদুর রহমান (নৌকা, ১০,৪২৮ ভোট); ৪ নং আড়াইবাড়ীয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী খুশিদ উদ্দীন (আনারস, ৩,৫৪০ ভোট); ৫ নং শাহেদল ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজ উদ্দিন (আনারস, ৭,৫৯৫ ভোট) এবং ৬ নং পুমদী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত মোঃ আব্দুল কাইয়ুম নৌকা প্রতীকে ৫,০৯৩ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।
ভৈরব উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আগানগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত হুমায়ূন কবীর (নৌকা, ৪,৪৮০ ভোট); শিবপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত শফিকুল ইসলাম (নৌকা,১০,৯৭৩ ভোট); কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নে লিটন মিয়া (চশমা, ১১,২৪১ ভোট); গজারিয়া ইউনিয়নে শাহরিয়ার (চশমা, ৪,১১৩ ভোট); সাদেকপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সাফায়েত উল্লাহ (নৌকা, ৫,০৯৯ ভোট); শ্রীনগর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুনুর রশিদ ভূঁইয়া (আনারস, ৫,৫২৬ ভোট) এবং শিমুলকান্দি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত মিজানুর রহমান নৌকা প্রতীকে ৪,৪৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।