আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
এ বছরের বর্ষসেরা দুর্নীতিবাজ নেতার তালিকায় উঠে এসেছে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান, আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির নাম।
অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট ও.সি.সি.আর.পি’র প্রকাশিত বর্ষসেরা দুর্নীতিবাজের তালিকায় স্থান হয়েছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদেরও।
বসনিয়া হার্জেগোভিনাভিত্তিক সংগঠন অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট ও.সি.সি.আর.পি’র প্রকাশিত ‘বর্ষসেরা’ দুর্নীতিবাজের তালিকার শুরুতেই স্থান হয়েছে বেলারুশের স্বৈরশাসক আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর নাম।
সরকারি তহবিলের অর্থ আত্মসাতসহ নানাভাবে দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে লুকাশেঙ্কো ও তার পরিবারের। ১৯৯৩ সাল থেকে ক্ষমতা আকড়ে রাখা লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে গেল বছর দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়।
বিরোধীদলের ওপর ব্যাপক দমনপীড়ন চালায় সরকারি বাহিনী। এছাড়া চলতি বছর পোল্যান্ড সীমান্তে ইউরোপগামী অভিবাসীদের ঠেলে দিয়ে চরম মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টির জন্যও দায়ী করা হয় লুকাশেঙ্কোকে।
তালেবানের হাতে কোটি কোটি আফগানের ভবিষ্যত সপে দিয়ে দেশ ছেড়ে পালানো আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সীমাহীন দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত ও.সি.সি.আর.পি।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহারের পাশাপাশি কোটি কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে।
সরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে চীনা তহবিল ব্যবহার করে ইরান থেকে জ্বালানি তেল কেনার অভিযোগ তোলা হয় তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের বিরুদ্ধে। এছাড়া সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও ঘুষ নেয়ার অভিযোগে বর্ষসেরা দুর্নীতিবাজের তালিকায় নাম লেখিয়েছেন অস্ট্রিয়ার সাবেক চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কুর্জস।
২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সংগঠনের অনুসন্ধান অনুযায়ী গেল বছর বর্ষসেরা দুর্নীতিবাজ হন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো। তার আগে ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মতো বিশ্বনেতার নামও উঠে এসেছে বর্ষসেরা দুর্নীতিবাজের তালিকায়।