রবিবার, ১১ জুন ২০২৩, ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অযত্ন অবহেলায় রাঙ্গুনিয়ার রাজবাড়ী 

এম.মতিন, চট্টগ্রাম ব্যুরো।। 
যত্নে অবহেলায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার রানী কালিন্দির রাজবাড়িসহ বহু পুরাকীর্তি। এসব স্থাপনা সংরক্ষণের দাবি ইতিহাসবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের।
মোগল শাসনামলে ১৭৩৭ খ্রিষ্টাব্দে রাজা শেরমস্ত খাঁ চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় জমিদারি গড়ে তোলেন। এরপর দায়িত্ব নেন শুকদেব রায়, শের জব্বর খাঁ, শের দৌলত খাঁ, জান বক্স খাঁ।
জান বক্স খাঁ ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন এবং আত্মসমর্পণ করেন। এরপর কর্ণফুলী নদীর উত্তর পাড়ে রাঙ্গুনিয়ার দক্ষিণ রাজানগরে গড়ে তোলেন নতুন রাজবাড়ি।
৫২ একর এলাকা জুড়ে গড়ে তোলা এই রাজবাড়িটি এখন বিলীন হওয়ার পথে। বাড়িটি এখন দেখা শুনা করছেন চাকমা জমিদারদের বংশধররা।
চাকমা রাজার বংশধর রোমেল দেওয়ান বলেন, শের মোস্ত খাঁর আমলে এটা প্রতিষ্ঠিত। ব্রিটিশ সরকার যখন তিন পার্বত্য জেলা ঘোষণা করলো তখন রাজা হরিদচন্দ্র পার্বত্য জেলার রাঙ্গামাটি চলে যান, ছোট রাজা নবচন্দ্র এখানে থেকে যান। আমরা নবচন্দ্রের বংশধর হিসেবে এখানে আছি।
এই রাজবাড়িসহ সকল প্রাচীন স্থাপনা সরক্ষণের দাবি জানালেন ইতিহাসবিদরা।
গবেষক ও ইতিহাসবিদ জামাল উদ্দিন বলেন, ব্রিটিশ যখন চট্টগ্রামে আসে তখন তারা জানবক্স খাঁ’র কাছে কর দাবি করলো। জানবক্স তার কর দেবে না, এই সূত্র ধরে তার সঙ্গে যুদ্ধ লেগে গেল। প্রায় ১২টি বছর এই যুদ্ধটি চলে। অবশেষে কলিকাতায় ব্রিটিশ লর্ডের দরবারে গিয়ে জানবক্স খাঁ আত্মসমর্পণ করলেন।
চট্টগ্রামের সব ঐতিহাসিক স্থাপনা সংরক্ষণে সরকারের পদক্ষেপ দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

নির্বাচনে সবকটি ভোট কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে-প্রধান নির্বাচন কমিশনার

অযত্ন অবহেলায় রাঙ্গুনিয়ার রাজবাড়ী 

প্রকাশের সময় : ০৮:২৩:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১
এম.মতিন, চট্টগ্রাম ব্যুরো।। 
যত্নে অবহেলায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার রানী কালিন্দির রাজবাড়িসহ বহু পুরাকীর্তি। এসব স্থাপনা সংরক্ষণের দাবি ইতিহাসবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের।
মোগল শাসনামলে ১৭৩৭ খ্রিষ্টাব্দে রাজা শেরমস্ত খাঁ চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় জমিদারি গড়ে তোলেন। এরপর দায়িত্ব নেন শুকদেব রায়, শের জব্বর খাঁ, শের দৌলত খাঁ, জান বক্স খাঁ।
জান বক্স খাঁ ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন এবং আত্মসমর্পণ করেন। এরপর কর্ণফুলী নদীর উত্তর পাড়ে রাঙ্গুনিয়ার দক্ষিণ রাজানগরে গড়ে তোলেন নতুন রাজবাড়ি।
৫২ একর এলাকা জুড়ে গড়ে তোলা এই রাজবাড়িটি এখন বিলীন হওয়ার পথে। বাড়িটি এখন দেখা শুনা করছেন চাকমা জমিদারদের বংশধররা।
চাকমা রাজার বংশধর রোমেল দেওয়ান বলেন, শের মোস্ত খাঁর আমলে এটা প্রতিষ্ঠিত। ব্রিটিশ সরকার যখন তিন পার্বত্য জেলা ঘোষণা করলো তখন রাজা হরিদচন্দ্র পার্বত্য জেলার রাঙ্গামাটি চলে যান, ছোট রাজা নবচন্দ্র এখানে থেকে যান। আমরা নবচন্দ্রের বংশধর হিসেবে এখানে আছি।
এই রাজবাড়িসহ সকল প্রাচীন স্থাপনা সরক্ষণের দাবি জানালেন ইতিহাসবিদরা।
গবেষক ও ইতিহাসবিদ জামাল উদ্দিন বলেন, ব্রিটিশ যখন চট্টগ্রামে আসে তখন তারা জানবক্স খাঁ’র কাছে কর দাবি করলো। জানবক্স তার কর দেবে না, এই সূত্র ধরে তার সঙ্গে যুদ্ধ লেগে গেল। প্রায় ১২টি বছর এই যুদ্ধটি চলে। অবশেষে কলিকাতায় ব্রিটিশ লর্ডের দরবারে গিয়ে জানবক্স খাঁ আত্মসমর্পণ করলেন।
চট্টগ্রামের সব ঐতিহাসিক স্থাপনা সংরক্ষণে সরকারের পদক্ষেপ দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।