রাজবাড়ী প্রতিনিধি ।।
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার ইউপি নির্বাচনী পূর্ববর্তী সহিংসতায় বসতবাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় একজন মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি সহ প্রায় ১০-১২টি বসতবাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে জানা গেছে। গত শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটার দিকে উপজেলার বাগলি ও দেওবাড়ীয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার রাতে পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী আজমল আল বাহারের সমর্থকদের বসতবাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাট করা হয়। বাধা দিতে এলে আগ্নেয় অস্ত্র দিয়ে বাড়িতে অবস্থানরত মহিলাদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে হামলাকারী সন্ত্রাসী। খবর পেয়ে ঘটনার প্রায় একঘন্টা পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (আনারস প্রতীক) আহম্মদ হোসেনের ভাই রতন ও তার সমর্থকরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
এব্যাপারে সরিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) আজমল আল বাহার সাংবাদিকদের বলেন, আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আহম্মদ হোসেনের ভাই রতন, সোহরাব মেম্বার এবং তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী শুধু যে আমার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে তাই নয় আমাকে উদ্দেশ্য করে আমার ব্যক্তিগত গাড়ি ঘেরাও করে হামলার চেষ্টা করে। নির্বাচনে যেন আর কোনো সহিংসতা সৃষ্টি না করা হয় আমার সমর্থকেরা যেন আর নির্যাতনের শিকার না হয় সেজন্য আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এব্যাপারে পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, ঘটনার পরপরই আমরা হামলার স্থানগুলো পরিদর্শন করি। মৌখিক ভাবে অভিযোগ জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার লিখিত অভিযোগ জানানো হয়নি। তবে আর যেন কোনো প্রকার সহিংসতা সৃষ্টি না হয় সেব্যাপারে আমরা তৎপর।