সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জে পিতার নিষ্ঠুরতায় সন্তানের মৃত্যু

সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় , কিশোরগঞ্জ ।।
বিস্তারিতঃ কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় দেড় মাস একটি ঘুপচি ঘরে শিকলে হাত-পা বেঁধে ও নিয়মিত খাবার না দিয়ে সন্তানকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক পিতার বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের সরিষাপুর এলাকায় অভি মিয়া (২৪) মৃত্যুতে এলাকাবাসী তার পিতার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তুলেছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় অভির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে বাজিতপুর থানা পুলিশ।
এলাকাবাসী জানায়, অভি মিয়ার পাষণ্ড পিতা অহিদ মিয়া ৩টি বিয়ে করেছেন। ছোট স্ত্রীর নির্দেশে সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য অহিদ নিষ্ঠুর ও বর্বরতার সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করেছেন। চুরির অপরাধের শাস্তি হিসেবে ছেলে অভিকে প্রায় দেড় মাস একটি ঘুপচি ঘরে মধ্যে শিকলে হাত-পা বেঁধে বন্দী করে রাখেন। শাস্তি হিসেবে নিয়মিত খাবারও দেয়া হতো না। দিনের পর দিন খাবার পেয়ে এক সময় অভি কঙ্কালসার হয়ে পড়েন। এভাবে দেড় মাস নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে গত শুক্রবার অভি মিয়া মারা যায়। মৃত্যুর খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী অভির পিতার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠিয়ে তার কঠোর বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে বাজিতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, অভি মিয়ার লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

সেনাবাহিনী দখলে নিলো কেএনএফের আস্তানা ও প্রশিক্ষণ ক্যাম্প

কিশোরগঞ্জে পিতার নিষ্ঠুরতায় সন্তানের মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ১২:১৭:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জানুয়ারী ২০২২
সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় , কিশোরগঞ্জ ।।
বিস্তারিতঃ কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় দেড় মাস একটি ঘুপচি ঘরে শিকলে হাত-পা বেঁধে ও নিয়মিত খাবার না দিয়ে সন্তানকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক পিতার বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের সরিষাপুর এলাকায় অভি মিয়া (২৪) মৃত্যুতে এলাকাবাসী তার পিতার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তুলেছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় অভির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে বাজিতপুর থানা পুলিশ।
এলাকাবাসী জানায়, অভি মিয়ার পাষণ্ড পিতা অহিদ মিয়া ৩টি বিয়ে করেছেন। ছোট স্ত্রীর নির্দেশে সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য অহিদ নিষ্ঠুর ও বর্বরতার সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করেছেন। চুরির অপরাধের শাস্তি হিসেবে ছেলে অভিকে প্রায় দেড় মাস একটি ঘুপচি ঘরে মধ্যে শিকলে হাত-পা বেঁধে বন্দী করে রাখেন। শাস্তি হিসেবে নিয়মিত খাবারও দেয়া হতো না। দিনের পর দিন খাবার পেয়ে এক সময় অভি কঙ্কালসার হয়ে পড়েন। এভাবে দেড় মাস নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে গত শুক্রবার অভি মিয়া মারা যায়। মৃত্যুর খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী অভির পিতার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠিয়ে তার কঠোর বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে বাজিতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, অভি মিয়ার লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান তিনি।