ডেস্ক রিপোর্ট ।।
আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আর যেন কোনো হায়েনার দল এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর ফার্মগেট খামারবাড়ী কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, জানি অনেক চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এগুলো আমি মাথায় রাখিও না। আমি বিভ্রান্তও না। কারণ আমরা সারাজীবনই দেখেছি এটা হচ্ছে, এটা হবেই। কিন্তু একটা আদর্শ নিয়ে চলতে গেলে, একটা লক্ষ্য স্থির করে চললে, বাংলাদেশের তৃণমূলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে গেলে, যারা উপরে থেকে বেশি বেশি খায়, বেশি বেশি পায় তাদের তো একটু দুঃখ থাকেই। তারা ভাবে আমাদের বোধ হয় জায়গা হবে না। সেজন্য ষড়যন্ত্র করতেই থাকে। আর কিছু লোকের তো লক্ষ্যই থাকে যে একটা পতাকা পেতে হবে বা একটু ক্ষমতায় যেতে হবে বা ইত্যাদি। এই ধরনের যাদের আকাঙ্ক্ষা বেশি তারা তো দেশের মানুষের ভাগ্যের কথা চিন্তা করে না।
তিনি বলেন, তাই তারা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত থাকে। কিন্তু নীতি আদর্শ নিয়ে চললে, সৎ পথে চললে যেকোনো বাধা অতিক্রম করা যায়। সেটা প্রমাণ করেছি আমরা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পরিবর্তন হয়েছে একটি সিদ্ধান্ত থেকে। যেদিন পদ্মাসেতু নিয়ে আমাদের ওপর দোষারোপ করল, দুর্নীতি হয়েছে। সেটাকে আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিলাম; বিশ্ব ব্যাংক যখন প্রমাণ করতে পারেনি তারপরেই বিশ্ববাসী বা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো, এক সময় যাদের কাছ থেকে আমরা ঋণ নিলে তারা মনে করত যে আমাদেরকে খুব করুণা করল। আমি কিন্তু সেই চিন্তা থেকে বাংলাদেশকে সরিয়ে এনেছি, আমরা ঋণ নিয়ে সুদসহ সেটা শোধ দেই। এইটা কখনো অনুদান না।
কাজেই আমরা কিন্তু এখন পরনির্ভরশীল না। আমাদের উন্নয়ন প্রকল্প আমরা নিজস্ব অর্থায়নে করতে পারি। সেটা আমরা দেখিয়েছি এবং পদ্মাসেতু আমরা নিজস্ব অর্থায়নে যে করতে পারি সেটা প্রমাণ করেছি। এই একটা সিদ্ধান্ত থেকেই কিন্তু সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পাল্টে গেছে। এখন কেউ আমাদের করুণা করতে সাহস পায় না, বরং আমাদের সমীহ করে চলতে পারে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, জানি অনেক চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এগুলো আমি মাথায় রাখিও না। আমি বিভ্রান্তও না। কারণ আমরা সারাজীবনই দেখেছি এটা হচ্ছে, এটা হবেই। কিন্তু একটা আদর্শ নিয়ে চলতে গেলে, একটা লক্ষ্য স্থির করে চললে, বাংলাদেশের তৃণমূলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে গেলে, যারা উপরে থেকে বেশি বেশি খায়, বেশি বেশি পায় তাদের তো একটু দুঃখ থাকেই। তারা ভাবে আমাদের বোধ হয় জায়গা হবে না। সেজন্য ষড়যন্ত্র করতেই থাকে। আর কিছু লোকের তো লক্ষ্যই থাকে যে একটা পতাকা পেতে হবে বা একটু ক্ষমতায় যেতে হবে বা ইত্যাদি। এই ধরনের যাদের আকাঙ্ক্ষা বেশি তারা তো দেশের মানুষের ভাগ্যের কথা চিন্তা করে না।
তিনি বলেন, তাই তারা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত থাকে। কিন্তু নীতি আদর্শ নিয়ে চললে, সৎ পথে চললে যেকোনো বাধা অতিক্রম করা যায়। সেটা প্রমাণ করেছি আমরা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পরিবর্তন হয়েছে একটি সিদ্ধান্ত থেকে। যেদিন পদ্মাসেতু নিয়ে আমাদের ওপর দোষারোপ করল, দুর্নীতি হয়েছে। সেটাকে আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিলাম; বিশ্ব ব্যাংক যখন প্রমাণ করতে পারেনি তারপরেই বিশ্ববাসী বা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো, এক সময় যাদের কাছ থেকে আমরা ঋণ নিলে তারা মনে করত যে আমাদেরকে খুব করুণা করল। আমি কিন্তু সেই চিন্তা থেকে বাংলাদেশকে সরিয়ে এনেছি, আমরা ঋণ নিয়ে সুদসহ সেটা শোধ দেই। এইটা কখনো অনুদান না।
কাজেই আমরা কিন্তু এখন পরনির্ভরশীল না। আমাদের উন্নয়ন প্রকল্প আমরা নিজস্ব অর্থায়নে করতে পারি। সেটা আমরা দেখিয়েছি এবং পদ্মাসেতু আমরা নিজস্ব অর্থায়নে যে করতে পারি সেটা প্রমাণ করেছি। এই একটা সিদ্ধান্ত থেকেই কিন্তু সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পাল্টে গেছে। এখন কেউ আমাদের করুণা করতে সাহস পায় না, বরং আমাদের সমীহ করে চলতে পারে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এই অর্জনটা ধরে রাখতে হবে। কারণ আমাদের দেশের কিছু মানুষ সেই পাকিস্তান আমল থেকে দেখি সবসময় কোনো একটা প্রভু খুঁজে নিয়ে তাদের পদলেহন করতে ব্যস্ত থাকে। তাদের কোনো আত্মমর্যাদা বোধ নেই, তাদের নিজের প্রতি কোনো আত্মবিশ্বাস নেই। এদের দিয়ে দেশের মানুষের কল্যাণ হয় না।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে জাতির পিতা স্বাধীনতার পর অনেক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেছেন যে এদেশে তো কিছুই নেই আপনি কি দিয়ে এই দেশ গড়বেন? তিনি কী বলেছিলেন? বলেছিলেন, আমার মাটি আছে, মানুষ আছে। এই মাটি, মানুষ দিয়েই আমি দেশ গড়ব। মাটি মানুষ দিয়েই যে দেশ গড়া যায় সেটা আমরা প্রমাণ করেছি।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি এটুকু চাইব যে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে যারা নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করতে চাও সাগরকে আদর্শ নিয়ে সততার সঙ্গে প্রগতির পথে এগিয়ে যেতে হবে। চলমান বিশ্বে সবসময় নিজেদেরকে গতি ঠিক রেখে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে যেতে হবে। তবেই এ দেশের নেতৃত্ব দিয়ে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আগেই বললাম যে প্রতিষ্ঠার লগ্ন থেকেই কিন্তু ছাত্রলীগ এই দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে গেছে। অনেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী বুকের রক্ত দিয়ে গেছে। কত চেনামুখ হারিয়ে গেছে। কাজেই সেই ঐতিহ্য নিয়েই কিন্তু এই সংগঠন। ক্ষমতায় উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে সৃষ্ট দল কিন্তু ছাত্রলীগও না, আওয়ামী লীগও না বা আমাদের সহযোগী সংগঠনও না। আমাদের দল গণমানুষের দল। অধিকার হারা মানুষের কথা বলেই কিন্তু এই সংগঠন তৈরি। এই কথাটা কিন্তু সবসময় মাথায় রাখতে হবে। এটাই হচ্ছে আমাদের গর্বের বিষয়। কাজেই সেই গর্বটা থাকতে হবে। কিন্তু অহমিকা না। সেখানে বিনয়ী হতে হবে। দেশের মানুষকে ভালোবাসতে হবে। যেটা জাতির পিতা বলে গেছেন।
সরকারপ্রধান বলেন, বুলেট, গোলা, বোমা অনেক কিছুই তো মোকাবিলা করেছি। কাজেই ও নিয়ে চিন্তা করি না। কিন্তু দেশটাকে যেখানে নিয়ে এলাম এই গতিটা যেন অব্যাহত থাকে সেটাই চাই। চিন্তাটা সেখানেই আবার যেন আমাদের পিছিয়ে যেতে না হয়। ছাত্রলীগ এবং আমাদের যারা সহযোগী সংগঠন বা আমাদের আওয়ামী লীগ সবাই এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। আবার যেন কখনোই হায়েনার দল এসে এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে। এই দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। এই কথাটাই মনে রাখতে হবে। এই কথা মনে রেখেই ছাত্রলীগ নিজেদেরকে সুসংগঠিত রাখবে। কারণ এই ছাত্র রাজনীতি থেকেই তো রাজনৈতিক নেতৃত্ব গড়ে ওঠে। এটাও মাথায় রাখতে হবে। কাজেই নিজেদেরকে নেতৃত্ব হিসেবে গড়ে তুলতে গেলে সেভাবেই কাজ করতে হবে।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা সেভাবেই নিজেদেরকে গড়ে তুলবে। একটা আদর্শবান কর্মী হিসেবে। খেয়াল রাখবে কোনো লোভের বশবর্তী হয়ে পা পিছলে পড়ে যেও না যেন। নিজেকে শক্ত করে, সততার পথে থেকে এগিয়ে যাবে, সংগঠনকে শক্তিশালী করবে। জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে কাজ করবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কাজ করবে। সেভাবে নেতৃত্ব গড়ে উঠবে। সেই কথা বলেই তোমাদেরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।