শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাছ খাওয়া নিয়ে দাদার হাতে নাতি খুন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি ।।

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বড় মাছ কেনা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দাদার হাতে নাতি খুন হয়েছে।

বুধবার বিকেলে ঐ উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ইরতা পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. রিফাত মিয়া ঐ গ্রামের মো. রেজাউল মিয়ার ছেলে। সে সহবতপুর হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার বিকেলে রিফাতের বাবা বড় একটি পাঙাশ মাছ কিনে আনেন। তা দেখে তার স্ত্রী বলেন ‘এত বড় মাছ কিনলা, দেইখ এইটা নিয়ে কথা হইবো।’ পাশের ঘর থেকে রিফাতের ছোট চাচি এ কথা শুনে শ্বশুর রাজ্জাক মিয়াকে বলে দেন। এতে রাজ্জাক মিয়া ক্ষুব্ধ হয়ে তার বড় ছেলে রেজাউলের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ান।

ঐ সময় রেজাউল তার স্ত্রীকে বলেন, ‘বাবাকেও মাছ দিও।’ এতে রাজ্জাক মিয়া আরো ক্ষিপ্ত হন। এক পর্যায়ে রাজ্জাক মিয়া, তার স্ত্রী ও ছোট ছেলের স্ত্রী মিলে লাঠি দিয়ে রেজাউল, তার স্ত্রী ও ছেলে রিফাতকে মারধর করেন। এতে রেজাউল ও রিফাত মাথায় গুরুতর আঘাত পান। আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে নাগরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। রাত ১টার দিকে সেখানেই রিফাত মারা যায়। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নাগরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মাছ খাওয়া নিয়ে দাদার হাতে নাতি খুন

প্রকাশের সময় : ১০:৪৫:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২২

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি ।।

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বড় মাছ কেনা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দাদার হাতে নাতি খুন হয়েছে।

বুধবার বিকেলে ঐ উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ইরতা পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. রিফাত মিয়া ঐ গ্রামের মো. রেজাউল মিয়ার ছেলে। সে সহবতপুর হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার বিকেলে রিফাতের বাবা বড় একটি পাঙাশ মাছ কিনে আনেন। তা দেখে তার স্ত্রী বলেন ‘এত বড় মাছ কিনলা, দেইখ এইটা নিয়ে কথা হইবো।’ পাশের ঘর থেকে রিফাতের ছোট চাচি এ কথা শুনে শ্বশুর রাজ্জাক মিয়াকে বলে দেন। এতে রাজ্জাক মিয়া ক্ষুব্ধ হয়ে তার বড় ছেলে রেজাউলের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ান।

ঐ সময় রেজাউল তার স্ত্রীকে বলেন, ‘বাবাকেও মাছ দিও।’ এতে রাজ্জাক মিয়া আরো ক্ষিপ্ত হন। এক পর্যায়ে রাজ্জাক মিয়া, তার স্ত্রী ও ছোট ছেলের স্ত্রী মিলে লাঠি দিয়ে রেজাউল, তার স্ত্রী ও ছেলে রিফাতকে মারধর করেন। এতে রেজাউল ও রিফাত মাথায় গুরুতর আঘাত পান। আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে নাগরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। রাত ১টার দিকে সেখানেই রিফাত মারা যায়। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নাগরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।