বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পৌর মহিলা কলেজ নামকরণ অনুমোদিত 

সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়, কিশোরগঞ্জ।।

কিশোরগঞ্জে পৌর মহিলা মহাবিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে “সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পৌর মহিলা কলেজ” নামকরণ করা হয়েছে। জেলা শহরের বত্রিশ এলাকায় ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত এ কলেজটির গভর্নিং বডির সভাপতি ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। জেলার বিশিষ্টজনরা এই নামকরণের জন্য সংশ্লিষ্টদের সাধুবাদ জানিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী জানান, স্বচ্ছ রাজনীতির বিশুদ্ধ নেতা প্রয়াত সৈয়দ আশরাফ ভাইয়ের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ এই নামকরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, শহরের বত্রিশ এলাকায় ১ একর ৪৭ শতাংশ ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত কলেজটি জেলার অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ। প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ৪ জন। এছাড়াও শিক্ষক-শিক্ষিকার রয়েছেন ৭৩ জন। গতবছর ১২ নভেম্বর রাজধানীর বারিধারায় ডিওএইচএস এলাকায় মেজর জেনারেল (অবঃ) বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামের সভাপতিত্বে গভর্নিং বডির ১১৫তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। পরে তা অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হলে গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আবু নাসের বেগ স্বাক্ষরিত সম্মতি জ্ঞাপন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
এ বিষয়ে কলেজটির অধ্যক্ষ ও অবসর সুবিধা বোর্ডের সচিব অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী জানান, “বিউটি অফ পলিটিক্স” হিসেবে পরিচিত স্বচ্ছ রাজনীতির শুদ্ধ পুরুষ প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ আমার প্রিয় এই কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তিনি অনেককেই নিজের হাতে বিভিন্ন কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি বানিয়েছিলেন কিন্তু নিজে কোন গভর্নিং বডির দায়িত্ব নেননি। শুধুমাত্র ভালোবাসা থেকে এ কলেজের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। তার কাছে একাডেমিক, ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নে যত আবদার করেছি, তিনি আমার সবগুলো আবদার পূরণ করেছেন। একটি দোতলা, একটি চারতলা একাডেমিক ভবন, একটি ছয়তলা ছাত্রী হোস্টেল, ২টি একতলা টিনশেড, কলেজ এমপিওভুক্ত করাসহ ১০টি বিষয়ের অনার্স কোর্স এ সবকিছুই আশরাফ ভাইয়ের হাত দিয়ে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ২০২১ সালে আশরাফ ভাইয়ের সহোদর ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম সাহেব এ কলেজের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। কলেজের স্থায়ী তহবিলে ১৫ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন। কলেজটি সৈয়দ আশরাফ ভাইয়ের প্রতিচ্ছবি হিসেবে সৈয়দ সাফায়েত ভাইকে পেয়েছেন। তার সার্বিক সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটি নাম পরিবর্তন করে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পৌর মহিলা কলেজ নামকরণ করতে সক্ষম হয়েছি বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও অবসর সুবিধা বোর্ডের সচিব অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী জানান, “বিউটি অফ পলিটিক্স” হিসেবে পরিচিত স্বচ্ছ রাজনীতির বিশুদ্ধ নেতা প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ আমার প্রিয় এ কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন। নিজ হাতে তিনি অনেককেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি বানিয়েছিলেন কিন্তু এ কলেজের দায়িত্ব তিনি ভালোবেসে নিয়েছিলেন। আর কোন কলেজের গভর্নিং বডির দায়িত্ব নেননি। আশরাফ ভাই কাছে একাডেমিক, ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নে যত আবদার করেছি, সবগুলো আবদার তিনি পূরণ করেছেন। কলেজটিতে একটি দোতলা, একটি চারতলা একাডেমিক ভবন, একটি ছয়তলা ছাত্রী হোস্টেল, ২টি একতলা টিনশেড, কলেজ এমপিওভুক্ত করাসহ ১০টি বিষয়ের অনার্স কোর্স এ সবকিছুই আশরাফ ভাইয়ের হাত দিয়ে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গত ২০২১ সালে আশরাফ ভাইয়ের সহোদর মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম সাহেব প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। তাঁর সার্বিক সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটি সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পৌর মহিলা কলেজ নামকরণ করতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানান তিনি।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পৌর মহিলা কলেজ নামকরণ অনুমোদিত 

প্রকাশের সময় : ১২:১৭:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জানুয়ারী ২০২২

সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়, কিশোরগঞ্জ।।

কিশোরগঞ্জে পৌর মহিলা মহাবিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে “সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পৌর মহিলা কলেজ” নামকরণ করা হয়েছে। জেলা শহরের বত্রিশ এলাকায় ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত এ কলেজটির গভর্নিং বডির সভাপতি ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। জেলার বিশিষ্টজনরা এই নামকরণের জন্য সংশ্লিষ্টদের সাধুবাদ জানিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী জানান, স্বচ্ছ রাজনীতির বিশুদ্ধ নেতা প্রয়াত সৈয়দ আশরাফ ভাইয়ের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ এই নামকরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, শহরের বত্রিশ এলাকায় ১ একর ৪৭ শতাংশ ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত কলেজটি জেলার অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ। প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ৪ জন। এছাড়াও শিক্ষক-শিক্ষিকার রয়েছেন ৭৩ জন। গতবছর ১২ নভেম্বর রাজধানীর বারিধারায় ডিওএইচএস এলাকায় মেজর জেনারেল (অবঃ) বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামের সভাপতিত্বে গভর্নিং বডির ১১৫তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। পরে তা অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হলে গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আবু নাসের বেগ স্বাক্ষরিত সম্মতি জ্ঞাপন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
এ বিষয়ে কলেজটির অধ্যক্ষ ও অবসর সুবিধা বোর্ডের সচিব অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী জানান, “বিউটি অফ পলিটিক্স” হিসেবে পরিচিত স্বচ্ছ রাজনীতির শুদ্ধ পুরুষ প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ আমার প্রিয় এই কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তিনি অনেককেই নিজের হাতে বিভিন্ন কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি বানিয়েছিলেন কিন্তু নিজে কোন গভর্নিং বডির দায়িত্ব নেননি। শুধুমাত্র ভালোবাসা থেকে এ কলেজের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। তার কাছে একাডেমিক, ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নে যত আবদার করেছি, তিনি আমার সবগুলো আবদার পূরণ করেছেন। একটি দোতলা, একটি চারতলা একাডেমিক ভবন, একটি ছয়তলা ছাত্রী হোস্টেল, ২টি একতলা টিনশেড, কলেজ এমপিওভুক্ত করাসহ ১০টি বিষয়ের অনার্স কোর্স এ সবকিছুই আশরাফ ভাইয়ের হাত দিয়ে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ২০২১ সালে আশরাফ ভাইয়ের সহোদর ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম সাহেব এ কলেজের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। কলেজের স্থায়ী তহবিলে ১৫ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন। কলেজটি সৈয়দ আশরাফ ভাইয়ের প্রতিচ্ছবি হিসেবে সৈয়দ সাফায়েত ভাইকে পেয়েছেন। তার সার্বিক সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটি নাম পরিবর্তন করে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পৌর মহিলা কলেজ নামকরণ করতে সক্ষম হয়েছি বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও অবসর সুবিধা বোর্ডের সচিব অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী জানান, “বিউটি অফ পলিটিক্স” হিসেবে পরিচিত স্বচ্ছ রাজনীতির বিশুদ্ধ নেতা প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ আমার প্রিয় এ কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন। নিজ হাতে তিনি অনেককেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি বানিয়েছিলেন কিন্তু এ কলেজের দায়িত্ব তিনি ভালোবেসে নিয়েছিলেন। আর কোন কলেজের গভর্নিং বডির দায়িত্ব নেননি। আশরাফ ভাই কাছে একাডেমিক, ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নে যত আবদার করেছি, সবগুলো আবদার তিনি পূরণ করেছেন। কলেজটিতে একটি দোতলা, একটি চারতলা একাডেমিক ভবন, একটি ছয়তলা ছাত্রী হোস্টেল, ২টি একতলা টিনশেড, কলেজ এমপিওভুক্ত করাসহ ১০টি বিষয়ের অনার্স কোর্স এ সবকিছুই আশরাফ ভাইয়ের হাত দিয়ে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গত ২০২১ সালে আশরাফ ভাইয়ের সহোদর মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম সাহেব প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। তাঁর সার্বিক সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটি সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পৌর মহিলা কলেজ নামকরণ করতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানান তিনি।