শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ব্রিটিশ বিরোধী নেতা বিজয় চন্দ্র রায়ের নামে লাইব্রেরির উদ্বোধন

সাজেদ রহমান (বকুল)।। 

ভারতের গুজরাটের বরদদৈল কৃষকদের ঐতিহাসিক কর বন্ধ আন্দোলন সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তার ঢেউ এসে লাগে যশোরের বাঘারপাড়ার এক অখ্যাত গ্রাম বন্দবিলায়। সেই সময় বন্দবিলার সাধারণ মানুষ ইউনিয়ন বোর্ড গঠনের বিরুদ্ধে আন্দেলন করে সারা ভারতে এক নজির স্থাপন করেছিলেন। স্মরণ করতে হবে এর আগে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের চেষ্টায় বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে অনেক গুলো পল্লী সংস্কার সমিতি গড়ে উঠেছিল। ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে বিজয় চন্দ্র রায়-এর নেতৃত্বে বন্দবিলায় তার এক কেন্দ্র স্থাপিত হয়। এই পটভূমিকায়, ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দের শেষে বাংলা সরকার বন্দবিলায় বেঙ্গলী ভিলেজ সেলফ গভর্মেন্ট এ্যাক্ট(বিভিএসজি এ্যাক্ট ১৯১৯) অনুযায়ী এক ইউনিয়ন বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নেন ও তার জন্য নির্বাচনের আদেশ দেন। ওই সময় বিজয় চন্দ্র রায় কলকাতায় গিয়ে দেখা করেন সুভাষচন্দ্র বসু, জ্ঞানাঞ্জন নিয়োগীসহ আরও কয়েক নেতার সাথে। বন্দবিলার আন্দোলন নিয়ে তাদের সাথে কথা বলেন। বিজয় চন্দ্র রায়ের কথা শুনে এই আন্দোলনের অনুমতি দেন সুভাষচন্দ্র বসু। এরপর বিজয় চন্দ্র রায় ফিরে আসেন যশোরে এবং বন্দবিলার মানুষ ইউনিয়ন বোর্ডের নির্বাচন বয়কট করার আন্দোলন শুরু করেন। প্রথম দিকে যশোর কংগ্রেস কমিটি এই আন্দোলনের বিরোধিতা করেন। পরে সুভাষচন্দ্র বসুর হস্তক্ষেপে সবাই এক সাথে আন্দোলন করেন। যথারীতি ভোটের দিন ঘনিয়ে এলো। বন্দবিলার মানুষ ভোট কেন্দ্রে গেলেন না। যদিও গ্রামের বিত্তশালী মাতব্বর এবং সরকার পক্ষের মানুষের আপ্রাণ চেষ্টা ছিল ভোট কেন্দ্রে ভোটার নিয়ে যাবার। তা সত্বেও ভোট কেন্দ্রে ভোটার যাননি। ভোট গননা শেষে দেখা গেল মোট ভোট পড়েছে ৩৬টি। ভোটের পর মানুষ জড়ো হয় ভোট কেন্দ্রে। কত ভোট পড়ল তা শোনার জন্য। কিন্ত বিকাল থেকেই মানুষ জড়ো হতে লাগলো স্থানীয় কংগ্রেস অফিসে। অল্প ভোট পড়ায় ওই ভোট বাতিল করা হলো। পরে আবার ভোটের তারিখ ঘোষনা করা হলো। সরকার থেকে নানা ধরণের হুমকি ধামকি দেয়া হলো। গ্রামের প্রভাবশালী মহল তারাও ভোট কেন্দ্রে লোক নিয়ে যাবার চেষ্টা করল। বন্দবিলার ভোট বন্দবিলা স্কুলে না নিয়ে কেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হলো পাশে খাজুরা বাজারে। কিন্তু মানুষ ছিলেন একতাবদ্ধ। এবার দেখা গেল একজনও ভোট দিতে গেলেন না।
দ্বিতীয় ভোটের পর সরকার ক্ষুদ্ধ হয়ে ইউনিয়নে নিজেদের মনোনীত ৯ জনকে নিয়ে একটি ইউনিয়ন বোর্ড গঠন করেন। এতে এলাকার মানুষ ক্ষুদ্ধ হয়ে পড়লেন আরও বেশি। তারা কর বন্ধ আন্দোলন শুরু করলেন। কয়েক বছর ধরে চলল এই আন্দোলন। সরকার এবার শক্তি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু এলাকার মানুষও ছাড়বার পাত্র নন। সরকার যত কঠোর হতে লাগলেন, এলাকায় আন্দোলনও তত তীব্র হতে লাগল। প্রতিদিনই এলাকায় সভা, সমাবেশ, মিছিল, বৈঠক হতে লাগল। তাদের এই আন্দোলন সারা বাংলার কংগ্রেসের দৃষ্টি আকর্ষণ হলো। আন্দোলনের ফলে সাধারণ মানুষের ভয়ে ইউনিয়ন বোর্ডের চৌকিদার, দফাদার. কর আদায়কারী চাকরি ছেড়ে দিল। বোর্ডের যারা সদস্য হয়েছিলেন, তারাও নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে রইল। এই আন্দোলন নিয়ে সেই সময় অনেক পত্র-পত্রিকায় রিপোর্ট হলো। ফলে এই আন্দোলন নিয়ে ব্রিটিশের পার্লামেন্টে আলোচনা হল।
তবে সরকারও কঠোর হলো। ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর মাস থেকে বকেয়া কর আদায়ের জন্য পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাছ ধরার জাল, ঘরের আসবাবপত্র, হালের বলদ, তৈজসপত্রসহ অন্যান্য জিনিষ নতুন এ্যাক্ট বলে ক্রোক করতে লাগল। মানুষের অভিযোগ পুলিশ সেই সময় যে মালামাল ক্রোক করত, তা তাদের ধার্য্য করের চেয়ে বেশি। সরকার এই ক্রোক করা মালামাল স্থানীয় হাটে বাজারে নিলাম করার জন্য তুললেও তা যখন মানুষ জানতে পারতেন, এটা ক্রোক করা মালামাল তখন কেউ তা ক্রয় করত না।
তবুও ক্রোক ও দখল চলতে থাকে। অনেক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। বিজয় রায়, বিনোদ বন্দ্যোপাধ্যায়, মনোমোহন ভট্রাচার্য প্রমুখ নেতাদের মিথ্যা মামলায় কারাদন্ড দেয়া হয়। এছাড়া দন্ডিত হন আরও অনেকে, যাঁদের মধ্যে ডা: হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ভোলানাথ পালিত, সুধীর কুমার মুখোপাধ্যায়, বিজয়কুমার চট্রোপাধ্যায়, নিবারণ মজুমদার, মহম্মদ হোসেন আলি প্রমুখেরা ছিলেন। আন্দোলন চলতে থাকলো। সরকারও কঠোর হলো। স্থানীয় বিদ্যালয়ে অনুদান বন্ধ করে দেয়া হলো। যেসব পত্র-পত্রিকা বন্দবিলার আন্দোলনের প্রতি সমর্থণ দিয়েছিল, তাদের সাংবাদিকদের নানাভাবে নিগৃহীত করা হলো।
বিজয় চন্দ্র রায়ের জন্ম ১৮৯৮ খ্রিষ্টাব্দে(বাংলা ১৩০৪ সনের ২২ আশি^ন বিজয়া দশমী তিথিতে) বাঘারপাড়ার বন্দবিলা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। তাঁর পিতার নাম ছিল ষষ্টিধর রায়। তিনি ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দের ৭ জানুয়ারি নিজগ্রামেই দেহত্যাগ করেন। দেশভাগের পর বহু মানুষ অনুরোধ করেছিলেন ভারতে চলে যাবার জন্য। কিন্তু তিনি জন্মভূমি ত্যাগ করেনি। তিনি ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে ভারতছাড় আন্দোলনের সময়ও কারারুদ্ধ হন। শেষবার জেলে থাকার সময় তাঁর স্ত্রী বিয়োগ হয়। তাঁর নামে গ্রামে একটি বিদ্যালয় আছে। আজ সেখানে বাঘারপাড়ার এমপি বাবু রনজিৎ রায় একটি লাইব্রেরির উদ্বোধন করেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া আফরোজ, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা জান্নাত, গ্রামের কাগজের সম্পাদক ও প্রকাশক মবিনুল ইসলাম মবিন ও যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক নেতা সাজেদ রহমান বকুল, বাঘারপাড়া উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার বিশ্বাস ওয়াহিদুজ্জামান। বন্দবিলা বিজয় চন্দ্র রায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি সুকান্ত রায়, বিজয় রায়ের দৌহিত্র অ্যাড. দেবাশীষ রায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিতোষ কুমার মন্ডল, সহকারি শিক্ষক সুজাতা রায় প্রমুখ।

ব্রিটিশ বিরোধী নেতা বিজয় চন্দ্র রায়ের নামে লাইব্রেরির উদ্বোধন

প্রকাশের সময় : ১২:২৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২২

সাজেদ রহমান (বকুল)।। 

ভারতের গুজরাটের বরদদৈল কৃষকদের ঐতিহাসিক কর বন্ধ আন্দোলন সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তার ঢেউ এসে লাগে যশোরের বাঘারপাড়ার এক অখ্যাত গ্রাম বন্দবিলায়। সেই সময় বন্দবিলার সাধারণ মানুষ ইউনিয়ন বোর্ড গঠনের বিরুদ্ধে আন্দেলন করে সারা ভারতে এক নজির স্থাপন করেছিলেন। স্মরণ করতে হবে এর আগে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের চেষ্টায় বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে অনেক গুলো পল্লী সংস্কার সমিতি গড়ে উঠেছিল। ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে বিজয় চন্দ্র রায়-এর নেতৃত্বে বন্দবিলায় তার এক কেন্দ্র স্থাপিত হয়। এই পটভূমিকায়, ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দের শেষে বাংলা সরকার বন্দবিলায় বেঙ্গলী ভিলেজ সেলফ গভর্মেন্ট এ্যাক্ট(বিভিএসজি এ্যাক্ট ১৯১৯) অনুযায়ী এক ইউনিয়ন বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নেন ও তার জন্য নির্বাচনের আদেশ দেন। ওই সময় বিজয় চন্দ্র রায় কলকাতায় গিয়ে দেখা করেন সুভাষচন্দ্র বসু, জ্ঞানাঞ্জন নিয়োগীসহ আরও কয়েক নেতার সাথে। বন্দবিলার আন্দোলন নিয়ে তাদের সাথে কথা বলেন। বিজয় চন্দ্র রায়ের কথা শুনে এই আন্দোলনের অনুমতি দেন সুভাষচন্দ্র বসু। এরপর বিজয় চন্দ্র রায় ফিরে আসেন যশোরে এবং বন্দবিলার মানুষ ইউনিয়ন বোর্ডের নির্বাচন বয়কট করার আন্দোলন শুরু করেন। প্রথম দিকে যশোর কংগ্রেস কমিটি এই আন্দোলনের বিরোধিতা করেন। পরে সুভাষচন্দ্র বসুর হস্তক্ষেপে সবাই এক সাথে আন্দোলন করেন। যথারীতি ভোটের দিন ঘনিয়ে এলো। বন্দবিলার মানুষ ভোট কেন্দ্রে গেলেন না। যদিও গ্রামের বিত্তশালী মাতব্বর এবং সরকার পক্ষের মানুষের আপ্রাণ চেষ্টা ছিল ভোট কেন্দ্রে ভোটার নিয়ে যাবার। তা সত্বেও ভোট কেন্দ্রে ভোটার যাননি। ভোট গননা শেষে দেখা গেল মোট ভোট পড়েছে ৩৬টি। ভোটের পর মানুষ জড়ো হয় ভোট কেন্দ্রে। কত ভোট পড়ল তা শোনার জন্য। কিন্ত বিকাল থেকেই মানুষ জড়ো হতে লাগলো স্থানীয় কংগ্রেস অফিসে। অল্প ভোট পড়ায় ওই ভোট বাতিল করা হলো। পরে আবার ভোটের তারিখ ঘোষনা করা হলো। সরকার থেকে নানা ধরণের হুমকি ধামকি দেয়া হলো। গ্রামের প্রভাবশালী মহল তারাও ভোট কেন্দ্রে লোক নিয়ে যাবার চেষ্টা করল। বন্দবিলার ভোট বন্দবিলা স্কুলে না নিয়ে কেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হলো পাশে খাজুরা বাজারে। কিন্তু মানুষ ছিলেন একতাবদ্ধ। এবার দেখা গেল একজনও ভোট দিতে গেলেন না।
দ্বিতীয় ভোটের পর সরকার ক্ষুদ্ধ হয়ে ইউনিয়নে নিজেদের মনোনীত ৯ জনকে নিয়ে একটি ইউনিয়ন বোর্ড গঠন করেন। এতে এলাকার মানুষ ক্ষুদ্ধ হয়ে পড়লেন আরও বেশি। তারা কর বন্ধ আন্দোলন শুরু করলেন। কয়েক বছর ধরে চলল এই আন্দোলন। সরকার এবার শক্তি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু এলাকার মানুষও ছাড়বার পাত্র নন। সরকার যত কঠোর হতে লাগলেন, এলাকায় আন্দোলনও তত তীব্র হতে লাগল। প্রতিদিনই এলাকায় সভা, সমাবেশ, মিছিল, বৈঠক হতে লাগল। তাদের এই আন্দোলন সারা বাংলার কংগ্রেসের দৃষ্টি আকর্ষণ হলো। আন্দোলনের ফলে সাধারণ মানুষের ভয়ে ইউনিয়ন বোর্ডের চৌকিদার, দফাদার. কর আদায়কারী চাকরি ছেড়ে দিল। বোর্ডের যারা সদস্য হয়েছিলেন, তারাও নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে রইল। এই আন্দোলন নিয়ে সেই সময় অনেক পত্র-পত্রিকায় রিপোর্ট হলো। ফলে এই আন্দোলন নিয়ে ব্রিটিশের পার্লামেন্টে আলোচনা হল।
তবে সরকারও কঠোর হলো। ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর মাস থেকে বকেয়া কর আদায়ের জন্য পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাছ ধরার জাল, ঘরের আসবাবপত্র, হালের বলদ, তৈজসপত্রসহ অন্যান্য জিনিষ নতুন এ্যাক্ট বলে ক্রোক করতে লাগল। মানুষের অভিযোগ পুলিশ সেই সময় যে মালামাল ক্রোক করত, তা তাদের ধার্য্য করের চেয়ে বেশি। সরকার এই ক্রোক করা মালামাল স্থানীয় হাটে বাজারে নিলাম করার জন্য তুললেও তা যখন মানুষ জানতে পারতেন, এটা ক্রোক করা মালামাল তখন কেউ তা ক্রয় করত না।
তবুও ক্রোক ও দখল চলতে থাকে। অনেক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। বিজয় রায়, বিনোদ বন্দ্যোপাধ্যায়, মনোমোহন ভট্রাচার্য প্রমুখ নেতাদের মিথ্যা মামলায় কারাদন্ড দেয়া হয়। এছাড়া দন্ডিত হন আরও অনেকে, যাঁদের মধ্যে ডা: হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ভোলানাথ পালিত, সুধীর কুমার মুখোপাধ্যায়, বিজয়কুমার চট্রোপাধ্যায়, নিবারণ মজুমদার, মহম্মদ হোসেন আলি প্রমুখেরা ছিলেন। আন্দোলন চলতে থাকলো। সরকারও কঠোর হলো। স্থানীয় বিদ্যালয়ে অনুদান বন্ধ করে দেয়া হলো। যেসব পত্র-পত্রিকা বন্দবিলার আন্দোলনের প্রতি সমর্থণ দিয়েছিল, তাদের সাংবাদিকদের নানাভাবে নিগৃহীত করা হলো।
বিজয় চন্দ্র রায়ের জন্ম ১৮৯৮ খ্রিষ্টাব্দে(বাংলা ১৩০৪ সনের ২২ আশি^ন বিজয়া দশমী তিথিতে) বাঘারপাড়ার বন্দবিলা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। তাঁর পিতার নাম ছিল ষষ্টিধর রায়। তিনি ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দের ৭ জানুয়ারি নিজগ্রামেই দেহত্যাগ করেন। দেশভাগের পর বহু মানুষ অনুরোধ করেছিলেন ভারতে চলে যাবার জন্য। কিন্তু তিনি জন্মভূমি ত্যাগ করেনি। তিনি ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে ভারতছাড় আন্দোলনের সময়ও কারারুদ্ধ হন। শেষবার জেলে থাকার সময় তাঁর স্ত্রী বিয়োগ হয়। তাঁর নামে গ্রামে একটি বিদ্যালয় আছে। আজ সেখানে বাঘারপাড়ার এমপি বাবু রনজিৎ রায় একটি লাইব্রেরির উদ্বোধন করেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া আফরোজ, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা জান্নাত, গ্রামের কাগজের সম্পাদক ও প্রকাশক মবিনুল ইসলাম মবিন ও যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক নেতা সাজেদ রহমান বকুল, বাঘারপাড়া উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার বিশ্বাস ওয়াহিদুজ্জামান। বন্দবিলা বিজয় চন্দ্র রায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি সুকান্ত রায়, বিজয় রায়ের দৌহিত্র অ্যাড. দেবাশীষ রায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিতোষ কুমার মন্ডল, সহকারি শিক্ষক সুজাতা রায় প্রমুখ।