প্রতীকী ছবি
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি।।
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বিবাহের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন স্কুল পড়ুয়া দুই আদিবাসী গারো শিশু।
ঘটনাটি ঘটেছিলো গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর।এ ঘটনায় মামলা হলেও অভিযুক্ত কাউকে গ্রেপ্তার করার তথ্য পাওয়া যাচ্ছিলো না। তবে আজ শনিবার (৮ জানুয়ারি) সকালে এই ঘটনার মূলহোতাকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে র্যাব।
এ বিষয়ে ব্রিফিং করবেন, আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ ডিসেম্বর রাতে হালুয়াঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী ৫ নং গাজিরভিটা ইউনিয়নের ডুমনিকুড়া গ্রামের ১৬ বছর বয়সী স্থানীয় একটি স্কুলের ১০ম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী পাশের গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান গিয়েছিল। বাড়ি ফেরার পথে হত্যার ভয় দেখিয়ে তাদের গণধর্ষণ করে স্থানীয় একদল বখাটে। মেয়েদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে পরিবারের সদস্যরা তাদেরকে খুঁজতে বের হয়। পরে তাদের দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
প্রথমে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে নির্যাতিতদের হত্যার হুমকি দেওয়ায় আদিবাসী পরিবারের লোকজন ভয়ে মুখ খুলতে পারছিল না। পরে ঘটনাটির জানাজানি হলে ২৯ ডিসেম্বর হালুয়াঘাট থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে ৩০ ডিসেম্বর ১০ জনকে আসামি করে হালুয়াঘাট থানায় একটি মামলা করেন নির্যাতিতা এক কিশোরীর বাবা।
মামলায় অভিযুক্তরা হলো, কচুয়াকুড়া গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে সোলায়মান হোসেন রিয়াদ (২২), শহীদ মিয়ার ছেলে শরিফ (২০), আবদুল হামিদের ছেলে এজাহার হোসেন (২০), কাটাবাড়ি গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে রমজান আলী (২১), তালেব হোসেনের ছেলে কাউছার (২১) দুলাল মিয়ার ছেলে আছাদুল (১৯) মাহতাব উদ্দিনের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২১), আবদুল মতিনের ছেলে মিজান (২২), মফিজুল ইসলামের ছেলে রুকন (২১) ও বকুল মিয়ার ছেলে মামুন (২০)।