শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

থানায় আসামির মৃত্যু : চিকিৎসক-পুলিশ বলছে আত্নহত্যা 

মোস্তাফিজুর রহমান, লালমনিরহাট ।।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় স্ত্রীর রহস্যজনক  মৃত্যুর কারণ জানতে হিমাংশু রায় নামে এক স্বামীকে আটক করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে থানার একটি রুমে একা রাখলে  নিজেই আত্নহত্যা করেছে বলে  দাবী পুলিশের।
শনিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য হিমাংশু র মরদেহ লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন ও হাতীবান্ধা হাসপাতালের  মেডিকেল অফিসার হিরনময় বম্মর্ণ সাগরও প্রাথমিক ভাবে ধারনা করেছেন আত্নহত্যায় হিমাংশু রায়ের মৃত্যু হয়েছে।
এর  আগে  গত শুক্রবার সকালে উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের পুর্ব কাদমা মালদাপাড়া থেকে রহস্যজনক মৃত্যুর শিকার ছবিতা রানী নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ সময় তার স্বামী হিমাংশু রায়কে মৃত্যুর কারণ জানতে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। সন্ধ্যায় পুলিশ হেফাজতে  থানায় তার মৃত্যু হয়।
হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম বলেন, এলাকার বিশেশ্বর রায়ের পুত্র হিমাংশু রায়ের বাড়ীতে রহস্যজনক মৃত্যুর শিকার স্ত্রী ছবিতা রানী (৩০)’র মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধারসহ মৃত্যুর কারণ জানতে মৃত নারীর স্বামী হিমাংশু রায়কে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয । পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে থানার একটি রুমে রাখা হয়। সেই রুমে হিমাংশু রায় আত্নহত্যার চেষ্টা করেন । টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
হাতীবান্ধা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিরনময় বম্মর্ণ সাগর বলেন, হিমাংশু রায়কে হাসাপাতালে নিয়ে আসার আগে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে হিমাংশুর মৃত্যু হয়েছে আত্নহত্যা করে। তার গলায় দাগ পাওয়া গেছে।
রাত সাড়ে ৮ টার দিকে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন হাসপাতালে গিয়ে মরদেহ’র প্রাথমিক তদন্ত করেন। প্রায় দুই ঘন্টা তিনি তদন্ত শেষে জানান, আমরা প্রাখমিক ভাবে ধারনা করছি, আত্নহত্যার কারণেই পুলিশ হেফাজতে হিমাংশু রায়ের মৃত্যু হয়েছে।
লালমনিরহাটের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) তাপস সরকার বলেন, আত্নহত্যার কারণে হিমাংশু রায়ের মৃত্য হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের লালমনিরহাট সদরে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।  ঘটনায় পুলিশের দায়িত্বে অবহেলা ছিলো কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন আসলে বিস্তারিত বলা যাবে।
রাতে হাতীবান্ধা উপজেলা আ” লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চু   বলেন,  চিকিৎসক ও পুলিশের সাথে কথা বলে আমরা জানতে পেরেছি থানায় আত্মহত্যা করে হিমাংশু রায়ের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরে সত্য ঘটনা পাওয়া যাবে বলে পুলিশ জনায়।  অপর দিকে
হিমাংশুর বড়ভাই সুধীর চন্দ্র রায় জানান,সুস্থ ভাইকে ধরে নিয়ে এসেছে পুলিশ থানা হেফাজতে কিভাবে মারা গেল আমাদের জানা নেই। আমাদের ধারণা তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। এর বিচার চাই।

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

থানায় আসামির মৃত্যু : চিকিৎসক-পুলিশ বলছে আত্নহত্যা 

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৫:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২২
মোস্তাফিজুর রহমান, লালমনিরহাট ।।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় স্ত্রীর রহস্যজনক  মৃত্যুর কারণ জানতে হিমাংশু রায় নামে এক স্বামীকে আটক করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে থানার একটি রুমে একা রাখলে  নিজেই আত্নহত্যা করেছে বলে  দাবী পুলিশের।
শনিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য হিমাংশু র মরদেহ লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন ও হাতীবান্ধা হাসপাতালের  মেডিকেল অফিসার হিরনময় বম্মর্ণ সাগরও প্রাথমিক ভাবে ধারনা করেছেন আত্নহত্যায় হিমাংশু রায়ের মৃত্যু হয়েছে।
এর  আগে  গত শুক্রবার সকালে উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের পুর্ব কাদমা মালদাপাড়া থেকে রহস্যজনক মৃত্যুর শিকার ছবিতা রানী নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ সময় তার স্বামী হিমাংশু রায়কে মৃত্যুর কারণ জানতে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। সন্ধ্যায় পুলিশ হেফাজতে  থানায় তার মৃত্যু হয়।
হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম বলেন, এলাকার বিশেশ্বর রায়ের পুত্র হিমাংশু রায়ের বাড়ীতে রহস্যজনক মৃত্যুর শিকার স্ত্রী ছবিতা রানী (৩০)’র মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধারসহ মৃত্যুর কারণ জানতে মৃত নারীর স্বামী হিমাংশু রায়কে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয । পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে থানার একটি রুমে রাখা হয়। সেই রুমে হিমাংশু রায় আত্নহত্যার চেষ্টা করেন । টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
হাতীবান্ধা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিরনময় বম্মর্ণ সাগর বলেন, হিমাংশু রায়কে হাসাপাতালে নিয়ে আসার আগে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে হিমাংশুর মৃত্যু হয়েছে আত্নহত্যা করে। তার গলায় দাগ পাওয়া গেছে।
রাত সাড়ে ৮ টার দিকে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন হাসপাতালে গিয়ে মরদেহ’র প্রাথমিক তদন্ত করেন। প্রায় দুই ঘন্টা তিনি তদন্ত শেষে জানান, আমরা প্রাখমিক ভাবে ধারনা করছি, আত্নহত্যার কারণেই পুলিশ হেফাজতে হিমাংশু রায়ের মৃত্যু হয়েছে।
লালমনিরহাটের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) তাপস সরকার বলেন, আত্নহত্যার কারণে হিমাংশু রায়ের মৃত্য হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের লালমনিরহাট সদরে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।  ঘটনায় পুলিশের দায়িত্বে অবহেলা ছিলো কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন আসলে বিস্তারিত বলা যাবে।
রাতে হাতীবান্ধা উপজেলা আ” লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চু   বলেন,  চিকিৎসক ও পুলিশের সাথে কথা বলে আমরা জানতে পেরেছি থানায় আত্মহত্যা করে হিমাংশু রায়ের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরে সত্য ঘটনা পাওয়া যাবে বলে পুলিশ জনায়।  অপর দিকে
হিমাংশুর বড়ভাই সুধীর চন্দ্র রায় জানান,সুস্থ ভাইকে ধরে নিয়ে এসেছে পুলিশ থানা হেফাজতে কিভাবে মারা গেল আমাদের জানা নেই। আমাদের ধারণা তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। এর বিচার চাই।